By %MONIR%

বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭

বুদ্ধদেব বসু নভেম্বর ৩০, ১৯০৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি একজন খ্যাতনামা বাঙালি সাহিত্যিক।

Post By
Kalipada Roy


বুদ্ধদেব বসু
কবি, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, গল্পকার, অনুবাদক, সম্পাদক ও সমালোচক
বুদ্ধদেব বসু নভেম্বর ৩০, ১৯০৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি একজন খ্যাতনামা বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, গল্পকার, অনুবাদক, সম্পাদক ও সাহিত্য-সমালোচক ছিলেন। বিংশ শতাব্দীর বিশ ও ত্রিশের দশকের নতুন কাব্যরীতির সূচনাকারী অন্যতম কবি হিসেবে তিনি সমাদৃত। তবে সাহিত্য সমালোচনা ও কবিতা পত্রিকার প্রকাশ ও সম্পাদনার জন্য তিনি বিশেষভাবে সম্মাননীয়।
বুদ্ধদেব বসু
বুদ্ধদেব বসু
পেশা কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক এবং সম্পাদক
জাতীয়তা ভারতীয়
জাতি বাঙালি
নাগরিকত্ব ভারতীয়
সময়কাল বিংশ শতাব্দী
ধরন কথাসাহিত্যিক
বিষয় সাহিত্য
উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ মর্মবাণী; সাড়া; অভিনয়, অভিনয় নয়; হঠাৎ-আলোর ঝলকানি; মায়া-মালঞ্চ; কালিদাসের মেঘদূত; সব-পেয়েছির দেশে; আমার ছেলেবেলা; আধুনিক বাংলা কবিতা
দাম্পত্যসঙ্গী প্রতিভা সোম (বিবাহ-পরবর্তীতে : প্রতিভা বসু)
অল্প বয়স থেকেই কবিতা রচনা করেছেন, ছেলে জুটিয়ে নাটকের দল তৈরি করেছেন। প্রগতি ও কল্লোল নামে দু'টি পত্রিকায় লেখার অভিজ্ঞতা সম্বল করে যে কয়েকজন তরুণ বাঙালি লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবদ্দশাতেই রবীন্দ্রনাথের প্রভাবের বাইরে সরে দাঁড়াবার দুঃসাহস করেছিলেন তিনি তাঁদের অন্যতম। ইংরেজি ভাষায় কবিতা, গল্প, প্রবন্ধাদি রচনা করে তিনি ইংল্যান্ড ও আমেরিকায়ও প্রশংসা অর্জন করেছিলেন।
Image may contain: 1 person, closeupব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা
বুদ্ধদেব বসুর জন্ম হয় কুমিল্লায়। তাঁর পিতা ভূদেব বসু পেশায় ঢাকা বারের উকিল ছিলেন। তাঁর মাতার নাম বিনয়কুমারী। বুদ্ধদেব বসুর মাতামহ চিন্তাহরণ সিংহ ছিলেন পুলিশ অফিসার। তাঁর পৈতৃক আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের মালখানগর গ্রামে। জন্মের চব্বিশ ঘণ্টা পরেই তাঁর মাতা বিনয়কুমারীর ১৬ বছর বয়সে ধনুষ্টঙ্কার রোগে মৃত্যু ঘটে।[১] এতে শোকাভিভূত হয়ে তাঁর পিতা সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করে গৃহত্যাগ করেন। মাতামহ চিন্তাহরণ ও মাতামহী স্বর্ণলতা সিংহ'র কাছে প্রতিপালিত হন বুদ্ধদেব। বুদ্ধদেবের শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের প্রথমভাগ কেটেছে কুমিল্লা, নোয়াখালী আর ঢাকায়।
শিক্ষাজীবন সম্পাদনা
১৯২১ সালে ১৩ বছর বয়সে তিনি ঢাকায় আসেন এবং প্রায় দশ বৎসর ঢাকায় শিক্ষালাভ করেন। বুদ্ধদেব বসু ১৯২৩ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯২৫ সালে ঐ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রথম বিভাগে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন। ১৯২৭ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমানে ঢাকা কলেজ) থেকে প্রথম বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে আই. এ. পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে থেকে ইংরেজিতে ১৯৩০-এ প্রথম শ্রেণীতে বি. এ. অনার্স এবং ১৯৩১-এ প্রথম শ্রেণীতে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ছিলেন মেধাবী এক ছাত্র। বি. এ. অনার্স পরীক্ষায় তিনি যে নম্বর লাভ করেন তা একটি রেকর্ড; এবং অদ্যাবধি (২০০৯) এ রেকর্ড অক্ষুণ্ণ আছে।
কর্মজীবন সম্পাদনা
অধ্যাপনার মাধ্যমেই তাঁর কর্মময় জীবন শুরু। জীবনের শেষাবধি তিনি নানা কাজে-কর্মে ব্যাপৃত রেখেছেন। শিক্ষকতাই ছিল জীবিকা অর্জনে তার মূল পেশা। কর্মময় জীবনের শুরুতে স্থানীয় কলেজের লেকচারের পদের জন্য আবেদন করে দু'বার প্রত্যাখ্যাত হলেও ইংরেজি সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য পরিণত বয়সে তিনি আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় ভাষা ও সাহিত্য সম্পর্কে সারগর্ভ বক্তৃতা দিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। বাঙলা ভাষার তুলনামূলক সাহিত্য সমালোচনার ক্ষীণস্রোতকে তিনি বিস্তৃত ও বেগবান করেন। ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কলকাতা রিপন কলেজে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন। ১৯৪৫ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত স্টেটসম্যান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। ১৯৫২ সালে দিল্লি ও মহিশূরে ইউনেস্কোর প্রকল্প উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গের পেনসিলভেনিয়া কলেজ ফর উইমেনে শিক্ষকতা করেন তিনি।[১] ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধদেব বসু তুলনামূলক ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক নিযুক্ত হন।
এছাড়াও, তিনি উচ্চ মানের সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে বুদ্ধদেব বসু প্রভুগুহ ঠাকুরতা, অজিত দত্ত প্রমুখকে বন্ধু হিসেবে পেয়েছিলেন।[২] এ সময় ঢাকার পুরানা পল্টন থেকে তাঁর ও অজিত দত্তের যৌথ সম্পাদনায় ১৯২৭ - ১৯২৯ পর্যন্ত সচিত্র মাসিক 'প্রগতি' (১৯২৭) মাসিক পত্রিকার সম্পাদনা করেন এবং 'কল্লোল' (১৯২৩) গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক স্থাপিত হয়। কলকাতায় বসবাসকালে তিনি প্রেমেন্দ্র মিত্রের সহযোগিতায় ১৯৩৫ সালে ত্রৈমাসিক কবিতা (আশ্বিন ১৩৪৪) পত্রিকা সম্পাদনা করে প্রকাশ করেন।

রমেশচন্দ্র দত্ত ৩০ নভেম্বর ১৯০৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন৷ তিনি ছিলেন একজন বাঙালি ঔপন্যাসিক। তিনি বঙ্কিমচন্দ্রের অনুরোধে বাংলা উপন্যাস রচনায় অগ্রসর হন এবং বিশেষ সাফল্য অর্জন করেন।

Post By
Kalipada Roy

রমেশচন্দ্র দত্ত ৩০ নভেম্বর ১৯০৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন৷ তিনি ছিলেন একজন বাঙালি ঔপন্যাসিক। তিনি বঙ্কিমচন্দ্রের অনুরোধে বাংলা উপন্যাস রচনায় অগ্রসর হন এবং বিশেষ সাফল্য অর্জন করেন।
রমেশচন্দ্র দত্ত
জন্ম ১৮৪৮
মৃত্যু ১৯০৯
জাতিসত্তা বাঙালি
যে জন্য পরিচিত বাঙালি ঔপন্যাসিক
প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা
রমেশ চন্দ্র দত্ত একটি বিশিষ্ট বাঙালি কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন৷ তার পরিবারের প্রায় সবাই ছিলেন উচ্চশিক্ষিত৷ তার বাবা ছিলেন ঈসাম চন্দ্র দত্ত এবং মা ছিলেন ঠাকামাণী৷ তার বাবা ঈসাম চন্দ্র তৎকালীন বাংলার ডেপুটি কালেক্টর ছিলেন৷ অফিস চলাকালীন সময়ে রমেশ চন্দ্র দত্ত তার সঙ্গে থাকতেন৷ রমেশ চন্দ্র বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন৷ তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালী মথুরানাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও পড়াশুনা করেছেন। এছাড়াও তিনি ডেভিড হেয়ার প্রতিষ্ঠিত হেয়ার স্কুলে পড়াশোনা করেন৷ নৌকা দূর্ঘটনায় তার বাবার আকস্মিক মৃত্যুর পর ১৮৬১ সালে তার চাচা শশী চন্দ্র দত্ত, যিনি একজন প্রখ্যাত লেখক ছিলেন, তার অভিভাবকত্ত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷ রমেশ চন্দ্র তার চাচা সম্পর্কে লিখেছেন যে রাতের বেলা তিনি পরিবারের অন্যান্যদের সাথে বসতেন এবং তাদের প্রিয় বিষয় ছিল ইংরেজী কবিদের কবিতা চর্চা করা৷[১]
রমেশ চন্দ্র ১৮৬৪ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা শুরু করেন৷ পরে ১৮৬৬ সালে তিনি মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জনের মাধ্যমে এবং স্কলারশীপ অর্জনের মাধ্যমে আর্টস পরীক্ষায় পাস করেন৷ ১৮৬৮ সালে বিএ ক্লাসের ছাত্র থাকা অবস্থায় পরিবারের অনুমতি না নিয়ে তিনি এবং তার দুই বন্ধু বিহারী লাল গুপ্ত এবং সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান৷ রমেশ চন্দ্র সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কৃতিত্বকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ সে সময় দীর্ঘ সময় ধরে ১৮৫৩ সালের আগে ও পরে, যখন ইংল্যান্ডে আইসিএস পরীক্ষা চালু করা হয়, তার পূর্বে মূলত বিট্রিশ কর্মকর্তারাই গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদগুলোতে নিয়োগপ্রাপ্ত হতেন৷ ১৮৬০ সালের দিকে ভারতীয়রা, বিশেষ করে বাঙালি বুদ্ধিজীবি সম্প্রদায়ের লোকজন হতে ভারতীয় উপমহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদগুলোতে আসীন হতে শুরু করেন৷
Image may contain: 1 personইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন এ রমেশ ব্রিটিশ লেখকদের নিয়ে পড়াশোনা করেন৷ তিনি লন্ডনের মিডল ট্যাম্পল এ আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন৷ তিনি ১৮৬৯[২] সালের ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস এর ওপেন এক্সামিনেশন এ তৃতীয় স্থান [৩] লাভের মাধ্যমে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন৷
সিভিল সার্ভিস সম্পাদনা

১৮৭১ সালে রমেশ চন্দ্র দত্ত আলীপুরের সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে আইসিএস(ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস) এ যোগদান করেন৷ পদটিতে তার নিয়োগ ১৮৫৮ সালের ১লা নভেম্বর রাণী ভিক্টোরিয়ার রঙ ও ধর্মমত নির্বিশেষে সকল মানুষের প্রতি সমান সুযোগের ঘোষণার [৪] প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে৷
ভয়ঙ্কর সাইক্লোনের কারণে ১৮৭৪ সালে নদীয়া জেলার মেহেরপুরে এবং ১৮৭৬ সালে ভোলা জেলার দক্ষিণ শাহবাজপুরে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়৷ এলাকাগুলোতে জরুরী ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা এবং দূর্যোগ পরবর্তী বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত অপরিহার্য হয়ে পড়ে৷ রমেশ চন্দ্রের তত্ত্বাবধানে এ কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়৷ ১৮৮২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রমেশ চন্দ্রকে সার্ভিসের নির্বাহী শাখায় নিয়োগ দেয়া হয়৷ তিনিই প্রথম ভারতীয়, যাকে নির্বাহী পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়৷ ১৮৯৩ সালে তিনি বর্ধমান জেলার জেলা অফিসার এবং ১৮৯৪ সালে বর্ধমান বিভাগের কমিশনার হন৷ রমেশ চন্দ্র ১৮৯৫ সালে উড়িষ্যার বিভাগীয় কমিশনারের দায়িত্ব লাভ করেন৷ ভারতীয়দের মধ্যে তিনিই প্রথম ভারতীয়, যিনি বিভাগীয় কমিশনার পদে আসীন হন৷[৩]
রাজনীতি সম্পাদনা
রমেশ চন্দ্র নরমপন্থী জাতিয়তাবাদী রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন৷ কংগ্রেসের শুরুর দিকে তিনি কংগ্রেসের সাথে জড়িত ছিলেন৷ ১৮৯৯ সালে তিনি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস এর প্রেসিডেন্ট ছিলেন৷
সাহিত্যে অবদান সম্পাদনা
১৮৯৪ সালে রমেশ চন্দ্র বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের প্রথম সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং নবীনচন্দ্র সেন পরিষদটির সহ-সভাপতি ছিলেন৷[৫] বাংলা সাহিত্যের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৮৯৩ সালে পরিষদটি গঠন করা হয়৷
সূদীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি অনেকগুলো বই লিখেছেন৷ এছাড়াও তিনি মহাভারত ও রামায়ন অনুবাদও করেছেন৷ গুণী এ মনীষী ১৯০৯ সালের ৩০এ নভেম্বর মারা যান৷

মাতৃভাষা

মাতৃভাষা
ভারতের অনেক জায়গায় ঘুরেছি৷ কিছু কিছু প্রদেশে মাতৃভাষাকে সম্মান দেখানোর এমন নজির আছে যে সেখানে প্রতিটি সাইনবোর্ড তারা মাতৃভাষায় লিখে থাকেন৷ উড়িষ্যা, তামিলনাড়ু, গুজরাত এসব রাজ্যে নিজ নিজ মাতৃভাষার ব্যাপক ব্যবহার৷
গুজরাতের অনেক মানুষকেই জিজ্ঞেস করেছিলাম যে তাঁরা বহুভাষার ভারতবর্ষে কেন গুজরাতী ভাষায় সকল সাইন বোর্ড লিখেন? এমন কি সরকারী সব কাজই মাতৃভাষায় করা হয়

তাঁদের সকলের মোটামোটি একই বক্তব্য যে, মাতৃভাষাকে সম্মান দেওয়া সবার আগে আমাদের কর্তব্য৷ আবার প্রশ্ন ছিল মাতৃভাষাকে সম্মান দেওয়া এ তো খুব আনন্দ ও গর্বের কথা কিন্তু এই বহু ভাষার দেশে অন্তত সাইন বোর্ডে মাতৃভাষায় লিখে ছোট করে ইংরেজীতে লিখলে বহিরাগত মানুষদের সব কিছু জানতে এবং বুঝতে বিশেষ সুবিধা হয় এটা তো ঠিক কি না?
ওনারা বললেন আপনি বুঝতে না পারলে কাউকে জিজ্ঞেস করে জানবেন৷ দেখবেন আপনাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে দিবে আপনার ঠিকানা বা প্রয়োজনীয় জায়গা কোথায়৷ কিন্তু মাতৃভাষাকে আমাদের এই সম্মান দিতেই হবে৷
তাই বলে যে আমরা অন্য ভাষা পড়ি না বা শিখি না এমন নয়৷
এবার প্রশ্ন হল, আমাদের বিশ্ব বাংলার বঙ্গে এমন হয় না কেন? আজও একটা রেশন কির্ডের ফরম পুরন ইংরেজিতে করতে হয়৷ সরকারী অফিসে সব কাজই ইংরেজিতে হয় বললেই চলে৷
তবে কি নাম কা ওয়াস্তে বিশ্ব বাংলা?
আবার অনেক ফেসবুক বন্ধু বাংলা শব্দ ইংরেজিতে লিখেন৷ এটাও একটা বেদনা দায়ক ব্যাপার৷ অনেকে মনে করেন ইংরেজীতে না লিখলে নিজেকে ছোট মনে হয়৷ এটাও একটা ভুল ধারনা৷ গত বছর ২১শে ফেব্রুয়ারীর আগে অনেক বন্ধু বাংলা লিখতে শুরু করেছেন৷ আজও তাঁরা বাংলায় লিখেন৷ অাবার অনেকে বলেন বাংলা লিখতে সময় বেশী দরকার হয় আমি তাঁদের Swarchakra bangla instal করতে বলেছিলাম এবং তাঁরা এই app এ লিখতে গিয়ে এত আনন্দ পেয়েছেন যা বলার ভাষা রাখে না৷ খুব দ্রুত নির্ভুল লিখা যায়৷ আবার ওখানে ইংরেজী লিখারও পদ্ধতি আছে৷
তাই আমি অনুরোধ করব মাতৃভাষাকে সম্মান দিয়ে লিখার চেষ্টা করুন৷ ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন বন্ধুগণ৷
ধন্যবান্তে
কালীপদ রায়৷

এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের ২৯শে নভেম্বর কোথায় কি ঘটেছিল৷

    এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের ২৯শে নভেম্বর কোথায় কি ঘটেছিল৷

    ইতিহাসে ২৯ নভেম্বর
    ১০৫৮ সালের এই দিনে ফ্রান্সের রাজা চতুর্থ ফিলিপের মৃত্যু।
    ১৪২৭ সালের এই দিনে চীনের রাজা ঝেংটংয়ের জন্ম।
    ১৫২০ সালের এই দিনে স্প্যানিশ নাবিক মাজলান নতুন একটি প্রণালীর সন্ধান পান।
    ১৫৯৬ সালের এই দিনে রাজা দ্বিতীয় ফিলিপ সে দেশের মুদ্রা অবমূল্যায়িত করেন।
    ১৬৪৩ সালের এই দিনে ইটালির বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ক্লাওদিও মোন্তেভেরদে ৬৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
    ১৭৭৫ সালের এই দিনে স্যার জেমস জে অদৃশ্য কালি আবিষ্কার করেন।
    ১৭৯২ সালের এই দিনে মার্ক উডের করা সমগ্র কলকাতার নকশা প্রথম প্রকাশ করেন মি. বেইলি।
    ১৮১২ সালের এই দিনে শিৰাব্রতী ও সমাজসেবী দানবীর হাজী মুহাম্মদ মহসীন ভারতের হুগলীতে ইন্তেকাল করেন।
    ১৮৩৯ সালের এই দিনে গৌরীশঙ্কর তর্কবাগীশের সম্পাদনায় সাপ্তাহিক ‘সম্বাদ রসরাজ’ প্রকাশিত হয়।
    ১৮৭৪ সালের এই দিনে পর্তুগিজ স্নায়ুতত্ত্ববিদ অ্যাগাস মোনেশের জন্ম।
    ১৮৯৪ সালের এই দিনে রুশ ঔপন্যাসিক বোরিস পিলনিয়াকের জন্ম।
    ১৮৯৭ সালের এই দিনে ইংল্যান্ডের সারেতে প্রথম মোটরসাইকেল রেস হয়।
    ১৯১০ সালের এই দিনে ট্রাফিক বাতি প্যাটেন্ট হয়।
    ১৯১৩ সালের এই দিনে যুগোস্লাভিয়ায় মার্শাল টিটোর নেতৃত্বে এন্টি ফ্যাসিজম ফ্রন্ট গঠিত হয়।
    ১৯১৮ সালের এই দিনে লিথুয়ানিয়া প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষিত।
    ১৯২৪ সালের এই দিনে ইটালির মিউজিক কম্পোজার জিয়াকোমো পুচিনো মৃত্যুবরণ করেন।
    ১৯৩২ সালের এই দিনে ফ্রান্সের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জ্যাক শিরাক জন্মগ্রহন করেন ।
    ১৯৩২ সালের এই দিনে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ফ্রান্সের চুক্তি হয়।
    ১৯৩৬ সালের এই দিনে রসায়নে নোবেলজয়ী [১৯৮৬] তাইওয়ানজাত মার্কিন বিজ্ঞানী লু যুয়ান তেশের জন্ম।
    ১৯৪৪ সালের এই দিনে আলবেনিয়া নাৎসি কবল থেকে মুক্ত হয়।
    ১৯৪৭ সালের এই দিনে পাশ্চাত্য ও ইহুদিবাদীদের প্রভাবাধীন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ, ফিলিস্তিন ভূখন্ডকে বিভক্ত করার পক্ষে রায় দেয় এবং বায়তুল মোকাদ্দাসকে জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা বলে ঘোষণা করে।
    ১৯৪৯ সালের এই দিনে রস-সাহিত্যিক কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু।
    ১৯৭৩ সালের এই দিনে ওয়েলশ ফুটবলার রায়ান গিগস জন্মগ্রহন করেন ।
    ১৯৮৭ সালের এই দিনে বাংলা ভাষা আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী এবং রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ তোয়াহা মৃত্যুবরণ করেন ।
    ১৯৮৮ সালের এই দিনে প্রলংকারী ঘূর্নিঝড় ও জলোচ্ছাসে বিধ্বস্ত হয় দক্ষিনাঞ্চলের বিস্তীর্ন জনপদ।
    ১৯৯৩ সালের এই দিনে ভারতের অগ্রগণ্য শিল্পপতি জি আর ডি টাটার মৃত্যু।
    ১৯৯৪ সালের এই দিনে নেপালে কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মহমোহন অধিকারী প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন।
    ১৯৯৬ সালের এই দিনে সীমান্ত সমস্যা চীন ভারত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
    ২০০১ সালের এই দিনে বিংশ শতাব্দীর অত্যন্ত প্রতিভাবান জনপ্রিয় গায়ক এবং গিটারিস্ট জর্জ হ্যারিসন মৃত্যুবরণ করেন ।
    ২০০৪ সালের এই দিনে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন বিল-২০০৪ পাস হয়।
    বিভাগঃ নভেম্বর ।

    Show more reactions

হাজি মুহাম্মদ মহসীন ২৯শে নভেম্বর ১৮১২ সালে মৃত্যুবরণ করেন৷ তিনি ছিলেন বাংলার একজন জনহিতৈষী, দানবীর। দানশীলতার জন্য তিনি দানবীর খেতাব পেয়েছিলেন।



হাজি মুহাম্মদ মহসীন ২৯শে নভেম্বর ১৮১২ সালে মৃত্যুবরণ করেন৷ তিনি ছিলেন বাংলার একজন জনহিতৈষী, দানবীর। দানশীলতার জন্য তিনি দানবীর খেতাব পেয়েছিলেন।
মুহাম্মদ মহসিন
জন্ম ১৭৩২
হুগলি, বাংলা, মুঘল সাম্রাজ্য
মৃত্যু ১৮১২ (বয়স ৭৯–৮০)
হুগলি, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
সমাধি হুগলি ইমামবাড়া
যে জন্য পরিচিত দানশীলতা
উল্লেখযোগ্য কাজ মহসিন ফান্ড
আদি শহর হুগলি
উপাধি দানবীর
ধর্ম ইসলাম
জীবনী সম্পাদনা
Image may contain: 1 person, hatহাজি মুহাম্মদ মহসিনের প্রতিষ্ঠিত হুগলি ইমামবাড়া, হুগলি, পশ্চিমবঙ্গ।
মুহাম্মদ মহসিন ১৭৩২ সালে হুগলিতে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার বাবা হাজি ফয়জুল্লাহ ও মা জয়নাব খানম। ফয়জুল্লাহ ছিলেন একজন ধনী জায়গিরদার। তিনি ইরান থেকে বাংলায় এসেছিলেন। জয়নব ছিলেন ফয়জুল্লাহর দ্বিতীয় স্ত্রী। জয়নবেরও পূর্বে বিয়ে হয়েছিল। মন্নুজান খানম নামে তার ও তার সাবেক স্বামী আগা মোতাহারের একটি মেয়ে ছিল। আগা মোতাহারও বিপুল সম্পদের মালিক ছিলেন। হুগলি, যশোর, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়ায় তার জায়গির ছিল। আগা মোতাহারের সম্পত্তি তার মেয়ে মন্নুজান উত্তরাধিকার সূত্রে অর্জন করেছিলেন।[১]
গৃহশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে মহসিন ও তার সৎ বোন মন্নুজান শিক্ষার্জন করেছেন। পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষার জন্য রাজধানী মুর্শিদাবাদ যান। শিক্ষাজীবন শেষে তিনি দেশভ্রমণের সফরে বের হন। সফরকালে তিনি হজ পালন করেন। তিনি মক্কা, মদিনা, কুফা, কারবালাসহ ইরান, ইরাক, আরব, তুরস্ক এমন নানা স্থান সফর করেছেন। সফর শেষে দীর্ঘ ২৭ বছর পর তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফেরার পর তিনি তার বিধবা বোনের সম্পদ দেখাশোনা শুরু করেন। মন্নুজানের স্বামী মির্জা সালাহউদ্দিন ছিলেন হুগলির নায়েব ফৌজদার।[১]
১৮০৩ সালে মন্নুজানের মৃত্যুর মহসিন তার উত্তরাধিকারী হিসেবে সম্পদের মালিক হন। মহসিন খুব ধার্মিক ছিলেন এবং সহজসরল জীবনযাপন করতেন। তিনি চিরকুমার ছিলেন। বিপুল সম্পদ তিনি দানসদকায় ব্যয় করতেন। ১৭৬৯-৭০ সালের সরকারি দলিল অনুযায়ী তৎকালীন দুর্ভিক্ষের সময় তিনি অনেক লঙ্গরখানা স্থাপন করেন এবং সরকারি তহবিলে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।[১] ১৮০৬ সালে তিনি মহসিন ফান্ড নামক তহবিল প্রতিষ্ঠা করে তাতে দুইজন মোতাওয়াল্লি নিয়োগ করেন।[১][২] ব্যয়নির্বাহের জন্য সম্পত্তিকে নয়ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে তিনটি ভাগ ধর্মীয় কর্মকাণ্ড, চারটি ভাগ পেনশন, বৃত্তি ও দাতব্য কর্মকাণ্ড এবং দুইটি ভাগ মোতাওয়াল্লিদের পারিশ্রমিকের জন্য বরাদ্দ করা হয়।[১]
হাজি মুহাম্মদ মহসিন ১৮১২ সালে হুগলিতে ইন্তেকাল করেন। তাকে হুগলি ইমামবাড়ায় দাফন করা হয়।

১৯১৮ সালে ২৯শে নভেম্বর লিথুয়ানিয়া প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষিত হয়৷

১৯১৮ সালে ২৯শে নভেম্বর লিথুয়ানিয়া প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষিত হয়৷
No automatic alt text available.

শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় ২৯ নভেম্বর ১৯৩৬ জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অভিনেতা, যিনি মূলত: বাংলা ভাষায় অভিনয় করতেন।

Post By
Kalipada Roy 

শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়
ভারতীয় অভিনেতা
শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় ২৯ নভেম্বর ১৯৩৬ জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অভিনেতা, যিনি মূলত: বাংলা ভাষায় অভিনয় করতেন।
শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়
Image may contain: 1 person, eyeglasses
শুভেন্দু চ্যাটার্জী
জন্ম নভেম্বর ২৯, ১৯৩৬
কোলকাতা
মৃত্যু জুলাই ৫, ২০০৭ (৭০ বছর)
কোলকাতা
পেশা অভিনয়
কার্যকাল ১৯৬৫ - ২০০৬
দাম্পত্য সঙ্গী অঞ্জলী চট্টোপাধ্যায়
সন্তান শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়
পিতা-মাতা শৈলেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (পিতা)
মণিমালা দেবী (মাতা)
পুরস্কার ও সম্মননা সম্পাদনা
আনন্দলোক পুরস্কার: সেরা অভিনেতা ৷

টাটা শিল্পগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জে, আর,ডি টাটা ১৯৯৩ সালে ২৯শে নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন৷

Post By
Kalipada Roy

টাটা শিল্পগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জে, আর,ডি টাটা ১৯৯৩ সালে ২৯শে নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন৷
জমশেদপুর (ইংরেজি: Jamshedpur) ঝাড়খণ্ড রাজ্যের অন্যতম বৃহত্তম শহর। সাকচি নাম দিয়ে এই শহরটি প্রতিষ্ঠা করেন শিল্পপতি জমশেদজি নওরোজি টাটা। পরে ১৯১৯ সালে লর্ড কেমসফোর্ড এর প্রতিষ্ঠাতার নামে নামকরণ করেন জমশেদপুর। সাকচি এখনও জমশদপুরের মধ্যের অন্যতম বৃহৎ পল্লীর নাম। শহরটি ভারতের প্রথম বেসরকারী লৌহ-ইস্পাত কারিগরি প্রতিষ্ঠান টাটা আয়রন এন্ড স্টিল কম্পানির জন্য প্রসিদ্ধ। এর আশেপাশে খনি বলয়গুলিতে বিশেষ করে পশ্চিম বোকারো, জামাডুবি ও নোয়ামুণ্ডিতে অনেক লৌহ আকরিক, ম্যাঙ্গানিজ ও চুনাপাথর পাওয়া যায়।
Image may contain: 1 person, closeup
জমশেদপুর
जमशेदपुर
টাটানগর
মহানগরী

উপর থেকে দক্ষিণাবর্তে : সাকচি গোলচক্কর, টি সি ই বিল্ডিং, সোনারি-কদমা লিংক রোড, টাটা স্টিল প্লান্ট , Bat Island in Jayanti Sarovar, জে আর ডি টাটা স্পোর্টস কম্পলেক্স
নাম: ইস্পাত নগরী
জমশেদপুর
ঝাড়খণ্ড রাজ্যে জমশেদপুর শহরের অবস্থান।
স্থানাঙ্ক: ২২.৮° উত্তর ৮৬.১৮° পূর্ব
দেশ ভারত
রাজ্য ঝাড়খণ্ড
জেলা পূর্ব সিংভুম
প্রতিষ্ঠা করেন জমশেদজি নাসেরওয়ানজি টাটা
নামকরণের কারণ লৌহ, ইস্পাত এবং সিমেন্ট শিল্প
সরকার
• ধরন মিউনিসিপাল কর্পোরেশন
আয়তন
• মহানগরী ১৫০ কিমি২ (৬০ বর্গমাইল)
উচ্চতা ১৩৫ মিটার (৪৪৩ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
• মহানগরী ৬,৩১,৩৬৪
• ঘনত্ব ৪২০০/কিমি২ (১১০০০/বর্গমাইল)
• মেট্রো ১৩,৩৯,৪৩৮
সময় অঞ্চল ভাপ্রস (ইউটিসি+৫:৩০)
পিন ৮৩১০০১ থেকে ৮৩১০২০
টেলিফোন কোড ০৬৫৭
যানবাহন নিবন্ধন
JH 05 (পূর্ব সিংভূম)
JH 22 (Saraikela-Kharsawan)
স্বাক্ষরতার হার ৮৫.৯৪%
ভাষাসমূহ বাংলা, হিন্দি, উর্দু, ওড়িয়া এবং ইংরেজি
ওয়েবসাইট www.jamsedpur.nic.in

মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৭

এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসে ২৮শে নভেম্বরের ঘটনাগুলো৷

Post By
Kalipada Roy


ইতিহাসে ২৮ নভেম্বর
১০৫৮ সালের এই দিনে পোল্যান্ডের ডিউক কেজিমিয়ের্জের মৃত্যু।
১১১৮ সালের এই দিনে গ্রিক বাইজানটাইন সম্রাট ম্যানুয়েল কমনেনাসের জন্ম।
১৫২০ সালের এই দিনে প্রথম ইউরোপীয়ান নাবিক হিসেবে ফার্ডিনান্ড ম্যাগেলান আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে প্রবেশ করেন।
১৬৬০ সালের এই দিনে ইংল্যান্ডে রয়াল সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৬৭৬ সালের এই দিনে ভারতের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত তখনকার দিনের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পন্ডিচেরি বন্দর ফরাশিরা দখল করে নেয়।
১৭৫৭ সালের এই দিনে ইংরেজ কবি ও শিল্পী উইলিয়াম ব্লেকের জন্ম।
১৮১৪ সালের এই দিনে কলকাতার চাঁদপাল ঘাটে ভারতের প্রথম প্রাটস্ট্যান্ট বিশপ টমাস ফ্যানশ মিডলটন পদার্পণ করেন।
১৮১৪ সালের এই দিনে লন্ডনের টাইমস পত্রিকা প্রথম স্বয়ংক্রিয় মেশিনে ছাপা হয়।
১৮২০ সালের এই দিনে সমাজতাত্তি্বক ফ্রেডরিখ এঙ্গেলসের জন্ম।

১৮২১ সালের এই দিনে পানাম স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৮৯৪ সালের এই দিনে রসায়নবিদ ড. পুলিন বিহারী সরকারের জন্ম।
১৯১২ সালের এই দিনে আলবানিয়া স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৩১ সালের এই দিনে শিশু সাহিত্যিক ও সাংবাদিক গোলাম রহমানের জন্ম।
১৯৩২ সালের এই দিনে অভিনেতা সুরেন্দ্রনাথ ঘোষের (দানীবাবু) মৃত্যু।
১৯৪৩ সালের এই দিনে বাংলাদেশের খ্যাতনামা চিত্রকর, কার্টুনিস্ট রফিকুন নবী জন্মগ্রহন করেন ।
১৯৫৪ সালের এই দিনে ইতালীয় পদার্থবিদ এনরিকো ফের্মি মৃত্যুবরণ করেন ।
১৯৬০ সালের এই দিনে মৌরিতানিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯৬২ সালের এই দিনে সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার কৃষ্ণচন্দ্র দের মৃত্যু।
১৯৭১ সালের এই দিনে ইরানের তিনটি দ্বীপ আবু মুসা,তাম্বে বোযোর্গ,তাম্বে কুচাক থেকে বৃটিশ দখলদার সেনারা চলে যাবার পর ইরান ঐ তিনটি দ্বীপের ওপর নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করে।
১৯৯৯ সালের এই দিনে জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের ইন্তেকাল।
বিভাগঃ নভেম্বর

ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস ২৮শে নভেম্বর, ১৮২০ জন্মগ্রহণ করেন

Post By
Kalipada Roy

ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস ২৮শে নভেম্বর, ১৮২০ জন্মগ্রহণ করেন ৷ তিনি ছিলেন জার্মান সমাজ বিজ্ঞানী, লেখক, রাজনৈতিক তাত্ত্বিক,দার্শনিক, এবং মার্কসের সাথে মার্কসবাদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৮৪৫ সালে তিনি নিজের প্রত্যক্ষন এবং গবেষণার ভিত্তিতে ইংল্যান্ডে শ্রমিক শ্রেণির অবস্থা প্রকাশ করেন। ১৯৪৮ সালে কার্ল মার্কসের সাথে যৌথভাবে কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার রচনা করেন, পরে কার্ল মার্কসকে পুঁজি গ্রন্থটি গবেষণা ও রচনার জন্য অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করেন। মার্কসের মৃত্যুর পরে তিনি সেই বইয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড-দুটি সম্পাদনা করেন। আরো তিনি মার্কসের "উদ্বৃত্ত মূল্য তত্ত্ব" বিষয়ের নোটগুলো একত্রিত করেন এবং এগুলো পরে "পুঁজি"র চতুর্থ খণ্ড হিসেবে প্রকাশিত হয়।[১] তিনি পরিবার অর্থনীতি বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস
Image may contain: 1 person, beard
ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস, ১৮৭৭ সালে
জন্ম ২৮ নভেম্বর, ১৮২০
Barmen, Kingdom of Prussia (present-day Wuppertal, Germany)
মৃত্যু ৫ আগস্ট ১৮৯৫ (৭৪ বছর)
লন্ডন, ইংল্যান্ড, UK
জাতীয়তা German
যুগ উনিশ শতকের দর্শন
অঞ্চল পাশ্চাত্য দর্শন
ধারা মার্কসবাদ, বস্তুবাদ
আগ্রহ Political philosophy, economics, class struggle, capitalism
অবদান Co-founder of Marxism (with Karl Marx), alienation and exploitation of the worker, historical materialism
ভাবগুরু
Hegel, Feuerbach, Stirner, Smith, Ricardo, Rousseau, Goethe, Fourier, Hess, Morgan, Heraclitus
ভাবশিষ্য
Luxemburg, Lenin, Trotsky, Mao, Guevara, Sartre, Debord, Frankfurt School, Negri, Childe and many others
স্বাক্ষর 

শৈশব সম্পাদনা
তিনি ১৮২০ সালে জার্মানীর বারামানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন জার্মানের একজন বড় শিল্পপতি। অত্যন্ত রক্ষণশীল এবং গোঁড়া ধর্মীয় পরিবেশে তিনি ছোটবেলায় লালিত পালিত হয়েছিলেন। কিন্তু অতিমাত্রায় ধর্মীয় নিয়ন্ত্রণ তাঁর মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। অচিরেই তিনি ধর্মের ব্যাপারে সংশয়ী হয়ে উঠলেন। ব্যবসা ও রাজনীতির প্রতি তাঁর ছিল বিশেষ ঝোঁক। এ কারণে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়াও ছেড়ে দিয়েছিলেন। ছোটবেলায় তিনি কবিতা লিখতেন, তাও তিনি বাদ দিয়েছিলেন। তিনি পিতার ব্যবসায় হাত লাগাতে লাগলেন এবং তৎকালীন রাজনৈতিক বিষয়ে এবং হেগেলীয় দর্শনের পঠন-পাঠন শুরু করলেন। হেগেলীয় দর্শন অধ্যয়নে তিনি এর বিশেষ ত্রুটিসমূহ লক্ষ্য করতে লাগলেন এবং তাঁর মনে এর বিপুল সমালোচনা জমা হতে লাগলো। তিনি বিভিন্ন বস্তুবাদী দর্শন দ্বারা আকৃষ্ট হতে লাগলেন এবং তৎকালীন কিছু কিছু প্রচলিত সাম্যবাদী চিন্তার সাথে পরিচিত হতে থাকেন, তবে এ সম্পর্কে তাঁর মনে সংশয় দেখা দেয়।[২]
সেনাবাহিনীর চাকরি সম্পাদনা
১৮৪২ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং এক বছর সেখানে চাকরি করেন। সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন অবস্থায় তিনি সমকালীন বিশ্বের রাজনৈতিক ও সামরিক নীতি সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করেন।

১৯৬২ সালে ২৮শে নভেম্বর অভিনেতা, গায়ক, সুরকার কৃষ্ণচন্দ্র দে’র মৃত্যুবরণ করেন"

Post By
Kalipada Roy

১৯৬২ সালে ২৮শে নভেম্বর অভিনেতা, গায়ক, সুরকার কৃষ্ণচন্দ্র দে’র মৃত্যুবরণ করেন"
তিনি গায়ক মান্না দে’র কাকা। বিখ্যাত সুরকার ও গায়ক শচীন দেব বর্মনের শিক্ষক ও গুরু ছিলেন। ১৯০৬ সালে মাত্র তেরো বছর বয়সে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারান। কাজ করেছেন বিভিন্ন থিয়েটার গ্রুপে। ১৯৪০ পর্যন্ত কলকাতার নিউ থিয়েটারে কাজ করেছেন। তিনি মূলত কীর্তনের জন্য সুপরিচিত। বাংলা-সহ বেশ কয়েকটি জাতীয় ভাষায় ছ’শোটি গান গেয়েছেন। ১৯৩২ থেকে ’৪৬ পর্যন্ত তিনি সিনেমাতে গান করেন ও সুর দেন। অভিনয়ও করেছেন বেশ করেছেন কয়েকটি সিনেমায়।

Image may contain: 1 person, closeup

১৯৯০ সালে ২৮শে নভেম্বর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন৷

Post By
Kalipada Roy




১৯৯০ সালে ২৮শে নভেম্বর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন৷
পরলোকে মার্গারেট থ্যাচার। মার্গারেট থ্যাচার ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার মারা গেছেন।
লেডি থ্যাচার
LG, ওএম, PC, এফআরএস
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম মার্গারেট হিলটা রবার্টস
১৩ অক্টোবর ১৯২৫
গ্রানথাম, লিংকরশ্যায়ার, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য
মৃত্যু ৮ এপ্রিল ২০১৩ (৮৭ বছর)
ওয়েষ্টমিনস্টার, লন্ডন, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য
মৃত্যুর কারণ পক্ষাঘাত
রাজনৈতিক দল কনজারভেটিভ পার্টি, যুক্তরাজ্য
দাম্পত্য সঙ্গী ডেনিস থ্যাচার১৩ ডিসেম্বর ১৯৫১ (বি. ৩০০৩)
সন্তান কার্ল থ্যাচার
মার্ক থ্যাচার
পিতামাতা আলফ্রেড রসার্টস এবং বিট্রিস
জীবিকা রসায়নবিদ
আইনজীবি
রাজনীতীবিদ
Image may contain: 1 person, standing

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে ৮ এপ্রিল ২০১৩ সকালে ৮৭ বছর বয়সে পরলোকগমণ করেন তিনি। মার্গারেট থ্যাচারের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তাঁর মুখপাত্র লর্ড বেল। সম্পর্কিত বিষয়আন্তর্জাতিক, যুক্তরাজ্যলর্ড বেল জানিয়েছেন, “অত্যন্ত দুঃখের সাথে মার্ক এবং ক্যারোল থ্যাচার জানিয়েছেন যে তাঁদের মা ব্যারোনেস থ্যাচার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে আজ সকালে মারা গেছেন”। ১৯৭৯-১৯৯০ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ব্যারোনেস থ্যাচার। সে সময়ে ব্রিটেনের রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তনের সূচনা হয়। ব্রিটেনের ইতিহাসে একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার কনজারভেটিভ পার্টি থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হয়েও যে ভাবে শক্ত হাতে, বিভিন্ন বাধা অগ্রাহ্য করে তিনি ব্রিটেনের অর্থনীতিতে বৈপব্লিক সংস্কার এনেছিলেন, তার জন্য তিনি আয়রন লেডি হিসিবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। "আমি মনে করিনা আমার জীবদ্দশায় কোন মহিলা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হবেন" ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ। এডওয়ার্ড হিথ যখন ব্রিটেনের কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রী তখন মাগারেট থ্যাচার ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এডওয়ার্ড হিথ কখনো ভাবেননি যে কোন মহিলা কখনো ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হবে। মিঃ হিথ বলেছিলেন, "আমি মনে করিনা আমার জীবদ্দশায় কোন মহিলা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হবেন"। ১৯৭৫ সালে রক্ষণশীল দলের মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথকে বিস্ময়করভাবে হারিয়ে দলের নেতৃত্বে উঠে আসেন মার্গারেট থ্যাচার। জেমস ক্যালাহানের সরকার বিদায় নেয়ার পরে মার্গারেট থ্যাচারই হলেন ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্ততেই ব্রিটেনের ইউনিয়নগুলোর জন্য আইন হয়, ধর্মঘট করতে হলে তার আগে সদস্যদের সম্মতি নিতে হবে ভোটের মাধ্যমে এই ব্যবস্থাটি তখন নেয়া হয়। এছাড়া, মার্গারেট থ্যাচার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে কাউন্সিলের বাড়ির ভাড়াটেদের বাড়ি কেনার সুযোগ আর রাষ্ট্রীয় বণ্ড প্রতিষ্ঠান বেসরকারিকরণ করা হয়। নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল দৃঢ়তার জন্য বিখ্যাত ছিলেন মার্গারেট থ্যাচার। সেসময় ব্রিটেনের বেকারত্ব ৩০ লাখে দাড়ালেও থ্যাচার নীতি পরিবর্তন করেননি। তিনি একসময় ব্রিটেনের সবচেয়ে অজনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীতে পরিণত হয়েছিলেন। কিন্তু ফকল্যান্ডের যুদ্ধে বিজয়ের পর ১৯৮৩ সালের নির্বাচনে কনজারভেটিভরা আবার জিতলো। খনিশ্রমিকদের ধর্মঘট, ব্রাইটনে পার্টি কনফারেন্সে বোমা হামলা কোন কিছুই থ্যাচারকে টলাতে পারেনি। তৃতীয় নির্বাচনেও তিনি জয়ী হয়েছিলেন। একাধারে ১৯৭৯, ১৯৮৩ এবং ১৯৮৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হন মার্গারেট থ্যাচার। "রাজনীতি করলে আপনার পিঠে কেউ ছুরি মারবে এমন ঝুঁকি থাকবেই । কিন্তু এটা আমি কখনো ক্ষমা করবো না যে আমাকে পার্লামেন্টের মাধ্যমে বিদায় নিতে দেয়া হয় নি। এটা আমি ভুলবো না" মার্গারেট থ্যাচারের তিক্ত অনুভূতির কথা কিন্তু ইউরোপের ব্যাপারে তাঁর নীতি নিয়ে তাঁর দল ও মন্ত্রীসভায় অসন্তোষ দেখা দেয়। অবশেষে মাইকেল হেজেলটাইন নেতৃত্বের পদে থ্যাচারকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। অনেকদিন পর তিনি তার তিক্ত অনুভুতির কথা বলেছিলেন, "রাজনীতি করলে আপনার পিঠে কেউ ছুরি মারবে এমন ঝুঁকি থাকবেই । কিন্তু এটা আমি কখনো ক্ষমা করবো না যে আমাকে পার্লামেন্টের মাধ্যমে বিদায় নিতে দেয়া হয় নি। এটা আমি ভুলবো না"। তার সময়েই তেল, গ্যাস, ইস্পাত, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ, এবং পানি সরবরাহের মত বৃহদায়তন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বেসরকারি খাতের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই কারণে শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে তাঁকে দীর্ঘদিন লড়াই করতে হয়। শ্রমিকদের ধর্মঘট, আন্দোলন তিনি কঠোর হাতে দমন করেন। ব্রিটেনে ধনী-গরীবের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোর জন্যও লোকে তাকেই প্রধানত দায়ী করে থাকেন। তার শাসনব্যবস্থা দেখেই তখনকার সোভিয়েত সংবাদপত্র প্রাভদা তার নামকরণ করে আয়রন লেডি বা লৌহ মানবী। তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগান তাঁর নাম দিয়েছিলেন 'দা বেস্ট মেন ইন ৷

সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৭

১০০১ সালে ২৭শে নভেম্বর গজনীর সুলতান মুহাম্মদের কাছে যুদ্ধে রাজা জয়পাল সিং পরাজীত হয়৷


Post By
Kalipada Roy



১০০১ সালে ২৭শে নভেম্বর গজনীর সুলতান মুহাম্মদের কাছে যুদ্ধে রাজা জয়পাল সিং পরাজীত হয়৷
সুলতান মাহমুদ গজনী’র সামরিক অভিযানসমূহ
Amin
1 বছর ago
এম এস শহিদ : পিতা সবুক্তগীনের মৃত্যুর পর ৯৯৭ খৃস্টাব্দে সুলতান মাহমুদ গজনীর সিংহাসনে আরোহণ করেন। ভারতে সামরিক অভিযান তার রাজত্বকালের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। বীরোত্তম সুলতান মাহমুদ ভারতবর্ষে সর্বমোট ১৭ বার যুদ্ধাভিযান করেন এবং এতে তার তেত্রিশ বৎসর রাজত্বকালের ২৭ বৎসর ব্যয় হয়। ভারতবর্ষে তার বীরোচিত সামরিক অভিযানগুলো নিম্নে আলোকপাত করা হলোঃ–
সীমান্তের দুর্গ দখল : ১০০০ খৃস্টাব্দের দিকে সুলতান মাহমুদ সর্বপ্রথম ভারতবর্ষে অভিযান করে সীমান্তের দুর্গগুলো অধিকার করেন। এই সীমান্ত দুর্গ–নগরগুলো নামদান ও পেশাওয়ারের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত ছিল।
জয়পালের বিরুদ্ধে অভিযান : ১০০১ খৃস্টাব্দের দিকে সুলতান মাহমুদ জয়পালের বিরুদ্ধে অগ্রসর হলেন এবং পেশোয়ারের নিকট দশ হাজার অশ্বারোহীসহ তাঁবু ফেলেন। সবুক্তগীনের নিকট দু’বার পরাজিত হয়েও জয়পাল মুসলিম আক্রমণের বিরোধিতা ও সন্ধিশর্ত ভঙ্গ করে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। ১০০১ খৃস্টাব্দের ২৮ নভেম্বর জয়পাল বার হাজার অশ্বারোহী, ত্রিশ হাজার পদাতিক এবং তিনশত হস্তীবাহিনী নিয়ে মাহমুদের গতিরোধ করেন। তুমুল যুদ্ধে সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বাধীন মুসলিম বাহিনীর কাছে জয়পাল শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন এবং পুত্র–পরিবার পরিজনসহ জয়পাল বন্দী হন। কতিপয় শর্তে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। এ পরাজয়ের ফলে জয়পাল হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং স্বীয়পুত্র আনন্দপালের ওপর রাজ্যভার ন্যস্ত করে মুসলমানদের কাছে পরাজয়ের গ্লানি মোচনের জন্য অগ্নিশিখায় প্রজ্বলিত হযে আত্মাহুতি দেন। মাহমুদ জয়পালকে পরাজিত করে সিন্ধু নদের পশ্চিম তীরবর্তী শহর উন্দ দখল করে গজনীতে প্রত্যাবর্তন করেন।
Image may contain: 1 person

ভীরার রাজার বিরুদ্ধে অভিযান : ১০০১ থেকে ১০০৪ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত সুলতান মাহমুদ পশ্চিমাঞ্চলে ব্যস্ত থাকায় ভারতবর্ষে সামারিক অভিযান করতে পারেন নাই। কিন্তু ১০০৪–৫ খৃস্টাব্দে ঝিলামের পশ্চিম তীরের রাজ্য ভীরার রাজা বিজয় রায়ের বিরুদ্ধে সামরিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা ভঙ্গ করেন। তাই বিশ্বাসঘাতক ভীরার রাজার বিরুদ্ধে মাহমুদ সামরিক অভিযান করেন। সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বাধীন মুসলিম বাহিনীর সাথে ভীরার রাজা বিজয় রায়ের নেতৃত্বাধীন হিন্দু বাহিনীর তিন দিন ধরে তুমুল যুদ্ধ সংঘটিত হয়। জয়–পরাজয় অনিশ্চিত থাকে। কিন্তু চতুর্থ দিনে মুসলিম বাহিনীর মুহুর্মুহু প্রচন্ড আক্রমণে ভীরার দুর্গ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং হিন্দু বাহিনী পরাজয় বরণ করে। ভীরার রাজা বিজয় রায় মুসলিম বাহিনীর হাতে বন্দী হন এবং বন্দী অবস্থায় আত্মহত্যা করেন। ভীরা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা সুলতান মাহমুদের পদানত হলো।
মুলতান বিজয় : সুলতানের শাসনকর্তা আবুল ফাত্তাহ দাউদ গজনীর সুলতান মাহমুদের অগ্রাভিযানকে প্রতিহত করার জন্য জয়পালের পুত্র আনন্দপালের সাথে সখ্যতা স্থাপন করেন। তাছাড়া তার অনৈসলামিক কার্যকলাপ, বিদ্বেষ ও বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ আচরণে সুলতান মাহমুদ ক্রুদ্ধ হয়ে ১০০৫–৬ খৃস্টাব্দে পাঞ্জাবের মধ্য দিয়ে মুলতানের দিকে অগ্রসর হলেন। কারামাতী নেতা দাউদের প্ররোচনায় আনন্দপাল তার গতিরোধ করলে তিনি পরাজিত হয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় আশ্রয় গ্রহণ করেন। অতঃপর মুলতানের শাসনকর্তা কারামাতী নেতা দাউদকে সমুচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য মাহমুদ সুলতান অবরোধ করেন। সাত দিন অবরুদ্ধ থাকার পর দাউদ সুলতান মাহমুদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। কতিপয় শর্তে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। দাউদ তার ইসলাম বিরোধী ধর্মমত কারামতী পরিত্যাগ করে শরীয়ত মোতাবেক ধর্মীয় অনুশাসন পালন এবং বাৎসরিক ২০ হাজার দিরহাম প্রদানের অঙ্গীকারে বশ্যতা স্বীকার করেন। মুলতান হতে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে মাহমুদ আনন্দপালের পুত্র সুখপালের ওপর শাসনভার অর্পণ করেন এবং মোঙ্গল নেতা ইলাক খানের হঠাৎ গজনী রাজ্য আক্রমণের সংবাদে তিনি দ্রুত রাজধানীতে ফিরে যান। সুখপাল ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নেওয়াশা শাহ উপাধি গ্রহণ করেন।
সুখপালের বিরুদ্ধে অভিযান : সুলতান মাহমুদ ও মোঙ্গল নেতা ইলাক খানের মধ্যে প্রচন্ড যুদ্ধ চলবার সুযোগে সুখপাল ১০০৭ খৃস্টাব্দে ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগ করে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। ইলাক খানের বিরুদ্ধে বলখের যুদ্ধ শেষে সুখপালের ধৃষ্টতার জন্য মাহমুদ মুলতান অভিযান করেন। কিন্তু সীমান্তে পৌঁছে সংবাদ পেলেন যে, ইতোমধ্যে তার আমীরগণ সুখপালকে পরাজিত ও বন্দি করেছে এবং সেইসাথে ৪ লাখ দিরহাম জরিমানা ও যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে।
আনন্দপালের বিরুদ্ধে অভিযান : কারামতী নেতা আবু দাউদকে সাহায্যের জন্য ১০০৮–৯ খৃস্টাব্দে সুলতান মাহমুদ একটি বিশাল বাহিনী নিয়ে ভাতিন্দা রাজ্যের রাজা আনন্দপালের বিরুদ্ধে অগ্রসর হলেন। সমূহ বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আনন্দপাল ভারতবর্ষের অন্যান্য হিন্দু রাজন্যবর্গের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে উজ্জয়িনী, কনৌজ, কানিজর, দিল্লি ও আজমীরের হিন্দু রাজন্যবর্গ সৈন্য সামন্ত নিয়ে এগিয়ে আসেন।

বাংলাদেশের খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ, নাট্যকার ও সমালোচক মুনীর চৌধুরী ১৯২৫ সালে ২৭শে নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন৷

বাংলাদেশের খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ, নাট্যকার ও সমালোচক মুনীর চৌধুরী ১৯২৫ সালে ২৭শে নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন৷
এই নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উইকিপিডিয়া এশীয় মাস। আসুন যোগ দিন।
প্রধান মেনু খুলুন
অনুসন্ধান
সম্পাদনানজর রাখুনঅন্য ভাষায় পড়ুন
মুনীর চৌধুরী
বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক, ভাষাবিজ্ঞানী, বাগ্মী এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী
আবু নয়ীম মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী (২৭ নভেম্বর ১৯২৫ - ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১) একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক, ভাষাবিজ্ঞানী, বাগ্মী এবং শহিদ বুদ্ধিজীবী। তিনি তৎকালীন ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানাধীন গোপাইরবাগ গ্রামে। তিনি ছিলেন ইংরেজ আমলের একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খান বাহাদুর আবদুল হালিম চৌধুরীর চৌদ্দ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। কবীর চৌধুরী তাঁর অগ্রজ, ফেরদৌসী মজুমদার তাঁর অনুজা। ১৯৪৯-এ লিলি চৌধুরীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন...

Image may contain: 1 person, sunglasses
মুনীর চৌধুরী
জন্ম আবু নয়ীম মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী
২৭ নভেম্বর ১৯২৫
মানিকগঞ্জ, বাংলাদেশ
মৃত্যু ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ (৪৬ বছর)
শিক্ষা এমএ (ভাষাতত্ত্ব)
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬২)
দাম্পত্যসঙ্গী লিলি চৌধুরী
সন্তান আহমেদ মুনীর
আশফাক মুনীর
আসিফ মুনীর
আত্মীয় ফেরদৌসী মজুমদার (বোন)
কবীর চৌধুরী (ভাই)
ছাত্রজীবন
শিক্ষকতা পর্ব
রাজনৈতিক জীবন
বাংলা টাইপরাইটার ও মুনীর অপ্‌টিমা
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদান
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও মৃত্যু
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি
পুরস্কার
তথ্যসূত্র

যতীন্দ্রমোহন বাগচী (ইংরেজি: Jatindramohan Bagchi; (২৭ নভেম্বর, ১৮৭৮ - ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮) ছিলেন একজন বাঙালি কবি ও সম্পাদক।[

Post By
Kalipada Roy



যতীন্দ্রমোহন বাগচী (ইংরেজি: Jatindramohan Bagchi; (২৭ নভেম্বর, ১৮৭৮ - ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮) ছিলেন একজন বাঙালি কবি ও সম্পাদক।[১]
যতীন্দ্রমোহন বাগচী
জন্ম ২৭ নভেম্বর, ১৮৭৮
মৃত্যু ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮
জাতিসত্তা বাঙালি
যে জন্য পরিচিত কবি ও সাংবাদিক
শৈশব সম্পাদনা
যতীন্দ্রমোহনের জন্মস্থান, জমশেরপুর, নদীয়া
তিনি নদীয়া জেলার জমশেরপুরে জমিদার পরিবারে (বর্তমান বাগচী জমশেরপুর) জন্মেছিলেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস বলাগড় গ্রাম, হুগলী। তিনি তাঁর প্রথম ডিগ্রি কলকাতার ডাফ কলেজ (এখন স্কটিশ চার্চ কলেজ) থেকে নিয়েছিলেন।[১][২][৩]
কর্মজীবন সম্পাদনা
তিনি সারদাচরন মিত্রের প্রাইভেট সেক্রেটারিরূপে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে কলকাতা কর্পোরেশনে নাটোর মহারাজের প্রাইভেট সেক্রেটারি ও জমিদারির সুপারিনটেন্ডেন্ট পদে এবং কর কোম্পানি[৪] ও এফ.এন গুপ্ত কোম্পানীর ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেন।
সাহিত্য জীবন সম্পাদনা
তিনি বহু সাহিত্যিক পত্রিকায় গঠনমূলক অবদান রেখেছেন। ১৯০৯ থেকে ১৯১৩ পর্যন্ত মানসী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ১৯২১ এবং ১৯২২ সালে তিনি যমুনা পত্রিকার যুগ্ন সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮ পূর্বাচল পত্রিকার মালিক এবং সম্পাদক ছিলেন। তার রচনায় তার সমকালীন রবীন্দ্র সাহিত্যের প্রভাব লক্ষ্য করে যায়। তাকে রবীন্দ্র পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের একজন প্রধান সাহিত্যিক হিসেবে বিবেচনা করে হয়।[১] বাগচি ১৯৪৮ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী মৃত্যুবরন করেন।[৫]
পল্লী-প্রীতি যতীন্দ্রমোহন বাগচীর কবিমানসের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। "পথের পাঁচালী"র বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কবি জীবনানন্দ দাশের মত তাঁর কাব্যবস্তু নিসর্গ-সৌন্দর্যে চিত্ররূপময়। গ্রাম বাঙলার শ্যামল স্নিগ্ধ রূপ উন্মোচনে তিনি প্রয়াসী হয়েছেন। গ্রাম জীবনের অতি সাধারণ বিষয় ও সুখ-দুঃখ তিনি সহজ সরল ভাষায় সহৃদয়তার সংগে তাৎপর্যমণ্ডিত করে প্রকাশ করেছেন।
সাহিত্যকর্ম সম্পাদনা
সংকলিত কবিতা সম্পাদনা
তাঁর কাব্যগ্রন্থসমূহের মধ্যে আছেঃ


লেখা (১৯০৬),
রেখা (১৯১০),
অপরাজিতা (১৯১৫),
বন্ধুর দান (১৯১৮),
জাগরণী (১৯২২),
নীহারিকা (১৯২৭)
মহাভারতী (১৯৩৬)[৬]
কাব্যমালঞ্চ
নাগকেশর,
পাঞ্চজন্য,
পথের সাথী প্রভৃতি।[৪]
কবিতা সম্পাদনা
কাজলাদিদি
শ্রিকল
অন্ধ বধু
তথ্যসূত্র

রবিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৭

১৮৯৫ সালে ২৭ শে নভেম্বর বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল উইল করে নোবেল পুরষ্কারের প্রদানের জন্য তহবিল গঠন করেন৷ এখন বিশ্ব জুরে সেই তহবিল থেকেই নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হয়৷

Post By
Kalipada Roy




১৮৯৫ সালে ২৭ শে নভেম্বর বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল উইল করে নোবেল পুরষ্কারের প্রদানের জন্য তহবিল গঠন করেন৷ এখন বিশ্ব জুরে সেই তহবিল থেকেই নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হয়৷
সম্পাদনানজর রাখুনঅন্য ভাষায় পড়ুন
আলফ্রেদ নোবেল
আলফ্রেড বের্নহার্ড নোবেল (সুয়েডীয় Alfred Nobel আল্‌ফ্রেএদ্‌ বের্ন্‌হাড্‌ নোবেল্‌; জন্মঃ ২১ অক্টোবর, ১৮৩৩ - মৃত্যুঃ ১০ ডিসেম্বর, ১৮৯৬) একজন সুয়েডীয় রসায়নবিদ, প্রকৌশলী, উদ্ভাবক এবং অস্ত্র নির্মাতা। তিনি ডায়নামাইট আবিষ্কার করেন। তিনি ব্যবসায়েও বিশেষ প্রসিদ্ধি অর্জন করেছিলেন। বিখ্যাত ইস্পাত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোফোর্স এর মালিক ছিলেন অনেকদিন, প্রতিষ্ঠানটিকে এক সময় অন্যতম বৃহৎ অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন। তার নামে ৩৫০টি ভিন্ন ভিন্ন পেটেন্ট ছিল যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে ডায়নামাইট। মৃত্যুর আগে উইল করে তিনি তার সুবিশাল অর্থ সম্পত্তি নোবেল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য রেখে যান। উইলে আরও বলে যান, নোবেল ইনস্টিটিউটের কাজ হবে প্রতি বছর নোবেল পুরস্কার এর অর্থ প্রদান করা।
আলফ্রেদ নোবেল
পেশা রসায়নবিদ, প্রকৌশলী, প্রবর্তক, আর্নামেন্ট প্রস্তুতকারক এবং ডায়নামাইটের আবিস্কারক।
যে জন্য পরিচিত ডায়নামাইট আবিস্কার, নোবেল পুরস্কার
স্বাক্ষর
ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা
১৮৩৩ সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আলফ্রেদ নোবেল জন্মগ্রহণ করেন। সে বছরই তার বাবা ইমানুয়েল নোবেল দেউলিয়া হন। ১৮৩৭ সালে ইমানুয়েল নোবেল স্টকহোমে তার পরিবার রেখে প্রথমে ফিনল্যান্ড এবং পরে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে যান ভাগ্যের সন্ধানে। সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৪২ সালে পরিবারের সবাইকে সেন্ট পিটার্সবার্গে নিয়ে আসেন ইমানুয়েল। ১৮৭২ সালে আলফ্রেড নোবেলের বাবা ইমানুয়েল মৃত্যুবরণ করেন। ১৮৮৯ সালে নোবেলের মা আন্দ্রিয়েতি মৃত্যুবরণ করেন। তিনিl অবিবাহিত ছিলেন।
কর্মজীবন সম্পাদনা
১৮৫০-১৮৫২ সাল পর্যন্ত আলফ্রেদ নোবেল ফ্রান্সের পারি গিয়ে টি. জুলস পিলৌজ গবেষণাগারে কাজ করেন কিছুদিন। জার্মানি, ইতালি এবং যুক্তরাষ্ট্রেও ভ্রমণ করেন। ১৮৫৩-১৮৫৬ সালে ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সূচনা। যুদ্ধের প্রথম দিকে নোবেল কোম্পানি অনেক সমৃদ্ধি অর্জন করে, কিন্তু যুদ্ধ শেষে যখন রুশ সামরিক বাহিনী অর্ডার উঠিয়ে নেয়া তখন দেউলিয়া হয়ে যায়। আলফ্রেদ নোবেল মরিয়া হয়ে নতুন পণ্য উৎপাদনের চেষ্টা করতে থাকেন। তার রসায়ন শিক্ষক নিকোলাই এন. জিনিন তাকে নাইট্রোগ্লিসারিন এর কথা মনে করিয়ে দেন।
১৮৬২ সালে নোবেল নাইট্রোগ্লিসারিন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। ১৮৬৩ সালে নোবেল তার প্রথম নাইট্রোগ্লিসারিন-জাত পণ্যের পেটেন্ট করেন। একে ইংরেজিতে বলা হচ্ছিল "ব্লাস্টিং অয়েল", এটি এক ধরনের বিস্ফোরক। এরপর "ব্লাস্টিং ক্যাপ" নামক একটি ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেন যা নাইট্রোগ্লিসারিন বিস্ফোরণের ট্রিগার হিসেবে কাজ করে। এ সময়ই তিনি স্টকহোমে চলে আসেন এবং এখানেই গবেষণা চালিয়ে যান।
Image may contain: 1 person, beard
১৮৬৪ সালে স্টকহোমের হেলেনেবোর্গে নাইট্রোগ্লিসারিন প্রস্তুতির সময় বিস্ফোরণে আলফ্রেড নোবেলের ভাই এমিল মারা যায়। নোবেল পরীক্ষা চালিয়ে যান এবং স্টকহোমে "নাইট্রোগ্লিসারিন এবি" নামক একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। ১৮৬৫ সালে নোবেল তার ব্লাস্টিং ক্যাপ নকশাটির আরও উন্নতি সাধন করেন। সুইডের থেকে জার্মানি চলে এসে হামবুর্গ শহরের নিকটে ক্রুমেল নামক স্থানে "আলফ্রেড নোবেল অ্যান্ড কোম্পানি" কারখানাটি নির্মাণ করেন। ১৮৬৬ সালে নোবেল যুক্তরাষ্ট্রে "ইউনাইটডে স্টেটস ব্লাস্টিং অয়েল কোম্পানি" প্রতিষ্ঠা করেন। একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্রুমেলের কারখানাটি ধ্বংস হয়ে যায়। এলবে নদীতে একটি ভেলা ভাসিয়ে তাতে নোবেল নাইট্রোগ্লিসারিন বিস্ফোরককে আরও নিরাপদ করার চেষ্টা চালিয়ে যান। এ সময়ই তিনি বুঝতে পারেন, নাইট্রোগ্লিসারিনের সাথে কাইসেলগুর (সিলিকনের মত অধঃক্ষেপ, ডায়াটোমেশাস মাটি হিসেবেও পরিচিত) মেশালে তা স্থিত হয়। এই নতুন মিশ্র বিস্ফোরকের নাম দেন ডায়নামাইট। ১৮৬৭ সালে ডায়নামাইটের জন্য পেটেন্ট অর্জন করেন। ১৮৭১ সালে নোবেল স্কটল্যান্ডের আর্ডিয়ারে "ব্রিটিশ ডায়নামাইট কোম্পানি" প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৭৭ সালে এই কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছিল "নোবেল'স এক্সপ্লোসিভ কোম্পানি"। ১৮৭৩ সালে ৪০ বছর বয়সে নোবেল প্রভূত সম্পত্তির অধিকারী হন। পারি (প্যারিস) গিয়ে মালাকফ এভিনিউ এ থিতু হন। একই বছর আর্ডিয়ারের কারখানায় নাইট্রোগ্লিসারিন ও ডায়নামাইট উৎপাদন শুরু হয়। ১৮৭৫ সালে নোবেল "ব্লাস্টিং গিলাটিন" উদ্ভাবন করে পরের বছর পেটেন্ট করেন। ফ্রান্সের পারিতে "সোসাইটি জেনারেলে পৌর লা ফেব্রিকেশন দে লা ডাইনামাইট" প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৭৬ সালে জার্মানির হামবুর্গে আলফ্রেড নোবেল অ্যান্ড কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ডাইনামাইটাকটাইঙ্গেসেলশাফট (ডিএজি)।
নোবেল একজন ব্যক্তিগত সচিব ও গৃহপরিচারিকা খুঁজতে শুরু করেন। এ সময় তার সাথে বার্থা কিনসে ভন চিনিক আন্ড টেত্তাউ-এর পরিচয় হয় এবং তাকেই ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে পছন্দ করেন।

এক নজরে দেখে নিন ২৭শে নভেম্বরে ইতিহাসে কোথায় কি ঘটেছিল৷

Post By
Kalipada Roy




ইতিহাসে ২৭ নভেম্বর
১০০১ সালের এই দিনে গজনীর সুলতান মুহম্মদের কাছে জয়পাল সিংহের পরাজয়।
১৫৮২ সালের এই দিনে উইলিয়াম শেকসপিয়ার বিয়ে করেন।
১৫৯২ সালের এই দিনে সুইডেনের রাজা তৃতীয় জনের মৃত্যু হয়।
১৭০১ সালের এই দিনে সুইডিশ জ্যোতির্বিদ ও থার্মোমিটারের উদ্ভাবক সেলসিয়াসের জন্ম।
১৮৭৮ সালের এই দিনে কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচীর জন্ম।
১৮৯২ সালের এই দিনে শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক স্যার আজিজুল হকের জন্ম।
১৮৯৫ সালের এই দিনে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল তাঁর সমুদয় সম্পত্তি উইল করে নোবেল পুরস্কার প্রদানের জন্য তহবিল গঠন করেন।
১৯০০ সালের এই দিনে রাজনীতিবিদ আবদুর রশিদ তর্কবাগীশের জন্ম।
১৯০১ সালের এই দিনে ওয়াশিংটন ডিসিতে আর্মি ওয়ার কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯১২ সালের এই দিনে আলবেনিয়ার জাতীয় পতাকা গৃহীত হয়।
১৯২৫ সালের এই দিনে শিক্ষাবিদ ও নাট্যকার মুনীর চৌধুরীর জন্ম।
১৯৩২ সালের এই দিনে পোল্যান্ড ও সোভিয়েত ইউনিয়ন পরস্পরকে আক্রমণ না করার চুক্তি করে।
১৯৪০ সালের এই দিনে আমেরিকার অভিনেতা ও মার্শাল আর্টিস্ট ব্রুস লি জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৪০ সালের এই দিনে চীনের রাজা জিয়াওজিংয়ের জন্ম।
১৯৪১ সালের এই দিনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মস্কোর উপকণ্ঠে জার্মানী ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাদের মধ্যে বিখ্যাত ট্যাংক যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
১৯৪৩ সালের এই দিনে চার্চিল রুজভেল্ট ও স্টালিন তেহরান সম্মেলনে মিলিত হন।
১৯৫৩ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত লেখক ইউজিন ওনেইল ৬৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৫৪ সালের এই দিনে শ্রীলংকার বিচ্ছিন্নতাবাদী তামিল দল লিবারেশন টাইগার্স ফর তামিল ইলাম এর প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান নেতা ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ জন্মগ্রহন করেন ।
১৯৭৭ সালের এই দিনে ‘চতুরঙ্গ’ পত্রিকার সম্পাদক আতাউর রহমানের ইন্তেকাল।
১৯৮০ সালের এই দিনে ইরানের ওপর ইরাকের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের গোড়ার দিকে ইরানের নৌবাহিনী পারস্য উপসাগরে এক অভিযানে ইরাকের নৌ বাহিনীকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়।
১৯৯০ সালের এই দিনে বাংলাদেশে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে ডা. শামসুল আনাম মিলন শহীদ হন।
১৯৯২ সালের এই দিন থেকে ব্রিটেনের রানী আয়কর দিতে শুরু করেন।
১৯৯২ সালের এই দিনে তুর্কমেনিস্তান, কিরঘিযিস্তান, উজবেকিস্তান, কাযাকিস্তান, তাজিকিস্তান, আফগানিস্তান ও আজারবাইজান- অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা “ইকো”তে যোগ দেয়।
১৯৯৮ সালের এই দিনে গবেষক ও লেখক নরেন বিশ্বাসের মৃত্যু।
২০০৮ সালের এই দিনে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভি পি সিং দেহত্যাগ করেন।
বিভাগঃ নভেম্বর ।

অগ্নিত্রাণ

অগ্নিত্রাণ
       অাবির্ভাব


পরিনামদর্শী গলে হয়ে গেল জল, 
অকাল পরিণাহ হয়ে গেল বিকল৷
গুপ্ত গৃহে আটকে ছিল পরিতপ্ত মন
প্রকাশ পেয়েছিল পরিদৃশ্যমান সেই জন৷
মাঝেমধ্যে অগ্নিবাণ ধেয়ে আসছে হয়ে অগ্নিত্রাণ
সেই শুনে মনপ্রাণ ভেঙ্গে গুড়ে হয় খানখান৷
এ যেন এক মারণ রোগ ভয়ানক ক্যান্সার
যেন এক পরাজিত দুর্বল রোগাক্রান্ত প্যান্থার৷
নেই শক্তি, আর পুনরপি হবারও নেই সম্ভাবনা,
পুনরায়ন হবার নেই তো আর ভাবনা৷
তাই, চাই না আর অগ্নিত্রাণ
থাক আর বেড়িয়ে যাক এ জীবন-প্রান৷

শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭

এক নজরে দেখে নিন ২৬শে নভেম্বরের ইতিহাস৷

Post By
Kalipada Roy


এক নজরে দেখে নিন ২৬শে নভেম্বরের ইতিহাস৷

ইতিহাসে ২৬ নভেম্বর
১৩৭৯ সালের এই দিনে ইংল্যান্ডে অক্সফোর্ড নিউ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৭০৩ সালের এই দিনে ইংল্যান্ডে এক প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ে ৮ হাজার লোকের জীবনহানি ঘটে।
১৭৩১ সালের এই দিনে ইংরেজ কবি উইলিয়াম কাউপারের জন্ম।
১৮৫৭ সালের এই দিনে সুইস ভাষাবিজ্ঞানী ফের্দিনা দে সোসুরের মৃত্যু।
১৮৯০ সালের এই দিনে শিক্ষাবিদ ও ভাষাতত্ত্ববিদ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম।
১৮৯৮ সালের এই দিনে নোবেলজয়ী [১৯৬৩] জার্মান রসায়নবিদ কার্ল সিগলের জন্ম।
১৯০৭ সালের এই দিনে লর্ড কার্নারভন তাকে ভ্যালি অব দি কিংসে খনন কাজ দেখাশোনা করার দায়িত্ব প্রদান করেন।
১৯১৯ সালের এই দিনে ধ্বনিবিজ্ঞানী মুহম্মদ আবদুল হাই-এর জন্ম।
১৯২২ সালের এই দিনে বৃটিশ প্রত্নবিদ হাওয়ার্ড কার্টার এবং লর্ড কার্নারভন মিসরের ভ্যালি অব দি কিংসে অবস্থিত তুতাংখামেনের সমাধিগৃহে প্রবেশ করেন।
১৯২২ সালের এই দিনে দুই রঙ বিশিষ্ট টেকনিকালারে নির্মিত প্রথম ছবি টোল অব দ্য সী মুক্তি পেয়েছিলো।
১৯২৩ সালের এই দিনে গণিতবিদ যাদবচন্দ্র চক্রবর্তীর মৃত্যু।
১৯৩৩ সালের এই দিনে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম।
১৯৪৩ সালে এই দিনে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন এবং অধূনালুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন তেহরানে বৈঠকে বসে। বৈঠকে জার্মানির সাথে যুদ্ধ পরিচালনার ব্যাপার সহ মিত্র পক্ষের দেশগুলোকে সহায়তা প্রদান এবং নিজেদের মধ্যে সহযোগিতার ব্যাপারে আলোচনা হয়।
১৯৪৯ সালের এই দিনে ভারতীয় গণপরিষদে ভারতের সংবিধান অনুমোদিত হয়।
১৯৪৯ সালের এই দিনে সমাজতাত্ত্বিক বিনয় কুমার সরকার-এর মৃত্যু।
১৯৫০ সালের এই দিনে চীনের বাহিনীর আক্রমণের ফলে কোরিয়া যুদ্ধের প্রকৃতি বদলে গিয়েছিলো।
১৯৫৫ সালের এই দিনে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন অভাবনীয় শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
১৯৮৯ সালের এই দিনে ৪২ বছর পর জার্মানিতে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯১ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমুদ্র তীরবর্তী বৃহত্তম একটি বিমান ঘাঁটি ফিলিপাইনের হাতে তুলে দেয়।
১৯৯২ সালের এই দিনে টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে কমবয়েসী ক্রিকেটার হিসেবে [১৯ বছর ২২ দিন] শচীন টেন্ডুলকার ১ হাজার রান করেন।
২০০১ সালের এই দিনে নেপালে মাওবাদী বিদ্রোহীদের হামলায় ২৮০ জনের প্রাণহানী।
২০০৪ সালের এই দিনে জাতীয় শিক্ষা-সংস্কৃতি আন্দোলন নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ।
বিভাগঃ নভেম্ব

সময়ের অভাব আমাদের সবারই তবুও অনুরোধ করব অমিতাভ বচ্চলের Bagbhan এর সংলাপগুলো শুনুন মন দিয়ে৷

সময়ের অভাব আমাদের সবারই তবুও অনুরোধ করব অমিতাভ বচ্চনের Bagbhan এর সংলাপগুলো শুনুন মন দিয়ে৷ কারো জীবনে এমন ঘটনা না ঘটুক সেটাই কামনা করি কিন্তু ঘটনাক্রমে যদি ঘটেই যায় কিছু করার থাকে না, তাই আগে থেকেই প্রস্তুত থাকুন৷

ভাষাবিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ২৬শে নভেম্বর, ১৮৯০ সালে জন্মগ্রহণ করেন

Post By 
Kalipada Roy



ভাষাবিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ২৬শে নভেম্বর, ১৮৯০ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি একজন বাঙালি ভাষাতাত্ত্বিক পণ্ডিত, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ।
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
পেশা ভাষাতাত্ত্বিক পণ্ডিত, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ
জাতীয়তা ভারতীয়
জাতি বাঙালি
নাগরিকত্ব ভারতীয়
ধরন ভাষাতত্ত্ব, সাহিত্য ও শিক্ষা
বিষয় ভাষা
উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ ইউরোপ ভ্রমণ, বাঙ্গালা ভাষাতত্ত্বের ভূমিকা, রবীন্দ্র সঙ্গমে
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার সাহিত্য বাচস্পতি, পদ্মবিভূষণ
প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান সুনীতিকুমার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার শিবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা হরিদাস চট্টোপাধ্যায় ছিলেন ইংরেজদের সদাগরি অফিসের কেরানি। তিনি মতিলাল শীল ফ্রি স্কুল থেকে ১৯০৭ সালে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করে কুড়ি টাকা বৃত্তি লাভ করেন। স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে ১৯০৯ সালে ৩য় স্থান অধিকার করে এফ.এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। অতঃপর প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে ১৯১১ সালে ইংরেজিতে সম্মানসহ বি.এ শ্রেণিতে ১ম স্থান অধিকার করেন। ১৯১৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এম.এ শ্রেণিতে ১ম স্থান অর্জন করেন।
১৯১৮ সালে সংস্কৃতের শেষ পরীক্ষায় পাস করেন এবং প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি এবং জুবিলি গবেষণা পুরস্কার অর্জন করেন।[১]
কর্মজীবন সম্পাদনা
কৃতিত্বের সাথে এম.এ ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি কলকাতা বিদ্যাসাগর কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ১৯১৪ - ১৯১৯ সাল পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিষয়ের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯১৯ সালে তিনি ভারত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় লন্ডনে যান এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধ্বনিবিজ্ঞানে ডিপ্লোমা লাভ করেন। ১৯২১ সালে ঐ একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর অভিসন্দর্ভের বিষয়বস্তু ছিল 'ইন্দো-আরিয়ান ফিললজি'। লন্ডনে থাকাকালীন সময়ে তিনি ধ্বনিতত্ত্ব ও ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাতত্ত্ব ছাড়াও প্রাকৃত ভাষা, ফার্সি ভাষা, প্রাচীন আইরিশ ভাষা, পুরনো ইংরেজি ও গোথিক ভাষায় ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। অতঃপর লন্ডন থেকে তিনি প্যারিসে গমন করেন। সেখানে তিনি প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ে স্লাভ ও ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষাতত্ত্ব, প্রাচীন সগডিয়ান ও প্রাচীন খোতানি ভাষা, গ্রিক ও লাতিন ভাষার ইতিহাস এবং অস্ট্রো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়াটিক ভাষাতত্ত্ব বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯২২ সালে দেশে ফিরে আসার পর স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কর্তৃক ভারতীয় ভাষাতত্ত্বের 'খয়রা' অধ্যাপক হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় কর্মজীবন শুরু করেন। এখানে দীর্ঘ ৩০ বছর কাজ করার পর ১৯৫২ সালে এমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে পুনঃনিযুক্ত হন।

অর্জুন রামপাল ২৬ নভেম্বর, ১৯৭২ সালে জন্মগ্রহণ করেন

Post By
Kalipada Roy


অর্জুন রামপাল ২৬ নভেম্বর, ১৯৭২ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি একজন ভারতীয় অভিনেতা, প্রযোজক, মডেল এবং টেলিভিশান উপস্থাপক। তিনি বলিউডের একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা। ২০০১ সালে পিয়ার ইশক অর মোহাব্বাত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রাভিনয়ে অভিষেক ঘটে। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য রামপাল ফিল্মফেয়ার বেস্ট মেল ডেব্যু এর মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি দিল হ্যায় তুমহারা, দিল কা রিশতা, অসম্ভব, ইয়াকিন, ওম শান্তি ওম, রক অন!!, হাউজফুল, রা ওয়ান প্রভূতি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। রক অন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য অর্জুন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার - সহ অভিনেতা এবং ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন।[১][২] অর্জুনের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম চেজিং গণেষা ফিল্মস।[৩]
অর্জুন রামপাল
অর্জুন রামপাল, ২০১২ সালে হিরোইন চলচ্চিত্র মুক্তির প্রাক্কালে
জন্ম ২৬ নভেম্বর ১৯৭২ (বয়স ৪৪)
জাবালপুর, ভারত
বাসস্থান মুম্বাই, মহারাষ্ট্র, ভারত
পেশা মডেল, অভিনেতা, চলচ্চিত্র প্রযোজক
কার্যকাল ২০০১ থেকে বর্তমান
ধর্ম হিন্দু
দাম্পত্য সঙ্গী মেহ্র জেসিয়া রামপাল (১৯৯৮–২০১৫-বিচ্ছেদ)

অর্জুন রামপাল ২৬ নভেম্বর, ১৯৭২ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি একজন ভারতীয় অভিনেতা, প্রযোজক, মডেল এবং টেলিভিশান উপস্থাপক। তিনি বলিউডের একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা। ২০০১ সালে পিয়ার ইশক অর মোহাব্বাত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রাভিনয়ে অভিষেক ঘটে। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য রামপাল ফিল্মফেয়ার বেস্ট মেল ডেব্যু এর মনোনয়ন লাভ করেন। তিনি দিল হ্যায় তুমহারা, দিল কা রিশতা, অসম্ভব, ইয়াকিন, ওম শান্তি ওম, রক অন!!, হাউজফুল, রা ওয়ান প্রভূতি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। রক অন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য অর্জুন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার - সহ অভিনেতা এবং ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন।[১][২] অর্জুনের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম চেজিং গণেষা ফিল্মস।[৩]
অর্জুন রামপাল
অর্জুন রামপাল, ২০১২ সালে হিরোইন চলচ্চিত্র মুক্তির প্রাক্কালে
জন্ম ২৬ নভেম্বর ১৯৭২ (বয়স ৪৪)
জাবালপুর, ভারত
বাসস্থান মুম্বাই, মহারাষ্ট্র, ভারত
পেশা মডেল, অভিনেতা, চলচ্চিত্র প্রযোজক
কার্যকাল ২০০১ থেকে বর্তমান
ধর্ম হিন্দু
দাম্পত্য সঙ্গী মেহ্র জেসিয়া রামপাল (১৯৯৮–২০১৫-বিচ্ছেদ)
Image may contain: 1 person, closeup