By %MONIR%

শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭

এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসে ১৬ই ডিসেম্বর কোথায় কি

Post By
Kalipada Roy

এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসে ১৬ই ডিসেম্বর কোথায় কি
 ঘটেছিল৷আজ মহান বিজয় দিবস।
১৯৭১ এই দিনে বাংলাদেশ স্বাধীন হয় ।
১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে ইংরেজ মহিলা ঔপন্যাসিক জেন অস্টিন-এর জন্ম।
১৯০১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে নবাব খাজা আহসানউলস্নাহর ইনত্মেকাল।
১৯০৪ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে কলকাতার প্রথম দৈনিক সান্ধ্য পত্রিকা ‘সন্ধ্যা’ প্রকাশিত হয়।
১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে সংগীত শিল্পী মাহমুদুন্নবীর জন্ম।
১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে ইংরেজ কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার সমাসেট মম-এর মৃতু্য।
১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে বঙ্গবন্ধু সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে কণ্ঠশিল্পী ফিরোজ সাই-এর ইন্তেকাল।
১৯৫০ সালের ১৬ ই ডিসেম্বরে সাইপ্রাসের জনগণ তাদের দেশর ওপর ব্রিটিশ আধিপত্যের পরিসমাপ্তির লক্ষ্যে স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু করে।
১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ই ডিসেম্বরে কাজাকিস্তান নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
১৯৯৮ সালের ১৬ই ডিসেম্বর প্যারিসের একটি আপীল আদালত ফ্রান্সের বিশিষ্ট মুসলিম দার্শনিক, ইতিহাসবিদ ও লেখক রজার গারুদিকে হোলোকাস্টের কথিত গণহত্যার কল্পকাহিনী অস্বীকার করার অপরাধে জেল ও জরিমানা করে।

বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭

আজ ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় "শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস৷

Post By
Kalipada Roy

 আজ ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় "শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস৷
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বাংলাদেশে পালিত একটি বিশেষ দিবস। প্রতিবছর বাংলাদেশে ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।[১][২][৩] ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৪ই ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর সকল বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। এ কাজে বাংলাদেশীদের মধ্যে রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীর লোকেরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছিল।
Image may contain: 16 people প্রেক্ষাপট সম্পাদনা
১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য হাজার হাজার শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাদের ওপর চালায় নির্মম-নিষ্ঠুর নির্যাতন তারপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বুঝতে পেরেছিল, তাদের পরাজয় অনিবার্য। তারা আরো মনে করেছিল যে, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা বেঁচে থাকলে এ মাটিতে বসবাস করতে পারবে না। তাই পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাহীন ও পঙ্গুত্ব করতে দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের বাসা এবং কর্মস্থল থেকে রাতের অন্ধকারে পৈশাচিক কায়দায় চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে হত্যা করে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বর ঘটনা, যা বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী মানুষকে স্তম্ভিত করেছিল। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রেখে যায়। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরপরই নিকট আত্মীয়রা মিরপুর ও রাজারবাগ বধ্যভূমিতে স্বজনের লাশ খুঁজে পায়। বর্বর পাক বাহিনী ও রাজাকাররা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেছিল। বুদ্ধিজীবীদের লাশজুড়ে ছিল আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা, কারো কারো শরীরে একাধিক গুলি, অনেককে হত্যা করা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে। লাশের ক্ষত চিহ্নের কারণে অনেকেই তাঁদের প্রিয়জনের মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারেননি। ১৯৭২ সালে জাতীয়ভাবে প্রকাশিত বুদ্ধিজীবী দিবসের সঙ্কলন, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও আন্তর্জাতিক নিউজ ম্যাগাজিন ‘নিউজ উইক’-এর সাংবাদিক নিকোলাস টমালিনের লেখা থেকে জানা যায়, শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা মোট ১ হাজার ৭০ জন।[৪]
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ সম্পাদনা
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত হয় বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। এটি ঢাকার মীরপুরে অবস্থিত। স্মৃতিসৌধটির স্থপতি মোস্তফা হালি কুদ্দুস। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, রাজাকার ও আল-বদর বাহিনীর সহায়তায় বাংলাদেশের বহুসংখ্যক বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে তাদেরকে মিরপুর এলাকায় ফেলে রাখে। সেই সকল বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে সেই স্থানে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। এ সকল বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ঢাকার রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নাম জানা ও অজানা বুদ্ধিজীবীদের সম্মানে নির্মাণ করা হয়েছে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ’। স্থপতি মো. জামী-আল সাফী ও ফরিদউদ্দিন আহমেদের নকশায় নির্মিত এ স্মৃতিসৌধ ১৯৯৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া বাংলাদেশ ডাকবিভাগ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে একটি স্মারক ডাকটিকিটের সিরিজ বের করেছে।
২৫ মার্চ ১৯৭১ কলো রাতেই শুরু হয় বুদ্ধিজীবীদের নিধনযজ্ঞ কার্যক্রম। পরিকল্পিতভাবে ১৪ ডিসেম্বরে সবচেয়ে বেশীসংখ্যক বুদ্ধিজীবী নিধন করা হয়েছিল। তাই, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ এইদিনকে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ ঘোষণা করেন। বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী কোষগ্রন্থ’(১৯৯৪) থেকে জানা যায়, ২৩২ জন বুদ্ধিজীবী শহীদ হয়েছেন। তবে তালিকায় অসম্পূর্ণতার কথা ওই গ্রন্থেই স্বীকার করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের ১৮, মতান্তরে ২৯ তারিখে বেসরকারীভাবে গঠিত বুদ্ধিজীবী নিধন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। এরপর “বুদ্ধিজীবী তদন্ত কমিটি” গঠিত হয়। এই কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাও ফরমান আলী এদেশের ২০,০০০ বুদ্ধিজীবীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু এই পরিকল্পনা মতো হত্যাযজ্ঞ চলেনি। কারণ ফরমান আলীর লক্ষ্য ছিল শীর্ষ বুদ্ধিজীবীদেরকে গভর্নর হাউজে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলা। বুদ্ধিজীবী তদন্ত কমিটির প্রধান জহির রায়হান বলেছিলেন, এরা নির্ভুলভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রমনষ্ক বুদ্ধিজীবীদেরকে বাছাই করে আঘাত হেনেছে। উল্লেখ্য,ওই কমিশনের আহবায়ক ছিলেন চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান, যিনি নিখোঁজ হন ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি।

শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৭

স্যার যদুনাথ সরকার,১০ ই ডিসেম্বর ১৮৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷

Post By
Kalipada Roy

স্যার যদুনাথ সরকার,১০ ই ডিসেম্বর ১৮৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি স্বনামধন্য বাঙালি ইতিহাসবিদ। তিনিই প্রথম মীর্জা নাথান রচিত বাহারিস্তান-ই-গায়বী‎ এর পাণ্ডুলিপি ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগারে খুঁজে পান এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন জার্নালে বাংলা এবং ইংরেজিতে প্রবন্ধ লিখে বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জন্ম ও পরিবার সম্পাদনা
Image may contain: 1 person যদুনাথ সরকারের জন্ম ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের ১০ ডিসেম্বর, বৃহত্তর রাজশাহী জেলার আত্রাই থানার কড়চমারিয়া গ্রামে৷ পিতা রাজকুমার সরকার এবং মাতা হরিসুন্দরী দেবীর ৭ পুত্র এবং ৩ কন্যার মধ্যে তিনি ৫ম সন্তান, ৩য় পুত্র। তাদের পূর্বপুরুষ ধনাঢ্য জমিদার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। বিদ্যানুরাগী রাজকুমার সরকারের ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার ছিল বিশালাকার। গণিতের ছাত্র হলেও ইতিহাসে ছিল গভীর আগ্রহ। নানা জনহিতকর কাজে তিনি সময় ও অর্থ ব্যয় করতে ভালোবাসতেন। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এই বিষয়াদি যদুনাথ সরকারকে প্রভাবান্বিত করেছিল। পিতার মাধ্যমেই অল্প বয়সে তাঁর পরিচয় হয়েছিল বার্ট্রান্ড রাসেলের 'Hisotry of England' নামীয় গ্রন্থের সঙ্গে। রাজকুমার সরকার পুত্রের হাতে প্লুটার্ক রচিত প্রাচীন গ্রিক ও রোমান নায়কদের জীবনী তুলে দিয়েছিলেন। পিতাই তাঁর কিশোর চিত্তে ইতিহাসের নেশা জাগিয়ে দিয়েছিলেন।
শিক্ষাজীবন সম্পাদনা
গ্রামের স্কুলে তাঁর আনুষ্ঠানিক শিক্ষার শুরু। তারপর অধ্যয়ন করেছেন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে। এরপর গন্তব্য কোলকাতার হেয়ার স্কুর ও সিটি কলেজিয়েট স্কুল। পরে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাশ করেন প্রথম শ্রেণীতে ষষ্ঠ স্থান অর্জন ক’রে। তিনি রাজশাহী কলেজ থেকে ১ম বিভাগে দশম স্থান অধিকার করে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে।[১] পরবর্তী গন্তব্য কোলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ। থাকতেন ইডেন হোস্টেলে। ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইতিহাস ও ইংরেজি সাহিত্য - এই দুটি বিষয়ে অনার্সসহ বি.এ পাশ করেন এবং ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে ৯০% নম্বর নিয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ পাশ করেন৷ ১৮৯৭ সালে তিনি ‘প্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ’ স্কলারশিপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে স্বর্ণপদকসহ দশ হাজার টাকা বৃত্তি লাভ করেন৷ tushar
কর্মজীবন সম্পাদনা
অধ্যাপনার মাধ্যমে ১৮৯৮ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজে তাঁর প্রথম কর্মস্থল নির্ধারিত হয়। ১৮৯৯ সালে পাটনা কলেজে বদলী হয়ে ১৯২৬ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানে ছিলেন। মাঝখানে কিছুকাল ১৯১৭ থেকে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে অধ্যাপনা করেন। অধ্যাপক জীবনের বেশীরভাগ সময়ই কাটে পাটনা ও কটকে।[২] ৪ আগস্ট, ১৯২৬ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে মনোনীত হন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনিই প্রথম অধ্যাপক ভাইস-চ্যান্সেলর ছিলেন তিনি।
যদুনাথ সরকার ১৯২৩ সালে রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির সম্মানিত সদস্য হন।
সাহিত্যিক জীবন সম্পাদনা
"যদুনাথ সরকার রচনা সম্ভার" গ্রন্থটির প্রচ্ছদপট
ইতিহাস শাস্ত্রে অসাধারণ ও প্রগাঢ় জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন যদুনাথ সরকার। তাঁকে ইতিহাস-চর্চায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন ভগিনী নিবেদিতা, যিনি সিস্টার নিবেদিতা নামেই সমধিক পরিচিত। তিনি ঐতিহাসিক গবেষণা-গ্রন্থ রচনার জন্য বাংলা, ইংরেজী, সংস্কৃত ভাষা ছাড়াও উর্দু, ফারসী, মারাঠীসহ আরও কয়েকটি ভাষা শিখেছিলেন।[২]
ঐতিহাসিক গবেষণা ছাড়াও তিনি একজন বিশিষ্ট সাহিত্য-সমালোচক ছিলেন। এছাড়াও, রবীন্দ্র-সাহিত্যের সমঝদার পাঠক ছিলেন যদুনাথ সরকার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার পাবার আগেই তিনি কবির রচনার ইংরেজী অনুবাদ করে পাশ্চাত্য জগতের কাছে তাঁর পরিচয় তুলে ধরেন।[২]
                                            

এক নজরে দেখে নিন ৯ই ডিসেম্বর ইতিহাসে কোথায় কি ঘটেছিল৷

Post By
Kalipada Roy

ইতিহাসে ৯ ডিসেম্বর
আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন দিবস
১৪৮৪ সালের এই দিনে দৃষ্টিহীন হিন্দি কবি সরুদাসের জন্ম।
১৬০৮ সালের এই দিনে বিশ্বখ্যাত ইংরেজ কবি জন মিল্টনের জন্ম।
১৭৪২ সালের এই দিনে সুইডেনের বিখ্যাত রসায়নবিদ কার্ল উইলহেম শিল জন্মগ্রহণ করেন।
১৭৫৮ সালের এই দিনে ভারতের মাদ্রাজকে নিয়ে উপনিবেশবাদী বৃটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে ১৮ মাসের যুদ্ধ শুরু হয়।
১৭৯৩ সালের এই দিনে নিউ ইয়র্ক শহড়ের প্রথম সংবাদপত্র ‘আমেরিকান মিনার্ভা’ নোয়াহ ওয়েবস্টার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৬৫ সালের এই দিনে ফরাসি গণিতবিদ জাক হাদামার্দের জন্ম।
১৮৮০ সালের এই দিনে উনবিংশ শতাব্দীর খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন জন্মগ্রহন করেন।
১৮৮৩ সালের এই দিনে ভবতারিণী (মৃণালিনী) দেবীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিয়ে হয়।
১৯০৫ সালের এই দিনে ফ্রান্সে রাষ্ট্র থেকে গীর্জা পৃথকীকরণ আইন পাশ হয়।
১৯১৬ সালের এই দিনে জাপানি ঔপন্যাসিক সোসেকি নাৎসুমের মৃত্যু।
১৯১৭ সালের এই দিনে ফিনল্যান্ড স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯১৭ সালের এই দিনে প্রথম মহাযুদ্ধে তুরস্কের ওসমানীয় সরকারের সেনারা ফিলিস্তিনে ইংরেজ সেনাদের কাছে পরাজিত হয়।
১৯১৭ সালের এই দিনে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ফিল্ড মার্শাল এডমুন্ড অ্যালেনবি জেরুজালেম দখল করেন।
১৯২০ সালের এই দিনে ইতালীয় রাজনীতিবিদ ও প্রধানমন্ত্রী কার্লো আজেলিও চিয়াম্পি জন্মগ্রহন করেন ।
১৯২৪ সালের এই দিনে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
১৯৩২ সালের এই দিনে উনবিংশ শতাব্দীর খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৩৮ সালের এই দিনে বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার মীর শওকত আলী জন্মগ্রহন করেন।
১৯৪১ সালের এই দিনে রাশিয়ান লেখক ও দার্শনিক দিমিত্রি মেরজোকোভস্কির মৃত্যু।
১৯৪১ সালের এই দিনে খ্যাতনামা ইংরেজ ফুটবলার জিওফ্রে চার্লস হার্স্ট-এর জন্ম।
১৯৪১ সালের এই দিনে দ্বীতিয় বিশ্বযুদ্ধে চীন প্রজাতন্ত্র, ফিলিপাইন কমনওয়েলথ, কিউবা, গুয়াতেমালা, ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্র জার্মানী ও ইতালীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ষোষণা করে।
১৯৪২ সালের এই দিনে উত্তর চীনের জাপানী আক্রমন বিরোধী ঘাঁটিতে আন্তর্জাতিক যোদ্ধা কোটনিস মৃত্যুবরন করেন ।
১৭৪৮ সালের এই দিনে ফরাসী রসায়নবিদ ক্লাউড লুই বার্থোলে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৫৫ সালের এই দিনে জার্মান গণিতবিদ হেরমান ভাইলের মৃত্যু।
১৯৬১ সালের এই দিনে ট্যাঙ্গানিকা বৃটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৬৪ সালে ট্যাঙ্গানিকার সাথে যোগ দেয় জান্জিবার দ্বীপ, তখন এটি নাম নেয় ইউনাইটেড রিপাবলিক অব ট্যাঙ্গানিকা ও জান্জিবার। একই বছর নাম পাল্টে রাখে ইউনাইটেড রিপাবলিক অব তান্জানিয়া।
১৯৭১ সালের এই দিনে সংযুক্ত আরব আমিরাত জাতিসংঘে যোগ দেয়।
১৯৭৮ সালের এই দিনে আর্জেন্টিনার পেশাদার টেনিস খেলোয়াড় গাস্তন গাউদিও জন্মগ্রহন করেন ।
১৯৮১ সালের এই দিনে ভারতীয় মডেল এবং অভিনেত্রী দিয়া মির্জা জন্মগ্রহন করেন ।
১৯৮৭ সালের এই দিনে অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজায় ফিলিস্তিনী জনগণের ইন্তিফাদা গণ-জাগরণ শুরু হয়।
১৯৯১ সালের এই দিনে ইউরোপীয় কমিউনিটি ১৯৯৯ সালের মধ্যে অভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অভিন্ন মুদ্রা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়।
১৯৯৬ সালের এই দিন থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিন ব্যাপী বিশ্ব সংস্থার প্রথম মন্ত্রী সম্মেলন সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯৭ সালের এই দিন থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত ইসলামী সম্মেলন সংস্থার অষ্টম শীর্ষ সম্মেলন ইরানের রাজধানী হেহরানে অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯৭ সালের এই দিনে চীনের গণ মুক্তি ফৌজের উপ-প্রধান ( ডেপুটি চিফ অব দি জেনারেল স্টাফ) লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল সিয়োং কুয়াং খাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে চীন-মার্কিন দুদেশের প্রতিরক্ষা দফতরের পরামর্শ করেন।

বিখ্যাত ইংরেজ কবি জন মিল্টন ৯ই ডিসেম্বর ১৬০৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷

Post By
Kalipada Roy

বিখ্যাত ইংরেজ কবি জন মিল্টন ৯ই ডিসেম্বর ১৬০৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷
সপ্তদশক শতাব্দীর ইংরেজ কবি, গদ্য লেখক এবং কমনওয়েলথ অব ইংল্যান্ডের একজন সরকারি কর্মচারী। তার প্রসিদ্ধ কাব্য প্যারাডাইস লস্ট এর কারণে তিনি সমধিক পরিচিত। কয়েক শতাব্দী শীর্ষ ইংরেজ কবির অবস্থানে থাকার পর বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি টি এস এলিয়ট ও এফ আর লেভিস এর জনপ্রিয়তার কাছে তার শীর্ষস্থান হুমকির মুখে ছিল। কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক ও সাহিত্য জার্নালের কল্যাণে মিল্টনের অবদান একুশ শতাব্দীতেও অটুট রয়েছে।
জন মিলটন
Image may contain: 1 person, drawing জন্ম ডিসেম্বর ৯, ১৬০৮
ব্রেড স্ট্রিট, চিপসাইড, লন্ডন, ইংল্যান্ড
মৃত্যু নভেম্বর ৮, ১৬৭৪ (৬৫ বছর)
বানহিল, লন্ডন, ইংল্যান্ড
পেশা কবি, প্রাবন্ধিক, সরকারী কর্মচারী
সাহিত্য আন্দোলন [ আন্দোলন ] জন মিলটন ইতালি থাকা অবস্থায় ইংল্যান্ড থেকে খবর এল দেশে যু্দ্ধের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। খবর শুনে তিনি ইংল্যান্ডে ফিরে এলেন। এসময় তার ভিতরে জেগে উঠল বিদ্রোহী সত্তা। ‍ এবার আর কাব্য নয় এখন প্রয়োজন গদ্যের। লন্ডনে এসে পাকাপাকিভাবে ঘর বাধলেন তিনি। নিজেকে ঘোষণা করলেন এই যুদ্ধের সৈনিক হিসেবে। তবে তার অস্ত্র বন্দুক নয়, কলম।এ সময় তিনি রচনা করেন এ্যরোপ্যাজিটিকা গ্রন্থটি। এ গ্রন্থে সমগ্র বিশ্বের মানুষের বাক স্বাধীনতা, মুদ্রণ স্বাধীনতা এবং সংগ্রামের এক জীবন্ত দলিল।
তার মৃত্যুর পর থেকে আজ পর্যন্ত মিল্টনের জীবন নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে।

সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৭

এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসে ৪ঠা ডিসেম্বরে কোথায় কি ঘটেছিল

Post By
Kalipada Roy 
এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসে ৪ঠা ডিসেম্বরে কোথায় কি ঘটেছিল৷
১১৩১ সালের এই দিনে পারস্যের কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়াম মৃত্যুবরণ করেন।
১১৫৪ সালের এই দিনে ৪র্থ অড্রিয়ান পোপ নির্বাচিত হন। তিনিই একমাত্র ইংরেজ যিনি পোপ পদে অধিষ্ট হয়েছেন।
১৫৩৪ সালের এই দিনে তুরস্কের সুলতান সোলাইমান বাগদাদ দখল করেন।
১৬৪৪ সালের এই দিনে শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
১৬৭৯ সালের এই দিনে ইংরেজ দার্শনিক ও রাজনীতি বিশেষজ্ঞ থমাস হবস ৯১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
১৭১১ সালের এই দিনে স্পেনের রানি বারবারার জন্ম।
১৭১৭ সালের এই দিনে প্রবাদপ্রতিম ইংরেজ চিকিৎসক উইলিয়াম হ্যামিলটনের মৃত্যু।
১৭৯১ সালের এই দিনে প্রথম ব্রিটেনে দি অবজারভার পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
১৭৯৫ সালের এই দিনে সাহিত্যিক টমাস কার্লাইলের জন্ম।
১৭৯৮ সালের এই দিনে ইংল্যান্ডে আয়কর প্রবর্তিত হয়।
১৮২১ সালের এই দিনে রুশ কবি নিকোলাই নেক্রাসভের জন্ম।
১৮২১ সালের এই দিনে ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তারাচরণ দত্তের সম্পাদনায় সাপ্তাহিক ‘সম্বাদ কৌমুদী’ প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৮২৯ সালের এই দিনে লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক আইন করে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করে দেন।
১৮৩৩ সালের এই দিনে আমেরিকায় দাসপ্রথাবিরোধী সংগঠন গড়ে ওঠে।
১৮৩৫ সালের এই দিনে ইংরেজ লেখক স্যামুয়েল বাটলারের জন্ম।
১৮৩৫ সালের এই দিনে ইরানের কাজারী শাসনামলের বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং লেখক আবুল কাসেম কায়েমে মোকাম ফারাহানী নিহত হন।
১৮৭৫ সালের এই দিনে জার্মান কবি রাইনার মারিয়া রিলকের জন্ম।
১৮৮৮ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক আর সি মজুমদারের (রমেশ চন্দ্র মজুমদার) জন্ম।
১৮৯২ সালের এই দিনে জেনারেল ফ্রান্সিস্কো ফ্রাঙ্কো জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্পেনের গৃহযুদ্ধের সময় (১৯৩৬-৩৯) ন্যাশনালিস্ট ফোর্সকে নেতৃত্ব দেন, ও আমৃত্যু স্পেনের ডিক্টেটর ছিলেন।
১৮৯৩ সালের এই দিনে কবি ও সমালোক স্যার হার্বাট রিডের জন্ম।
১৮৯৯ সালের এই দিনে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধের জন্যে এই জ্বরের ভ্যাকসিন মানব দেহে ব্যবহার করা হয়।
১৯৪০ সালের এই দিনে বিশিষ্ট আলেম এবং দার্শনিক আল্লামা মোহাম্মাদ হোসাইন কাম্পনি ইরাকের নাজাফে মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৫৩ সালের এই দিনে শেরে বাংলা, ভাসানী ও সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট গঠন।
১৯৫৯ সালের এই দিনে সেচ ও বিদ্যুৎ প্রকল্প রূপায়নের লক্ষ্যে ভারত ও নেপালের মধ্যে আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৬৫ সালের এই দিনে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড সময় বিকেল সাতটা ত্রিশ মিনিটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেনেডী কেপ থেকে হারকিউলিস-২ রকেট দিয়ে “জেমিনি ৭.” উপগ্রহ ধরণের নভোযান উত্ক্ষেপন করে ।
১৯৭০ সালের এই দিনে পল্টনে বিশাল জনসমুদ্রে মওলানা ভাসানীর স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান দাবি উত্থাপন।
১৯৭১ সালের এই দিনে ভারতীয় নৌবাহিনী পাকিস্তানি নৌবাহিনী এবং করাচির ওপর হামলা চালায়।
১৯৭৪ সালের এই দিনে শ্রীলংকায় বিমান দুর্ঘটনায় ১৯১ জন নিহত।
১৯৭৫ সালের এই দিনে সুরিনাম জাতিসংঘে যোগদান করে।
১৯৮০ সালের এই দিনে ড্রামার জন বনহ্যামের মৃত্যুতে (২৫ সেপ্টেম্বর) লিজেন্ডারী ইংরেজ রক ব্যান্ড লেড জেপ্লিন ভেঙ্গে যায়।
১৯৮১ সালের এই দিনে দিল্লি কুতুবমিনার এলাকায় পদপিষ্ট হয়ে ৪৫ জনের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৯০ সালের এই দিনে গণআন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের ৯ বছরের প্রেসিডেন্ট এরশাদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা ।
১৯৯০ সালের এই দিনে ইরানের বিখ্যাত শিক্ষাবিদ ডক্টর গোলাম হোসাইন ইউসুফি মারা যান।
১৯৯১ সালের এই দিনে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত ঘোষিত হয়।
১৯৯১ সালের এই দিনে বৈরুতে সাংবাদিক টেরি এ অ্যান্ডারসন সাত বছর বন্দি থাকার পর মুক্তি লাভ করেন।
১৯৯৩ সালের এই দিনে ইয়েলৎসিনের অনুগত ট্যাংক ও সাঁজোয়া বাহিনী ১০ ঘণ্টা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পার্লামেন্ট ভবন দখল করে নেয় এবং ১০০০ বিদ্রোহীকে গ্রেফতার করে।
১৯৯৬ সালের এই দিনে মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশ্যে নভোযান পাথফাইন্ডার আমেরিকার ফ্লোরিডা থেকে উড্ডয়ন করে।
১৯৯৯ সালের এই দিনে মিছেল ফ্রান্সের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পার্টির প্রথম নারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ।

রবিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৭

কবি বিষ্ণু দে ৩ ডিসেম্বর ১৯৮২ সালে মৃত্যুবরণ করেন৷ তিনি একজন বিখ্যাত বাঙালি কবি লেখক এবং চলচ্চিত্র সমালোচক। তিনি ১৯৭১ সালে তাঁর স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ বইটির জন্য ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার জ্ঞানপীঠ লাভ করেন।

Post By
Kalipada Roy

কবি বিষ্ণু দে ৩ ডিসেম্বর ১৯৮২ সালে মৃত্যুবরণ করেন৷ তিনি একজন বিখ্যাত বাঙালি কবি লেখক এবং চলচ্চিত্র সমালোচক। তিনি ১৯৭১ সালে তাঁর স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ বইটির জন্য ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার জ্ঞানপীঠ লাভ করেন।
বিষ্ণু দে
জন্ম ১৮ জুলাই ১৯০৯
কলকাতা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু ৩ ডিসেম্বর ১৯৮২ (৭৩ বছর)
কলকাতা, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত
পেশা কবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সভ্য
শিক্ষা এবং পেশাগত জীবন সম্পাদনা
বিষ্ণু দের পিতা অবিনাশ চন্দ্র দে ছিলেন একজন অ্যাটর্নি। বিষ্ণু দে কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউট এবং সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুল-এ পড়াশোনা করেন । ১৯২৭ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর বঙ্গবাসী কলেজে আইএ পড়তে যান। ১৯৩২ সালে সাম্মানিক ইংরাজি বিষয়ে স্নাতক হন সেন্ট পল্‌স কলেজ থেকে। এরপর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজিতে এম এ করেন। ১৯৩৫ সালে তিনি রিপন কলেজে (অধুনা সুরেন্দ্রনাথ কলেজ) যোগদান করেন শিক্ষক হিসেবে। এরপর তিনি ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি কলেজে এবং ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি মৌলানা আজাদ কলেজে পড়ান। এরপর তিনি কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজেও অধ্যাপনার কাজ করেছেন।
সাহিত্যকীর্তি সম্পাদনা
Image may contain: 1 person, closeup১৯২৩ সালে কল্লোল পত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে যে সাহিত্য আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল কবি বিষ্ণু দে তার একজন দিশারী। রবীন্দ্রোত্তর বাংলা কবিতায় তার অবদান বাংলা সাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে। ১৯৩০ সালে কল্লোলের প্রকাশনা বন্ধ হলে তিনি সুধীন্দ্রনাথ দত্তের পরিচয় পত্রিকায় যোগদান করেন এবং সেখানে একজন সম্পাদক হিসাবে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত কাজ করেন। ১৯৪৮ সালে চঞ্চল কুমার চট্টোপাধ্যায়ের সহায়তায় তিনি সাহিত্য পত্র প্রকাশ করেন। তিনি নিরুক্তা নামের একটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেছিলেন। তার কবিতার মূল উপজীব্য হল মানুষ, তার সংগ্রাম ও রাজনীতি, সেখানে সমকালীন জীবনের, দেশ ও কালের, রাজনীতি ও সমাজের প্রতিধ্বনি। প্রথমদিকে প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের দুই সংস্কৃতিরই প্রভাব পড়েছে তার লেখায়। দেশীয় পুরাণ, ইতিহাস, দর্শন, শিল্পসাহিত্য থেকে ইউরোপীয় ক্লাসিক ও আধুনিক শিল্প সাহিত্যের প্রভাব এবং পরে দুই বিশ্বযুদ্ধের মাঝখানের সময়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, দাঙ্গা, তেভাগা-আন্দোলন ইত্যাদি থেকে শুরু করে স্বাধীনতার পরের ঘটনাবহুল জীবন ও আন্দোলন তাঁর কবিতায় সরাসরি ছায়া ফেলেছে।
তিনি বামপন্থী দর্শন দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। এছাড়া কবি টি এস এলিয়টের রচনাশৈলী এবং ভাবনা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। তিনি ছড়ানো এই জীবন নামে একটি আত্মজীবনী লিখেছিলেন। এছাড়াও অনুবাদের কাজ করেছেন। তার অনুবাদ গ্রন্থের মধ্যে আছে এলিয়ট, পল অ্যালুয়ার ও মাও-ৎ-সেতুঙের কবিতা।
বিষ্ণু দে'র সঙ্গে শিল্পকলা বিশেষজ্ঞ শাহেদ সোহরাওয়ার্দী ও শিল্পী যামিনী রায়ের বন্ধুত্ব ছিল। তিনি অঙ্কন শিল্পের উপর কিছু বই রচনা করেন, যেমন আর্ট অফ যামিনী রয়(সহযোগে) দ্য পেন্টিংস অফ রবীন্দ্রনাথ টেগোর (১৯৫৮) এবং ইন্ডিয়া অ্যান্ড মডার্ন আর্ট (১৯৫৯)। তিনি ক্যালকাটা গ্রুপ সেন্টার, সোভিয়েত ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশন, প্রগতি লেখক শিল্পী সংঘ, ইন্ডিয়ান পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েসন, ভারতীয় গণনাট্য সংঘ প্রভৃতি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ছবিও আঁকতেন।
সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, নেহরু স্মৃতি পুরস্কার, এবং জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করেছিলেন। এছাড়া তিনি সোভিয়েত ল্যান্ড অ্যাওয়ার্ড পান।
রচিত বই সম্পাদনা
ছড়ানো এই জীবন (আত্মজীবনী)
উর্বশী ও আর্টেমিস (১৯৩২)
চোরাবালি (১৯৩৮)
পূর্বলেখ (১৯৪০)
রুচি ও প্রগতি (১৯৪৬)
সাহিত্যের ভবিষ্যৎ (১৯৫২)
সন্দীপের চর (১৯৪৭)
অন্বীষ্টা (১৯৫০)
নাম রেখেছি কোমল গান্ধার (১৯৫০)
তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ (১৯৫৮)
রবীন্দ্রনাথ ও শিল্প সাহিত্য আধুনিকতার সমস্যা (১৯৬৬)
মাইকেল রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য জিজ্ঞাসা (১৯৬৭)
ইন দ্য সান অ্যান্ড দ্য রেন (১৯৭২)
উত্তরে থাকে মৌন (১৯৭৭)
সেকাল থেকে একাল (১৯৮০)
আমার হৃদয়ে বাঁচো (১৯৮১)
স্মৃতি সত্ত্বা ভবিষ্যৎ (জ্ঞানপীঠ পুরস্কার ১৯৭১)

দেব আনন্দ (হিন্দি: धरम देव आनन्द, পাঞ্জাবি: ਧਰਮਦੇਵ ਆਨੰਦ; ৩রা ডিসেম্বর, ২০১১ সালে মৃত্যুবরণ করেন৷

Post By
Kalipada Roy

দেব আনন্দ (হিন্দি: धरम देव आनन्द, পাঞ্জাবি: ਧਰਮਦੇਵ ਆਨੰਦ; ৩রা ডিসেম্বর, ২০১১ সালে মৃত্যুবরণ করেন৷
ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্প বা বলিউডের চিরসবুজ হিন্দী অভিনেতা হিসেবে বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। তাঁর পুরো নাম ধরম দেবদত্ত পিশোরিমাল আনন্দ। একাধারে তিনি ছিলেন তুখোড় নায়ক, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক।
দেব আনন্দ
Image may contain: 2 people, people smiling, drink'রোমান্সিং উইদ লাইফ' - আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাদানরত দেব আনন্দ
জন্ম ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২৩
গুরুদাসপুর, পাঞ্জাব, ভারত
[১]
মৃত্যু ৩ ডিসেম্বর ২০১১ (৮৮ বছর)
লন্ডন, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য
বাসস্থান মুম্বাই, মহারাষ্ট্র, ভারত
জাতীয়তা ভারতীয়
অন্য নাম দেব সাহাব
পেশা অভিনেতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা, চলচ্চিত্র পরিচালক,সহপ্রতিষ্ঠাতা,নবকেতন ফিল্মস[২]
কার্যকাল ১৯৪৬ – ২০১১
দাম্পত্য সঙ্গী কল্পনা কার্তিক (১৯৫৪ - ২০১১)
১৯৪৬ সালে 'হাম এক হ্যায়' সিনেমার মাধ্যমে বলিউডের জগতে পা রাখেন দেব আনন্দ। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ:
জিদ্দি(১৯৪৮),
বাজি(১৯৫১),
সানাম(১৯৫১),
ট্যাক্সি ড্রাইভার(১৯৫৪),
মুনিমজী(১৯৫৫),
সিআইডি(১৯৫৬),
কালাপানি(১৯৫৮),
লাভ ম্যারেজ(১৯৫৯),
কালা বাজার(১৯৬০),
হাম দোনো(১৯৬১),
গাইড(১৯৬৫),
জুয়েল থিফ(১৯৬৭),
জনি মেরা নাম(১৯৭০),
গ্যাম্বলার(১৯৭১),
হরে রামা হরে কৃষ্ণা(১৯৭১),
দেশ পরদেশ(১৯৭৮),
আওয়াল নাম্বার(১৯৯০),
চার্জশিট(২০১১)।
[৩]
মৃত্যু সম্পাদনা
৮৮ বছর বয়সে দেব আনন্দ মৃত্যুবরণ করেন। ৩ ডিসেম্বর, ২০১১ (আইএসটিঃ ৪ ডিসেম্বর, ২০১১) লন্ডনের একটি হোটেলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধজনিত কারণে তাঁর এই মৃত্যু।

বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭

বুদ্ধদেব বসু নভেম্বর ৩০, ১৯০৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি একজন খ্যাতনামা বাঙালি সাহিত্যিক।

Post By
Kalipada Roy


বুদ্ধদেব বসু
কবি, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, গল্পকার, অনুবাদক, সম্পাদক ও সমালোচক
বুদ্ধদেব বসু নভেম্বর ৩০, ১৯০৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি একজন খ্যাতনামা বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি একাধারে কবি, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, গল্পকার, অনুবাদক, সম্পাদক ও সাহিত্য-সমালোচক ছিলেন। বিংশ শতাব্দীর বিশ ও ত্রিশের দশকের নতুন কাব্যরীতির সূচনাকারী অন্যতম কবি হিসেবে তিনি সমাদৃত। তবে সাহিত্য সমালোচনা ও কবিতা পত্রিকার প্রকাশ ও সম্পাদনার জন্য তিনি বিশেষভাবে সম্মাননীয়।
বুদ্ধদেব বসু
বুদ্ধদেব বসু
পেশা কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক এবং সম্পাদক
জাতীয়তা ভারতীয়
জাতি বাঙালি
নাগরিকত্ব ভারতীয়
সময়কাল বিংশ শতাব্দী
ধরন কথাসাহিত্যিক
বিষয় সাহিত্য
উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ মর্মবাণী; সাড়া; অভিনয়, অভিনয় নয়; হঠাৎ-আলোর ঝলকানি; মায়া-মালঞ্চ; কালিদাসের মেঘদূত; সব-পেয়েছির দেশে; আমার ছেলেবেলা; আধুনিক বাংলা কবিতা
দাম্পত্যসঙ্গী প্রতিভা সোম (বিবাহ-পরবর্তীতে : প্রতিভা বসু)
অল্প বয়স থেকেই কবিতা রচনা করেছেন, ছেলে জুটিয়ে নাটকের দল তৈরি করেছেন। প্রগতি ও কল্লোল নামে দু'টি পত্রিকায় লেখার অভিজ্ঞতা সম্বল করে যে কয়েকজন তরুণ বাঙালি লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবদ্দশাতেই রবীন্দ্রনাথের প্রভাবের বাইরে সরে দাঁড়াবার দুঃসাহস করেছিলেন তিনি তাঁদের অন্যতম। ইংরেজি ভাষায় কবিতা, গল্প, প্রবন্ধাদি রচনা করে তিনি ইংল্যান্ড ও আমেরিকায়ও প্রশংসা অর্জন করেছিলেন।
Image may contain: 1 person, closeupব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা
বুদ্ধদেব বসুর জন্ম হয় কুমিল্লায়। তাঁর পিতা ভূদেব বসু পেশায় ঢাকা বারের উকিল ছিলেন। তাঁর মাতার নাম বিনয়কুমারী। বুদ্ধদেব বসুর মাতামহ চিন্তাহরণ সিংহ ছিলেন পুলিশ অফিসার। তাঁর পৈতৃক আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের মালখানগর গ্রামে। জন্মের চব্বিশ ঘণ্টা পরেই তাঁর মাতা বিনয়কুমারীর ১৬ বছর বয়সে ধনুষ্টঙ্কার রোগে মৃত্যু ঘটে।[১] এতে শোকাভিভূত হয়ে তাঁর পিতা সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করে গৃহত্যাগ করেন। মাতামহ চিন্তাহরণ ও মাতামহী স্বর্ণলতা সিংহ'র কাছে প্রতিপালিত হন বুদ্ধদেব। বুদ্ধদেবের শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের প্রথমভাগ কেটেছে কুমিল্লা, নোয়াখালী আর ঢাকায়।
শিক্ষাজীবন সম্পাদনা
১৯২১ সালে ১৩ বছর বয়সে তিনি ঢাকায় আসেন এবং প্রায় দশ বৎসর ঢাকায় শিক্ষালাভ করেন। বুদ্ধদেব বসু ১৯২৩ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯২৫ সালে ঐ স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে প্রথম বিভাগে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন। ১৯২৭ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (বর্তমানে ঢাকা কলেজ) থেকে প্রথম বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে আই. এ. পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে থেকে ইংরেজিতে ১৯৩০-এ প্রথম শ্রেণীতে বি. এ. অনার্স এবং ১৯৩১-এ প্রথম শ্রেণীতে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ছিলেন মেধাবী এক ছাত্র। বি. এ. অনার্স পরীক্ষায় তিনি যে নম্বর লাভ করেন তা একটি রেকর্ড; এবং অদ্যাবধি (২০০৯) এ রেকর্ড অক্ষুণ্ণ আছে।
কর্মজীবন সম্পাদনা
অধ্যাপনার মাধ্যমেই তাঁর কর্মময় জীবন শুরু। জীবনের শেষাবধি তিনি নানা কাজে-কর্মে ব্যাপৃত রেখেছেন। শিক্ষকতাই ছিল জীবিকা অর্জনে তার মূল পেশা। কর্মময় জীবনের শুরুতে স্থানীয় কলেজের লেকচারের পদের জন্য আবেদন করে দু'বার প্রত্যাখ্যাত হলেও ইংরেজি সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য পরিণত বয়সে তিনি আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় ভাষা ও সাহিত্য সম্পর্কে সারগর্ভ বক্তৃতা দিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। বাঙলা ভাষার তুলনামূলক সাহিত্য সমালোচনার ক্ষীণস্রোতকে তিনি বিস্তৃত ও বেগবান করেন। ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কলকাতা রিপন কলেজে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা করেন। ১৯৪৫ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত স্টেটসম্যান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। ১৯৫২ সালে দিল্লি ও মহিশূরে ইউনেস্কোর প্রকল্প উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গের পেনসিলভেনিয়া কলেজ ফর উইমেনে শিক্ষকতা করেন তিনি।[১] ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধদেব বসু তুলনামূলক ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক নিযুক্ত হন।
এছাড়াও, তিনি উচ্চ মানের সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে বুদ্ধদেব বসু প্রভুগুহ ঠাকুরতা, অজিত দত্ত প্রমুখকে বন্ধু হিসেবে পেয়েছিলেন।[২] এ সময় ঢাকার পুরানা পল্টন থেকে তাঁর ও অজিত দত্তের যৌথ সম্পাদনায় ১৯২৭ - ১৯২৯ পর্যন্ত সচিত্র মাসিক 'প্রগতি' (১৯২৭) মাসিক পত্রিকার সম্পাদনা করেন এবং 'কল্লোল' (১৯২৩) গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক স্থাপিত হয়। কলকাতায় বসবাসকালে তিনি প্রেমেন্দ্র মিত্রের সহযোগিতায় ১৯৩৫ সালে ত্রৈমাসিক কবিতা (আশ্বিন ১৩৪৪) পত্রিকা সম্পাদনা করে প্রকাশ করেন।

রমেশচন্দ্র দত্ত ৩০ নভেম্বর ১৯০৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন৷ তিনি ছিলেন একজন বাঙালি ঔপন্যাসিক। তিনি বঙ্কিমচন্দ্রের অনুরোধে বাংলা উপন্যাস রচনায় অগ্রসর হন এবং বিশেষ সাফল্য অর্জন করেন।

Post By
Kalipada Roy

রমেশচন্দ্র দত্ত ৩০ নভেম্বর ১৯০৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন৷ তিনি ছিলেন একজন বাঙালি ঔপন্যাসিক। তিনি বঙ্কিমচন্দ্রের অনুরোধে বাংলা উপন্যাস রচনায় অগ্রসর হন এবং বিশেষ সাফল্য অর্জন করেন।
রমেশচন্দ্র দত্ত
জন্ম ১৮৪৮
মৃত্যু ১৯০৯
জাতিসত্তা বাঙালি
যে জন্য পরিচিত বাঙালি ঔপন্যাসিক
প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা
রমেশ চন্দ্র দত্ত একটি বিশিষ্ট বাঙালি কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন৷ তার পরিবারের প্রায় সবাই ছিলেন উচ্চশিক্ষিত৷ তার বাবা ছিলেন ঈসাম চন্দ্র দত্ত এবং মা ছিলেন ঠাকামাণী৷ তার বাবা ঈসাম চন্দ্র তৎকালীন বাংলার ডেপুটি কালেক্টর ছিলেন৷ অফিস চলাকালীন সময়ে রমেশ চন্দ্র দত্ত তার সঙ্গে থাকতেন৷ রমেশ চন্দ্র বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন৷ তিনি কুষ্টিয়ার কুমারখালী মথুরানাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও পড়াশুনা করেছেন। এছাড়াও তিনি ডেভিড হেয়ার প্রতিষ্ঠিত হেয়ার স্কুলে পড়াশোনা করেন৷ নৌকা দূর্ঘটনায় তার বাবার আকস্মিক মৃত্যুর পর ১৮৬১ সালে তার চাচা শশী চন্দ্র দত্ত, যিনি একজন প্রখ্যাত লেখক ছিলেন, তার অভিভাবকত্ত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করেন৷ রমেশ চন্দ্র তার চাচা সম্পর্কে লিখেছেন যে রাতের বেলা তিনি পরিবারের অন্যান্যদের সাথে বসতেন এবং তাদের প্রিয় বিষয় ছিল ইংরেজী কবিদের কবিতা চর্চা করা৷[১]
রমেশ চন্দ্র ১৮৬৪ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা শুরু করেন৷ পরে ১৮৬৬ সালে তিনি মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জনের মাধ্যমে এবং স্কলারশীপ অর্জনের মাধ্যমে আর্টস পরীক্ষায় পাস করেন৷ ১৮৬৮ সালে বিএ ক্লাসের ছাত্র থাকা অবস্থায় পরিবারের অনুমতি না নিয়ে তিনি এবং তার দুই বন্ধু বিহারী লাল গুপ্ত এবং সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান৷ রমেশ চন্দ্র সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কৃতিত্বকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ সে সময় দীর্ঘ সময় ধরে ১৮৫৩ সালের আগে ও পরে, যখন ইংল্যান্ডে আইসিএস পরীক্ষা চালু করা হয়, তার পূর্বে মূলত বিট্রিশ কর্মকর্তারাই গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদগুলোতে নিয়োগপ্রাপ্ত হতেন৷ ১৮৬০ সালের দিকে ভারতীয়রা, বিশেষ করে বাঙালি বুদ্ধিজীবি সম্প্রদায়ের লোকজন হতে ভারতীয় উপমহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদগুলোতে আসীন হতে শুরু করেন৷
Image may contain: 1 personইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন এ রমেশ ব্রিটিশ লেখকদের নিয়ে পড়াশোনা করেন৷ তিনি লন্ডনের মিডল ট্যাম্পল এ আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন৷ তিনি ১৮৬৯[২] সালের ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস এর ওপেন এক্সামিনেশন এ তৃতীয় স্থান [৩] লাভের মাধ্যমে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন৷
সিভিল সার্ভিস সম্পাদনা

১৮৭১ সালে রমেশ চন্দ্র দত্ত আলীপুরের সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে আইসিএস(ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস) এ যোগদান করেন৷ পদটিতে তার নিয়োগ ১৮৫৮ সালের ১লা নভেম্বর রাণী ভিক্টোরিয়ার রঙ ও ধর্মমত নির্বিশেষে সকল মানুষের প্রতি সমান সুযোগের ঘোষণার [৪] প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে৷
ভয়ঙ্কর সাইক্লোনের কারণে ১৮৭৪ সালে নদীয়া জেলার মেহেরপুরে এবং ১৮৭৬ সালে ভোলা জেলার দক্ষিণ শাহবাজপুরে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়৷ এলাকাগুলোতে জরুরী ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা এবং দূর্যোগ পরবর্তী বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত অপরিহার্য হয়ে পড়ে৷ রমেশ চন্দ্রের তত্ত্বাবধানে এ কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়৷ ১৮৮২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রমেশ চন্দ্রকে সার্ভিসের নির্বাহী শাখায় নিয়োগ দেয়া হয়৷ তিনিই প্রথম ভারতীয়, যাকে নির্বাহী পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়৷ ১৮৯৩ সালে তিনি বর্ধমান জেলার জেলা অফিসার এবং ১৮৯৪ সালে বর্ধমান বিভাগের কমিশনার হন৷ রমেশ চন্দ্র ১৮৯৫ সালে উড়িষ্যার বিভাগীয় কমিশনারের দায়িত্ব লাভ করেন৷ ভারতীয়দের মধ্যে তিনিই প্রথম ভারতীয়, যিনি বিভাগীয় কমিশনার পদে আসীন হন৷[৩]
রাজনীতি সম্পাদনা
রমেশ চন্দ্র নরমপন্থী জাতিয়তাবাদী রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন৷ কংগ্রেসের শুরুর দিকে তিনি কংগ্রেসের সাথে জড়িত ছিলেন৷ ১৮৯৯ সালে তিনি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস এর প্রেসিডেন্ট ছিলেন৷
সাহিত্যে অবদান সম্পাদনা
১৮৯৪ সালে রমেশ চন্দ্র বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের প্রথম সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং নবীনচন্দ্র সেন পরিষদটির সহ-সভাপতি ছিলেন৷[৫] বাংলা সাহিত্যের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৮৯৩ সালে পরিষদটি গঠন করা হয়৷
সূদীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি অনেকগুলো বই লিখেছেন৷ এছাড়াও তিনি মহাভারত ও রামায়ন অনুবাদও করেছেন৷ গুণী এ মনীষী ১৯০৯ সালের ৩০এ নভেম্বর মারা যান৷

মাতৃভাষা

মাতৃভাষা
ভারতের অনেক জায়গায় ঘুরেছি৷ কিছু কিছু প্রদেশে মাতৃভাষাকে সম্মান দেখানোর এমন নজির আছে যে সেখানে প্রতিটি সাইনবোর্ড তারা মাতৃভাষায় লিখে থাকেন৷ উড়িষ্যা, তামিলনাড়ু, গুজরাত এসব রাজ্যে নিজ নিজ মাতৃভাষার ব্যাপক ব্যবহার৷
গুজরাতের অনেক মানুষকেই জিজ্ঞেস করেছিলাম যে তাঁরা বহুভাষার ভারতবর্ষে কেন গুজরাতী ভাষায় সকল সাইন বোর্ড লিখেন? এমন কি সরকারী সব কাজই মাতৃভাষায় করা হয়

তাঁদের সকলের মোটামোটি একই বক্তব্য যে, মাতৃভাষাকে সম্মান দেওয়া সবার আগে আমাদের কর্তব্য৷ আবার প্রশ্ন ছিল মাতৃভাষাকে সম্মান দেওয়া এ তো খুব আনন্দ ও গর্বের কথা কিন্তু এই বহু ভাষার দেশে অন্তত সাইন বোর্ডে মাতৃভাষায় লিখে ছোট করে ইংরেজীতে লিখলে বহিরাগত মানুষদের সব কিছু জানতে এবং বুঝতে বিশেষ সুবিধা হয় এটা তো ঠিক কি না?
ওনারা বললেন আপনি বুঝতে না পারলে কাউকে জিজ্ঞেস করে জানবেন৷ দেখবেন আপনাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে দিবে আপনার ঠিকানা বা প্রয়োজনীয় জায়গা কোথায়৷ কিন্তু মাতৃভাষাকে আমাদের এই সম্মান দিতেই হবে৷
তাই বলে যে আমরা অন্য ভাষা পড়ি না বা শিখি না এমন নয়৷
এবার প্রশ্ন হল, আমাদের বিশ্ব বাংলার বঙ্গে এমন হয় না কেন? আজও একটা রেশন কির্ডের ফরম পুরন ইংরেজিতে করতে হয়৷ সরকারী অফিসে সব কাজই ইংরেজিতে হয় বললেই চলে৷
তবে কি নাম কা ওয়াস্তে বিশ্ব বাংলা?
আবার অনেক ফেসবুক বন্ধু বাংলা শব্দ ইংরেজিতে লিখেন৷ এটাও একটা বেদনা দায়ক ব্যাপার৷ অনেকে মনে করেন ইংরেজীতে না লিখলে নিজেকে ছোট মনে হয়৷ এটাও একটা ভুল ধারনা৷ গত বছর ২১শে ফেব্রুয়ারীর আগে অনেক বন্ধু বাংলা লিখতে শুরু করেছেন৷ আজও তাঁরা বাংলায় লিখেন৷ অাবার অনেকে বলেন বাংলা লিখতে সময় বেশী দরকার হয় আমি তাঁদের Swarchakra bangla instal করতে বলেছিলাম এবং তাঁরা এই app এ লিখতে গিয়ে এত আনন্দ পেয়েছেন যা বলার ভাষা রাখে না৷ খুব দ্রুত নির্ভুল লিখা যায়৷ আবার ওখানে ইংরেজী লিখারও পদ্ধতি আছে৷
তাই আমি অনুরোধ করব মাতৃভাষাকে সম্মান দিয়ে লিখার চেষ্টা করুন৷ ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন বন্ধুগণ৷
ধন্যবান্তে
কালীপদ রায়৷

এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের ২৯শে নভেম্বর কোথায় কি ঘটেছিল৷

    এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের ২৯শে নভেম্বর কোথায় কি ঘটেছিল৷

    ইতিহাসে ২৯ নভেম্বর
    ১০৫৮ সালের এই দিনে ফ্রান্সের রাজা চতুর্থ ফিলিপের মৃত্যু।
    ১৪২৭ সালের এই দিনে চীনের রাজা ঝেংটংয়ের জন্ম।
    ১৫২০ সালের এই দিনে স্প্যানিশ নাবিক মাজলান নতুন একটি প্রণালীর সন্ধান পান।
    ১৫৯৬ সালের এই দিনে রাজা দ্বিতীয় ফিলিপ সে দেশের মুদ্রা অবমূল্যায়িত করেন।
    ১৬৪৩ সালের এই দিনে ইটালির বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ক্লাওদিও মোন্তেভেরদে ৬৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
    ১৭৭৫ সালের এই দিনে স্যার জেমস জে অদৃশ্য কালি আবিষ্কার করেন।
    ১৭৯২ সালের এই দিনে মার্ক উডের করা সমগ্র কলকাতার নকশা প্রথম প্রকাশ করেন মি. বেইলি।
    ১৮১২ সালের এই দিনে শিৰাব্রতী ও সমাজসেবী দানবীর হাজী মুহাম্মদ মহসীন ভারতের হুগলীতে ইন্তেকাল করেন।
    ১৮৩৯ সালের এই দিনে গৌরীশঙ্কর তর্কবাগীশের সম্পাদনায় সাপ্তাহিক ‘সম্বাদ রসরাজ’ প্রকাশিত হয়।
    ১৮৭৪ সালের এই দিনে পর্তুগিজ স্নায়ুতত্ত্ববিদ অ্যাগাস মোনেশের জন্ম।
    ১৮৯৪ সালের এই দিনে রুশ ঔপন্যাসিক বোরিস পিলনিয়াকের জন্ম।
    ১৮৯৭ সালের এই দিনে ইংল্যান্ডের সারেতে প্রথম মোটরসাইকেল রেস হয়।
    ১৯১০ সালের এই দিনে ট্রাফিক বাতি প্যাটেন্ট হয়।
    ১৯১৩ সালের এই দিনে যুগোস্লাভিয়ায় মার্শাল টিটোর নেতৃত্বে এন্টি ফ্যাসিজম ফ্রন্ট গঠিত হয়।
    ১৯১৮ সালের এই দিনে লিথুয়ানিয়া প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষিত।
    ১৯২৪ সালের এই দিনে ইটালির মিউজিক কম্পোজার জিয়াকোমো পুচিনো মৃত্যুবরণ করেন।
    ১৯৩২ সালের এই দিনে ফ্রান্সের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জ্যাক শিরাক জন্মগ্রহন করেন ।
    ১৯৩২ সালের এই দিনে সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ফ্রান্সের চুক্তি হয়।
    ১৯৩৬ সালের এই দিনে রসায়নে নোবেলজয়ী [১৯৮৬] তাইওয়ানজাত মার্কিন বিজ্ঞানী লু যুয়ান তেশের জন্ম।
    ১৯৪৪ সালের এই দিনে আলবেনিয়া নাৎসি কবল থেকে মুক্ত হয়।
    ১৯৪৭ সালের এই দিনে পাশ্চাত্য ও ইহুদিবাদীদের প্রভাবাধীন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ, ফিলিস্তিন ভূখন্ডকে বিভক্ত করার পক্ষে রায় দেয় এবং বায়তুল মোকাদ্দাসকে জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা বলে ঘোষণা করে।
    ১৯৪৯ সালের এই দিনে রস-সাহিত্যিক কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু।
    ১৯৭৩ সালের এই দিনে ওয়েলশ ফুটবলার রায়ান গিগস জন্মগ্রহন করেন ।
    ১৯৮৭ সালের এই দিনে বাংলা ভাষা আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী এবং রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ তোয়াহা মৃত্যুবরণ করেন ।
    ১৯৮৮ সালের এই দিনে প্রলংকারী ঘূর্নিঝড় ও জলোচ্ছাসে বিধ্বস্ত হয় দক্ষিনাঞ্চলের বিস্তীর্ন জনপদ।
    ১৯৯৩ সালের এই দিনে ভারতের অগ্রগণ্য শিল্পপতি জি আর ডি টাটার মৃত্যু।
    ১৯৯৪ সালের এই দিনে নেপালে কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মহমোহন অধিকারী প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন।
    ১৯৯৬ সালের এই দিনে সীমান্ত সমস্যা চীন ভারত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
    ২০০১ সালের এই দিনে বিংশ শতাব্দীর অত্যন্ত প্রতিভাবান জনপ্রিয় গায়ক এবং গিটারিস্ট জর্জ হ্যারিসন মৃত্যুবরণ করেন ।
    ২০০৪ সালের এই দিনে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন বিল-২০০৪ পাস হয়।
    বিভাগঃ নভেম্বর ।

    Show more reactions

হাজি মুহাম্মদ মহসীন ২৯শে নভেম্বর ১৮১২ সালে মৃত্যুবরণ করেন৷ তিনি ছিলেন বাংলার একজন জনহিতৈষী, দানবীর। দানশীলতার জন্য তিনি দানবীর খেতাব পেয়েছিলেন।



হাজি মুহাম্মদ মহসীন ২৯শে নভেম্বর ১৮১২ সালে মৃত্যুবরণ করেন৷ তিনি ছিলেন বাংলার একজন জনহিতৈষী, দানবীর। দানশীলতার জন্য তিনি দানবীর খেতাব পেয়েছিলেন।
মুহাম্মদ মহসিন
জন্ম ১৭৩২
হুগলি, বাংলা, মুঘল সাম্রাজ্য
মৃত্যু ১৮১২ (বয়স ৭৯–৮০)
হুগলি, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
সমাধি হুগলি ইমামবাড়া
যে জন্য পরিচিত দানশীলতা
উল্লেখযোগ্য কাজ মহসিন ফান্ড
আদি শহর হুগলি
উপাধি দানবীর
ধর্ম ইসলাম
জীবনী সম্পাদনা
Image may contain: 1 person, hatহাজি মুহাম্মদ মহসিনের প্রতিষ্ঠিত হুগলি ইমামবাড়া, হুগলি, পশ্চিমবঙ্গ।
মুহাম্মদ মহসিন ১৭৩২ সালে হুগলিতে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার বাবা হাজি ফয়জুল্লাহ ও মা জয়নাব খানম। ফয়জুল্লাহ ছিলেন একজন ধনী জায়গিরদার। তিনি ইরান থেকে বাংলায় এসেছিলেন। জয়নব ছিলেন ফয়জুল্লাহর দ্বিতীয় স্ত্রী। জয়নবেরও পূর্বে বিয়ে হয়েছিল। মন্নুজান খানম নামে তার ও তার সাবেক স্বামী আগা মোতাহারের একটি মেয়ে ছিল। আগা মোতাহারও বিপুল সম্পদের মালিক ছিলেন। হুগলি, যশোর, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়ায় তার জায়গির ছিল। আগা মোতাহারের সম্পত্তি তার মেয়ে মন্নুজান উত্তরাধিকার সূত্রে অর্জন করেছিলেন।[১]
গৃহশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে মহসিন ও তার সৎ বোন মন্নুজান শিক্ষার্জন করেছেন। পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষার জন্য রাজধানী মুর্শিদাবাদ যান। শিক্ষাজীবন শেষে তিনি দেশভ্রমণের সফরে বের হন। সফরকালে তিনি হজ পালন করেন। তিনি মক্কা, মদিনা, কুফা, কারবালাসহ ইরান, ইরাক, আরব, তুরস্ক এমন নানা স্থান সফর করেছেন। সফর শেষে দীর্ঘ ২৭ বছর পর তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফেরার পর তিনি তার বিধবা বোনের সম্পদ দেখাশোনা শুরু করেন। মন্নুজানের স্বামী মির্জা সালাহউদ্দিন ছিলেন হুগলির নায়েব ফৌজদার।[১]
১৮০৩ সালে মন্নুজানের মৃত্যুর মহসিন তার উত্তরাধিকারী হিসেবে সম্পদের মালিক হন। মহসিন খুব ধার্মিক ছিলেন এবং সহজসরল জীবনযাপন করতেন। তিনি চিরকুমার ছিলেন। বিপুল সম্পদ তিনি দানসদকায় ব্যয় করতেন। ১৭৬৯-৭০ সালের সরকারি দলিল অনুযায়ী তৎকালীন দুর্ভিক্ষের সময় তিনি অনেক লঙ্গরখানা স্থাপন করেন এবং সরকারি তহবিলে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।[১] ১৮০৬ সালে তিনি মহসিন ফান্ড নামক তহবিল প্রতিষ্ঠা করে তাতে দুইজন মোতাওয়াল্লি নিয়োগ করেন।[১][২] ব্যয়নির্বাহের জন্য সম্পত্তিকে নয়ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে তিনটি ভাগ ধর্মীয় কর্মকাণ্ড, চারটি ভাগ পেনশন, বৃত্তি ও দাতব্য কর্মকাণ্ড এবং দুইটি ভাগ মোতাওয়াল্লিদের পারিশ্রমিকের জন্য বরাদ্দ করা হয়।[১]
হাজি মুহাম্মদ মহসিন ১৮১২ সালে হুগলিতে ইন্তেকাল করেন। তাকে হুগলি ইমামবাড়ায় দাফন করা হয়।

১৯১৮ সালে ২৯শে নভেম্বর লিথুয়ানিয়া প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষিত হয়৷

১৯১৮ সালে ২৯শে নভেম্বর লিথুয়ানিয়া প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষিত হয়৷
No automatic alt text available.

শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় ২৯ নভেম্বর ১৯৩৬ জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অভিনেতা, যিনি মূলত: বাংলা ভাষায় অভিনয় করতেন।

Post By
Kalipada Roy 

শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়
ভারতীয় অভিনেতা
শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় ২৯ নভেম্বর ১৯৩৬ জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অভিনেতা, যিনি মূলত: বাংলা ভাষায় অভিনয় করতেন।
শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়
Image may contain: 1 person, eyeglasses
শুভেন্দু চ্যাটার্জী
জন্ম নভেম্বর ২৯, ১৯৩৬
কোলকাতা
মৃত্যু জুলাই ৫, ২০০৭ (৭০ বছর)
কোলকাতা
পেশা অভিনয়
কার্যকাল ১৯৬৫ - ২০০৬
দাম্পত্য সঙ্গী অঞ্জলী চট্টোপাধ্যায়
সন্তান শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়
পিতা-মাতা শৈলেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (পিতা)
মণিমালা দেবী (মাতা)
পুরস্কার ও সম্মননা সম্পাদনা
আনন্দলোক পুরস্কার: সেরা অভিনেতা ৷

টাটা শিল্পগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জে, আর,ডি টাটা ১৯৯৩ সালে ২৯শে নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন৷

Post By
Kalipada Roy

টাটা শিল্পগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জে, আর,ডি টাটা ১৯৯৩ সালে ২৯শে নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন৷
জমশেদপুর (ইংরেজি: Jamshedpur) ঝাড়খণ্ড রাজ্যের অন্যতম বৃহত্তম শহর। সাকচি নাম দিয়ে এই শহরটি প্রতিষ্ঠা করেন শিল্পপতি জমশেদজি নওরোজি টাটা। পরে ১৯১৯ সালে লর্ড কেমসফোর্ড এর প্রতিষ্ঠাতার নামে নামকরণ করেন জমশেদপুর। সাকচি এখনও জমশদপুরের মধ্যের অন্যতম বৃহৎ পল্লীর নাম। শহরটি ভারতের প্রথম বেসরকারী লৌহ-ইস্পাত কারিগরি প্রতিষ্ঠান টাটা আয়রন এন্ড স্টিল কম্পানির জন্য প্রসিদ্ধ। এর আশেপাশে খনি বলয়গুলিতে বিশেষ করে পশ্চিম বোকারো, জামাডুবি ও নোয়ামুণ্ডিতে অনেক লৌহ আকরিক, ম্যাঙ্গানিজ ও চুনাপাথর পাওয়া যায়।
Image may contain: 1 person, closeup
জমশেদপুর
जमशेदपुर
টাটানগর
মহানগরী

উপর থেকে দক্ষিণাবর্তে : সাকচি গোলচক্কর, টি সি ই বিল্ডিং, সোনারি-কদমা লিংক রোড, টাটা স্টিল প্লান্ট , Bat Island in Jayanti Sarovar, জে আর ডি টাটা স্পোর্টস কম্পলেক্স
নাম: ইস্পাত নগরী
জমশেদপুর
ঝাড়খণ্ড রাজ্যে জমশেদপুর শহরের অবস্থান।
স্থানাঙ্ক: ২২.৮° উত্তর ৮৬.১৮° পূর্ব
দেশ ভারত
রাজ্য ঝাড়খণ্ড
জেলা পূর্ব সিংভুম
প্রতিষ্ঠা করেন জমশেদজি নাসেরওয়ানজি টাটা
নামকরণের কারণ লৌহ, ইস্পাত এবং সিমেন্ট শিল্প
সরকার
• ধরন মিউনিসিপাল কর্পোরেশন
আয়তন
• মহানগরী ১৫০ কিমি২ (৬০ বর্গমাইল)
উচ্চতা ১৩৫ মিটার (৪৪৩ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
• মহানগরী ৬,৩১,৩৬৪
• ঘনত্ব ৪২০০/কিমি২ (১১০০০/বর্গমাইল)
• মেট্রো ১৩,৩৯,৪৩৮
সময় অঞ্চল ভাপ্রস (ইউটিসি+৫:৩০)
পিন ৮৩১০০১ থেকে ৮৩১০২০
টেলিফোন কোড ০৬৫৭
যানবাহন নিবন্ধন
JH 05 (পূর্ব সিংভূম)
JH 22 (Saraikela-Kharsawan)
স্বাক্ষরতার হার ৮৫.৯৪%
ভাষাসমূহ বাংলা, হিন্দি, উর্দু, ওড়িয়া এবং ইংরেজি
ওয়েবসাইট www.jamsedpur.nic.in

মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৭

এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসে ২৮শে নভেম্বরের ঘটনাগুলো৷

Post By
Kalipada Roy


ইতিহাসে ২৮ নভেম্বর
১০৫৮ সালের এই দিনে পোল্যান্ডের ডিউক কেজিমিয়ের্জের মৃত্যু।
১১১৮ সালের এই দিনে গ্রিক বাইজানটাইন সম্রাট ম্যানুয়েল কমনেনাসের জন্ম।
১৫২০ সালের এই দিনে প্রথম ইউরোপীয়ান নাবিক হিসেবে ফার্ডিনান্ড ম্যাগেলান আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে প্রবেশ করেন।
১৬৬০ সালের এই দিনে ইংল্যান্ডে রয়াল সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৬৭৬ সালের এই দিনে ভারতের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত তখনকার দিনের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পন্ডিচেরি বন্দর ফরাশিরা দখল করে নেয়।
১৭৫৭ সালের এই দিনে ইংরেজ কবি ও শিল্পী উইলিয়াম ব্লেকের জন্ম।
১৮১৪ সালের এই দিনে কলকাতার চাঁদপাল ঘাটে ভারতের প্রথম প্রাটস্ট্যান্ট বিশপ টমাস ফ্যানশ মিডলটন পদার্পণ করেন।
১৮১৪ সালের এই দিনে লন্ডনের টাইমস পত্রিকা প্রথম স্বয়ংক্রিয় মেশিনে ছাপা হয়।
১৮২০ সালের এই দিনে সমাজতাত্তি্বক ফ্রেডরিখ এঙ্গেলসের জন্ম।

১৮২১ সালের এই দিনে পানাম স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৮৯৪ সালের এই দিনে রসায়নবিদ ড. পুলিন বিহারী সরকারের জন্ম।
১৯১২ সালের এই দিনে আলবানিয়া স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৩১ সালের এই দিনে শিশু সাহিত্যিক ও সাংবাদিক গোলাম রহমানের জন্ম।
১৯৩২ সালের এই দিনে অভিনেতা সুরেন্দ্রনাথ ঘোষের (দানীবাবু) মৃত্যু।
১৯৪৩ সালের এই দিনে বাংলাদেশের খ্যাতনামা চিত্রকর, কার্টুনিস্ট রফিকুন নবী জন্মগ্রহন করেন ।
১৯৫৪ সালের এই দিনে ইতালীয় পদার্থবিদ এনরিকো ফের্মি মৃত্যুবরণ করেন ।
১৯৬০ সালের এই দিনে মৌরিতানিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯৬২ সালের এই দিনে সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার কৃষ্ণচন্দ্র দের মৃত্যু।
১৯৭১ সালের এই দিনে ইরানের তিনটি দ্বীপ আবু মুসা,তাম্বে বোযোর্গ,তাম্বে কুচাক থেকে বৃটিশ দখলদার সেনারা চলে যাবার পর ইরান ঐ তিনটি দ্বীপের ওপর নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করে।
১৯৯৯ সালের এই দিনে জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের ইন্তেকাল।
বিভাগঃ নভেম্বর

ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস ২৮শে নভেম্বর, ১৮২০ জন্মগ্রহণ করেন

Post By
Kalipada Roy

ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস ২৮শে নভেম্বর, ১৮২০ জন্মগ্রহণ করেন ৷ তিনি ছিলেন জার্মান সমাজ বিজ্ঞানী, লেখক, রাজনৈতিক তাত্ত্বিক,দার্শনিক, এবং মার্কসের সাথে মার্কসবাদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৮৪৫ সালে তিনি নিজের প্রত্যক্ষন এবং গবেষণার ভিত্তিতে ইংল্যান্ডে শ্রমিক শ্রেণির অবস্থা প্রকাশ করেন। ১৯৪৮ সালে কার্ল মার্কসের সাথে যৌথভাবে কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার রচনা করেন, পরে কার্ল মার্কসকে পুঁজি গ্রন্থটি গবেষণা ও রচনার জন্য অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করেন। মার্কসের মৃত্যুর পরে তিনি সেই বইয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড-দুটি সম্পাদনা করেন। আরো তিনি মার্কসের "উদ্বৃত্ত মূল্য তত্ত্ব" বিষয়ের নোটগুলো একত্রিত করেন এবং এগুলো পরে "পুঁজি"র চতুর্থ খণ্ড হিসেবে প্রকাশিত হয়।[১] তিনি পরিবার অর্থনীতি বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস
Image may contain: 1 person, beard
ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস, ১৮৭৭ সালে
জন্ম ২৮ নভেম্বর, ১৮২০
Barmen, Kingdom of Prussia (present-day Wuppertal, Germany)
মৃত্যু ৫ আগস্ট ১৮৯৫ (৭৪ বছর)
লন্ডন, ইংল্যান্ড, UK
জাতীয়তা German
যুগ উনিশ শতকের দর্শন
অঞ্চল পাশ্চাত্য দর্শন
ধারা মার্কসবাদ, বস্তুবাদ
আগ্রহ Political philosophy, economics, class struggle, capitalism
অবদান Co-founder of Marxism (with Karl Marx), alienation and exploitation of the worker, historical materialism
ভাবগুরু
Hegel, Feuerbach, Stirner, Smith, Ricardo, Rousseau, Goethe, Fourier, Hess, Morgan, Heraclitus
ভাবশিষ্য
Luxemburg, Lenin, Trotsky, Mao, Guevara, Sartre, Debord, Frankfurt School, Negri, Childe and many others
স্বাক্ষর 

শৈশব সম্পাদনা
তিনি ১৮২০ সালে জার্মানীর বারামানে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন জার্মানের একজন বড় শিল্পপতি। অত্যন্ত রক্ষণশীল এবং গোঁড়া ধর্মীয় পরিবেশে তিনি ছোটবেলায় লালিত পালিত হয়েছিলেন। কিন্তু অতিমাত্রায় ধর্মীয় নিয়ন্ত্রণ তাঁর মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। অচিরেই তিনি ধর্মের ব্যাপারে সংশয়ী হয়ে উঠলেন। ব্যবসা ও রাজনীতির প্রতি তাঁর ছিল বিশেষ ঝোঁক। এ কারণে তিনি প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়াও ছেড়ে দিয়েছিলেন। ছোটবেলায় তিনি কবিতা লিখতেন, তাও তিনি বাদ দিয়েছিলেন। তিনি পিতার ব্যবসায় হাত লাগাতে লাগলেন এবং তৎকালীন রাজনৈতিক বিষয়ে এবং হেগেলীয় দর্শনের পঠন-পাঠন শুরু করলেন। হেগেলীয় দর্শন অধ্যয়নে তিনি এর বিশেষ ত্রুটিসমূহ লক্ষ্য করতে লাগলেন এবং তাঁর মনে এর বিপুল সমালোচনা জমা হতে লাগলো। তিনি বিভিন্ন বস্তুবাদী দর্শন দ্বারা আকৃষ্ট হতে লাগলেন এবং তৎকালীন কিছু কিছু প্রচলিত সাম্যবাদী চিন্তার সাথে পরিচিত হতে থাকেন, তবে এ সম্পর্কে তাঁর মনে সংশয় দেখা দেয়।[২]
সেনাবাহিনীর চাকরি সম্পাদনা
১৮৪২ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং এক বছর সেখানে চাকরি করেন। সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন অবস্থায় তিনি সমকালীন বিশ্বের রাজনৈতিক ও সামরিক নীতি সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করেন।

১৯৬২ সালে ২৮শে নভেম্বর অভিনেতা, গায়ক, সুরকার কৃষ্ণচন্দ্র দে’র মৃত্যুবরণ করেন"

Post By
Kalipada Roy

১৯৬২ সালে ২৮শে নভেম্বর অভিনেতা, গায়ক, সুরকার কৃষ্ণচন্দ্র দে’র মৃত্যুবরণ করেন"
তিনি গায়ক মান্না দে’র কাকা। বিখ্যাত সুরকার ও গায়ক শচীন দেব বর্মনের শিক্ষক ও গুরু ছিলেন। ১৯০৬ সালে মাত্র তেরো বছর বয়সে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারান। কাজ করেছেন বিভিন্ন থিয়েটার গ্রুপে। ১৯৪০ পর্যন্ত কলকাতার নিউ থিয়েটারে কাজ করেছেন। তিনি মূলত কীর্তনের জন্য সুপরিচিত। বাংলা-সহ বেশ কয়েকটি জাতীয় ভাষায় ছ’শোটি গান গেয়েছেন। ১৯৩২ থেকে ’৪৬ পর্যন্ত তিনি সিনেমাতে গান করেন ও সুর দেন। অভিনয়ও করেছেন বেশ করেছেন কয়েকটি সিনেমায়।

Image may contain: 1 person, closeup

১৯৯০ সালে ২৮শে নভেম্বর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন৷

Post By
Kalipada Roy




১৯৯০ সালে ২৮শে নভেম্বর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন৷
পরলোকে মার্গারেট থ্যাচার। মার্গারেট থ্যাচার ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী। ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার মারা গেছেন।
লেডি থ্যাচার
LG, ওএম, PC, এফআরএস
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম মার্গারেট হিলটা রবার্টস
১৩ অক্টোবর ১৯২৫
গ্রানথাম, লিংকরশ্যায়ার, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য
মৃত্যু ৮ এপ্রিল ২০১৩ (৮৭ বছর)
ওয়েষ্টমিনস্টার, লন্ডন, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য
মৃত্যুর কারণ পক্ষাঘাত
রাজনৈতিক দল কনজারভেটিভ পার্টি, যুক্তরাজ্য
দাম্পত্য সঙ্গী ডেনিস থ্যাচার১৩ ডিসেম্বর ১৯৫১ (বি. ৩০০৩)
সন্তান কার্ল থ্যাচার
মার্ক থ্যাচার
পিতামাতা আলফ্রেড রসার্টস এবং বিট্রিস
জীবিকা রসায়নবিদ
আইনজীবি
রাজনীতীবিদ
Image may contain: 1 person, standing

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে ৮ এপ্রিল ২০১৩ সকালে ৮৭ বছর বয়সে পরলোকগমণ করেন তিনি। মার্গারেট থ্যাচারের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তাঁর মুখপাত্র লর্ড বেল। সম্পর্কিত বিষয়আন্তর্জাতিক, যুক্তরাজ্যলর্ড বেল জানিয়েছেন, “অত্যন্ত দুঃখের সাথে মার্ক এবং ক্যারোল থ্যাচার জানিয়েছেন যে তাঁদের মা ব্যারোনেস থ্যাচার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে আজ সকালে মারা গেছেন”। ১৯৭৯-১৯৯০ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ব্যারোনেস থ্যাচার। সে সময়ে ব্রিটেনের রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তনের সূচনা হয়। ব্রিটেনের ইতিহাসে একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার কনজারভেটিভ পার্টি থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হয়েও যে ভাবে শক্ত হাতে, বিভিন্ন বাধা অগ্রাহ্য করে তিনি ব্রিটেনের অর্থনীতিতে বৈপব্লিক সংস্কার এনেছিলেন, তার জন্য তিনি আয়রন লেডি হিসিবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। "আমি মনে করিনা আমার জীবদ্দশায় কোন মহিলা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হবেন" ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ। এডওয়ার্ড হিথ যখন ব্রিটেনের কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রী তখন মাগারেট থ্যাচার ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এডওয়ার্ড হিথ কখনো ভাবেননি যে কোন মহিলা কখনো ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হবে। মিঃ হিথ বলেছিলেন, "আমি মনে করিনা আমার জীবদ্দশায় কোন মহিলা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হবেন"। ১৯৭৫ সালে রক্ষণশীল দলের মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথকে বিস্ময়করভাবে হারিয়ে দলের নেতৃত্বে উঠে আসেন মার্গারেট থ্যাচার। জেমস ক্যালাহানের সরকার বিদায় নেয়ার পরে মার্গারেট থ্যাচারই হলেন ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রধানমন্ত্রীত্ততেই ব্রিটেনের ইউনিয়নগুলোর জন্য আইন হয়, ধর্মঘট করতে হলে তার আগে সদস্যদের সম্মতি নিতে হবে ভোটের মাধ্যমে এই ব্যবস্থাটি তখন নেয়া হয়। এছাড়া, মার্গারেট থ্যাচার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে কাউন্সিলের বাড়ির ভাড়াটেদের বাড়ি কেনার সুযোগ আর রাষ্ট্রীয় বণ্ড প্রতিষ্ঠান বেসরকারিকরণ করা হয়। নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল দৃঢ়তার জন্য বিখ্যাত ছিলেন মার্গারেট থ্যাচার। সেসময় ব্রিটেনের বেকারত্ব ৩০ লাখে দাড়ালেও থ্যাচার নীতি পরিবর্তন করেননি। তিনি একসময় ব্রিটেনের সবচেয়ে অজনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীতে পরিণত হয়েছিলেন। কিন্তু ফকল্যান্ডের যুদ্ধে বিজয়ের পর ১৯৮৩ সালের নির্বাচনে কনজারভেটিভরা আবার জিতলো। খনিশ্রমিকদের ধর্মঘট, ব্রাইটনে পার্টি কনফারেন্সে বোমা হামলা কোন কিছুই থ্যাচারকে টলাতে পারেনি। তৃতীয় নির্বাচনেও তিনি জয়ী হয়েছিলেন। একাধারে ১৯৭৯, ১৯৮৩ এবং ১৯৮৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হন মার্গারেট থ্যাচার। "রাজনীতি করলে আপনার পিঠে কেউ ছুরি মারবে এমন ঝুঁকি থাকবেই । কিন্তু এটা আমি কখনো ক্ষমা করবো না যে আমাকে পার্লামেন্টের মাধ্যমে বিদায় নিতে দেয়া হয় নি। এটা আমি ভুলবো না" মার্গারেট থ্যাচারের তিক্ত অনুভূতির কথা কিন্তু ইউরোপের ব্যাপারে তাঁর নীতি নিয়ে তাঁর দল ও মন্ত্রীসভায় অসন্তোষ দেখা দেয়। অবশেষে মাইকেল হেজেলটাইন নেতৃত্বের পদে থ্যাচারকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। অনেকদিন পর তিনি তার তিক্ত অনুভুতির কথা বলেছিলেন, "রাজনীতি করলে আপনার পিঠে কেউ ছুরি মারবে এমন ঝুঁকি থাকবেই । কিন্তু এটা আমি কখনো ক্ষমা করবো না যে আমাকে পার্লামেন্টের মাধ্যমে বিদায় নিতে দেয়া হয় নি। এটা আমি ভুলবো না"। তার সময়েই তেল, গ্যাস, ইস্পাত, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ, এবং পানি সরবরাহের মত বৃহদায়তন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বেসরকারি খাতের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই কারণে শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে তাঁকে দীর্ঘদিন লড়াই করতে হয়। শ্রমিকদের ধর্মঘট, আন্দোলন তিনি কঠোর হাতে দমন করেন। ব্রিটেনে ধনী-গরীবের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোর জন্যও লোকে তাকেই প্রধানত দায়ী করে থাকেন। তার শাসনব্যবস্থা দেখেই তখনকার সোভিয়েত সংবাদপত্র প্রাভদা তার নামকরণ করে আয়রন লেডি বা লৌহ মানবী। তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগান তাঁর নাম দিয়েছিলেন 'দা বেস্ট মেন ইন ৷

সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৭

১০০১ সালে ২৭শে নভেম্বর গজনীর সুলতান মুহাম্মদের কাছে যুদ্ধে রাজা জয়পাল সিং পরাজীত হয়৷


Post By
Kalipada Roy



১০০১ সালে ২৭শে নভেম্বর গজনীর সুলতান মুহাম্মদের কাছে যুদ্ধে রাজা জয়পাল সিং পরাজীত হয়৷
সুলতান মাহমুদ গজনী’র সামরিক অভিযানসমূহ
Amin
1 বছর ago
এম এস শহিদ : পিতা সবুক্তগীনের মৃত্যুর পর ৯৯৭ খৃস্টাব্দে সুলতান মাহমুদ গজনীর সিংহাসনে আরোহণ করেন। ভারতে সামরিক অভিযান তার রাজত্বকালের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। বীরোত্তম সুলতান মাহমুদ ভারতবর্ষে সর্বমোট ১৭ বার যুদ্ধাভিযান করেন এবং এতে তার তেত্রিশ বৎসর রাজত্বকালের ২৭ বৎসর ব্যয় হয়। ভারতবর্ষে তার বীরোচিত সামরিক অভিযানগুলো নিম্নে আলোকপাত করা হলোঃ–
সীমান্তের দুর্গ দখল : ১০০০ খৃস্টাব্দের দিকে সুলতান মাহমুদ সর্বপ্রথম ভারতবর্ষে অভিযান করে সীমান্তের দুর্গগুলো অধিকার করেন। এই সীমান্ত দুর্গ–নগরগুলো নামদান ও পেশাওয়ারের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত ছিল।
জয়পালের বিরুদ্ধে অভিযান : ১০০১ খৃস্টাব্দের দিকে সুলতান মাহমুদ জয়পালের বিরুদ্ধে অগ্রসর হলেন এবং পেশোয়ারের নিকট দশ হাজার অশ্বারোহীসহ তাঁবু ফেলেন। সবুক্তগীনের নিকট দু’বার পরাজিত হয়েও জয়পাল মুসলিম আক্রমণের বিরোধিতা ও সন্ধিশর্ত ভঙ্গ করে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। ১০০১ খৃস্টাব্দের ২৮ নভেম্বর জয়পাল বার হাজার অশ্বারোহী, ত্রিশ হাজার পদাতিক এবং তিনশত হস্তীবাহিনী নিয়ে মাহমুদের গতিরোধ করেন। তুমুল যুদ্ধে সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বাধীন মুসলিম বাহিনীর কাছে জয়পাল শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন এবং পুত্র–পরিবার পরিজনসহ জয়পাল বন্দী হন। কতিপয় শর্তে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। এ পরাজয়ের ফলে জয়পাল হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং স্বীয়পুত্র আনন্দপালের ওপর রাজ্যভার ন্যস্ত করে মুসলমানদের কাছে পরাজয়ের গ্লানি মোচনের জন্য অগ্নিশিখায় প্রজ্বলিত হযে আত্মাহুতি দেন। মাহমুদ জয়পালকে পরাজিত করে সিন্ধু নদের পশ্চিম তীরবর্তী শহর উন্দ দখল করে গজনীতে প্রত্যাবর্তন করেন।
Image may contain: 1 person

ভীরার রাজার বিরুদ্ধে অভিযান : ১০০১ থেকে ১০০৪ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত সুলতান মাহমুদ পশ্চিমাঞ্চলে ব্যস্ত থাকায় ভারতবর্ষে সামারিক অভিযান করতে পারেন নাই। কিন্তু ১০০৪–৫ খৃস্টাব্দে ঝিলামের পশ্চিম তীরের রাজ্য ভীরার রাজা বিজয় রায়ের বিরুদ্ধে সামরিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা ভঙ্গ করেন। তাই বিশ্বাসঘাতক ভীরার রাজার বিরুদ্ধে মাহমুদ সামরিক অভিযান করেন। সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বাধীন মুসলিম বাহিনীর সাথে ভীরার রাজা বিজয় রায়ের নেতৃত্বাধীন হিন্দু বাহিনীর তিন দিন ধরে তুমুল যুদ্ধ সংঘটিত হয়। জয়–পরাজয় অনিশ্চিত থাকে। কিন্তু চতুর্থ দিনে মুসলিম বাহিনীর মুহুর্মুহু প্রচন্ড আক্রমণে ভীরার দুর্গ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং হিন্দু বাহিনী পরাজয় বরণ করে। ভীরার রাজা বিজয় রায় মুসলিম বাহিনীর হাতে বন্দী হন এবং বন্দী অবস্থায় আত্মহত্যা করেন। ভীরা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা সুলতান মাহমুদের পদানত হলো।
মুলতান বিজয় : সুলতানের শাসনকর্তা আবুল ফাত্তাহ দাউদ গজনীর সুলতান মাহমুদের অগ্রাভিযানকে প্রতিহত করার জন্য জয়পালের পুত্র আনন্দপালের সাথে সখ্যতা স্থাপন করেন। তাছাড়া তার অনৈসলামিক কার্যকলাপ, বিদ্বেষ ও বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ আচরণে সুলতান মাহমুদ ক্রুদ্ধ হয়ে ১০০৫–৬ খৃস্টাব্দে পাঞ্জাবের মধ্য দিয়ে মুলতানের দিকে অগ্রসর হলেন। কারামাতী নেতা দাউদের প্ররোচনায় আনন্দপাল তার গতিরোধ করলে তিনি পরাজিত হয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় আশ্রয় গ্রহণ করেন। অতঃপর মুলতানের শাসনকর্তা কারামাতী নেতা দাউদকে সমুচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য মাহমুদ সুলতান অবরোধ করেন। সাত দিন অবরুদ্ধ থাকার পর দাউদ সুলতান মাহমুদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। কতিপয় শর্তে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। দাউদ তার ইসলাম বিরোধী ধর্মমত কারামতী পরিত্যাগ করে শরীয়ত মোতাবেক ধর্মীয় অনুশাসন পালন এবং বাৎসরিক ২০ হাজার দিরহাম প্রদানের অঙ্গীকারে বশ্যতা স্বীকার করেন। মুলতান হতে প্রত্যাবর্তনের পূর্বে মাহমুদ আনন্দপালের পুত্র সুখপালের ওপর শাসনভার অর্পণ করেন এবং মোঙ্গল নেতা ইলাক খানের হঠাৎ গজনী রাজ্য আক্রমণের সংবাদে তিনি দ্রুত রাজধানীতে ফিরে যান। সুখপাল ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নেওয়াশা শাহ উপাধি গ্রহণ করেন।
সুখপালের বিরুদ্ধে অভিযান : সুলতান মাহমুদ ও মোঙ্গল নেতা ইলাক খানের মধ্যে প্রচন্ড যুদ্ধ চলবার সুযোগে সুখপাল ১০০৭ খৃস্টাব্দে ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগ করে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। ইলাক খানের বিরুদ্ধে বলখের যুদ্ধ শেষে সুখপালের ধৃষ্টতার জন্য মাহমুদ মুলতান অভিযান করেন। কিন্তু সীমান্তে পৌঁছে সংবাদ পেলেন যে, ইতোমধ্যে তার আমীরগণ সুখপালকে পরাজিত ও বন্দি করেছে এবং সেইসাথে ৪ লাখ দিরহাম জরিমানা ও যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে।
আনন্দপালের বিরুদ্ধে অভিযান : কারামতী নেতা আবু দাউদকে সাহায্যের জন্য ১০০৮–৯ খৃস্টাব্দে সুলতান মাহমুদ একটি বিশাল বাহিনী নিয়ে ভাতিন্দা রাজ্যের রাজা আনন্দপালের বিরুদ্ধে অগ্রসর হলেন। সমূহ বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আনন্দপাল ভারতবর্ষের অন্যান্য হিন্দু রাজন্যবর্গের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে উজ্জয়িনী, কনৌজ, কানিজর, দিল্লি ও আজমীরের হিন্দু রাজন্যবর্গ সৈন্য সামন্ত নিয়ে এগিয়ে আসেন।