By %MONIR%

মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৭

ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস ২৮শে নভেম্বর, ১৮২০ জন্মগ্রহণ করেন

Post By
Kalipada Roy

ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস ২৮শে নভেম্বর, ১৮২০ জন্মগ্রহণ করেন ৷ তিনি ছিলেন জার্মান সমাজ বিজ্ঞানী, লেখক, রাজনৈতিক তাত্ত্বিক,দার্শনিক, এবং মার্কসের সাথে মার্কসবাদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৮৪৫ সালে তিনি নিজের প্রত্যক্ষন এবং গবেষণার ভিত্তিতে ইংল্যান্ডে শ্রমিক শ্রেণির অবস্থা প্রকাশ করেন। ১৯৪৮ সালে কার্ল মার্কসের সাথে যৌথভাবে কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার রচনা করেন, পরে কার্ল মার্কসকে পুঁজি গ্রন্থটি গবেষণা ও রচনার জন্য অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করেন। মার্কসের মৃত্যুর পরে তিনি সেই বইয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড-দুটি সম্পাদনা করেন। আরো তিনি মার্কসের "উদ্বৃত্ত মূল্য তত্ত্ব" বিষয়ের নোটগুলো একত্রিত করেন এবং এগুলো পরে "পুঁজি"র চতুর্থ খণ্ড হিসেবে প্রকাশিত হয়।[১] তিনি পরিবার অর্থনীতি বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস
Image may contain: 1 person, beard
ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস, ১৮৭৭ সালে
জন্ম ২৮ নভেম্বর, ১৮২০
Barmen, Kingdom of Prussia (present-day Wuppertal, Germany)
মৃত্যু ৫ আগস্ট ১৮৯৫ (৭৪ বছর)
লন্ডন, ইংল্যান্ড, UK
জাতীয়তা German
যুগ উনিশ শতকের দর্শন
অঞ্চল পাশ্চাত্য দর্শন
ধারা মার্কসবাদ, বস্তুবাদ
আগ্রহ Political philosophy, economics, class struggle, capitalism
অবদান Co-founder of Marxism (with Karl Marx), alienation and exploitation of the worker, historical materialism
ভাবগুরু
Hegel, Feuerbach, Stirner, Smith, Ricardo, Rousseau, Goethe, Fourier, Hess, Morgan, Heraclitus
ভাবশিষ্য
Luxemburg, Lenin, Trotsky, Mao, Guevara, Sartre, Debord, Frankfurt School, Negri, Childe and many others
স্বাক্ষর 

শৈশব সম্পাদনা
তিনি ১৮২০ সালে জার্মানীর বারামানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন জার্মানের একজন বড় শিল্পপতি। অত্যন্ত রক্ষণশীল এবং গোঁড়া ধর্মীয় পরিবেশে তিনি ছোটবেলায় লালিত পালিত হয়েছিলেন। কিন্তু অতিমাত্রায় ধর্মীয় নিয়ন্ত্রণ তাঁর মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। অচিরেই তিনি ধর্মের ব্যাপারে সংশয়ী হয়ে উঠলেন। ব্যবসা ও রাজনীতির প্রতি তাঁর ছিল বিশেষ ঝোঁক। এ কারণে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়াও ছেড়ে দিয়েছিলেন। ছোটবেলায় তিনি কবিতা লিখতেন, তাও তিনি বাদ দিয়েছিলেন। তিনি পিতার ব্যবসায় হাত লাগাতে লাগলেন এবং তৎকালীন রাজনৈতিক বিষয়ে এবং হেগেলীয় দর্শনের পঠন-পাঠন শুরু করলেন। হেগেলীয় দর্শন অধ্যয়নে তিনি এর বিশেষ ত্রুটিসমূহ লক্ষ্য করতে লাগলেন এবং তাঁর মনে এর বিপুল সমালোচনা জমা হতে লাগলো। তিনি বিভিন্ন বস্তুবাদী দর্শন দ্বারা আকৃষ্ট হতে লাগলেন এবং তৎকালীন কিছু কিছু প্রচলিত সাম্যবাদী চিন্তার সাথে পরিচিত হতে থাকেন, তবে এ সম্পর্কে তাঁর মনে সংশয় দেখা দেয়।[২]
সেনাবাহিনীর চাকরি সম্পাদনা
১৮৪২ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং এক বছর সেখানে চাকরি করেন। সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন অবস্থায় তিনি সমকালীন বিশ্বের রাজনৈতিক ও সামরিক নীতি সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন