By %MONIR%

শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭

এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসে ১৬ই ডিসেম্বর কোথায় কি

Post By
Kalipada Roy

এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসে ১৬ই ডিসেম্বর কোথায় কি
 ঘটেছিল৷আজ মহান বিজয় দিবস।
১৯৭১ এই দিনে বাংলাদেশ স্বাধীন হয় ।
১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে ইংরেজ মহিলা ঔপন্যাসিক জেন অস্টিন-এর জন্ম।
১৯০১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে নবাব খাজা আহসানউলস্নাহর ইনত্মেকাল।
১৯০৪ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে কলকাতার প্রথম দৈনিক সান্ধ্য পত্রিকা ‘সন্ধ্যা’ প্রকাশিত হয়।
১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে সংগীত শিল্পী মাহমুদুন্নবীর জন্ম।
১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে ইংরেজ কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার সমাসেট মম-এর মৃতু্য।
১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে বঙ্গবন্ধু সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে কণ্ঠশিল্পী ফিরোজ সাই-এর ইন্তেকাল।
১৯৫০ সালের ১৬ ই ডিসেম্বরে সাইপ্রাসের জনগণ তাদের দেশর ওপর ব্রিটিশ আধিপত্যের পরিসমাপ্তির লক্ষ্যে স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু করে।
১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ই ডিসেম্বরে কাজাকিস্তান নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
১৯৯৮ সালের ১৬ই ডিসেম্বর প্যারিসের একটি আপীল আদালত ফ্রান্সের বিশিষ্ট মুসলিম দার্শনিক, ইতিহাসবিদ ও লেখক রজার গারুদিকে হোলোকাস্টের কথিত গণহত্যার কল্পকাহিনী অস্বীকার করার অপরাধে জেল ও জরিমানা করে।

বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭

আজ ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় "শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস৷

Post By
Kalipada Roy

 আজ ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় "শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস৷
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বাংলাদেশে পালিত একটি বিশেষ দিবস। প্রতিবছর বাংলাদেশে ১৪ ডিসেম্বর দিনটিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।[১][২][৩] ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৪ই ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর সকল বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। এ কাজে বাংলাদেশীদের মধ্যে রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীর লোকেরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছিল।
Image may contain: 16 people প্রেক্ষাপট সম্পাদনা
১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য হাজার হাজার শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাদের ওপর চালায় নির্মম-নিষ্ঠুর নির্যাতন তারপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বুঝতে পেরেছিল, তাদের পরাজয় অনিবার্য। তারা আরো মনে করেছিল যে, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা বেঁচে থাকলে এ মাটিতে বসবাস করতে পারবে না। তাই পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাহীন ও পঙ্গুত্ব করতে দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের বাসা এবং কর্মস্থল থেকে রাতের অন্ধকারে পৈশাচিক কায়দায় চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে হত্যা করে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বর ঘটনা, যা বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী মানুষকে স্তম্ভিত করেছিল। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রেখে যায়। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরপরই নিকট আত্মীয়রা মিরপুর ও রাজারবাগ বধ্যভূমিতে স্বজনের লাশ খুঁজে পায়। বর্বর পাক বাহিনী ও রাজাকাররা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেছিল। বুদ্ধিজীবীদের লাশজুড়ে ছিল আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা, কারো কারো শরীরে একাধিক গুলি, অনেককে হত্যা করা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে। লাশের ক্ষত চিহ্নের কারণে অনেকেই তাঁদের প্রিয়জনের মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারেননি। ১৯৭২ সালে জাতীয়ভাবে প্রকাশিত বুদ্ধিজীবী দিবসের সঙ্কলন, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও আন্তর্জাতিক নিউজ ম্যাগাজিন ‘নিউজ উইক’-এর সাংবাদিক নিকোলাস টমালিনের লেখা থেকে জানা যায়, শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা মোট ১ হাজার ৭০ জন।[৪]
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ সম্পাদনা
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত হয় বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ। এটি ঢাকার মীরপুরে অবস্থিত। স্মৃতিসৌধটির স্থপতি মোস্তফা হালি কুদ্দুস। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, রাজাকার ও আল-বদর বাহিনীর সহায়তায় বাংলাদেশের বহুসংখ্যক বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে তাদেরকে মিরপুর এলাকায় ফেলে রাখে। সেই সকল বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে সেই স্থানে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়। এ সকল বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ঢাকার রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নাম জানা ও অজানা বুদ্ধিজীবীদের সম্মানে নির্মাণ করা হয়েছে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ’। স্থপতি মো. জামী-আল সাফী ও ফরিদউদ্দিন আহমেদের নকশায় নির্মিত এ স্মৃতিসৌধ ১৯৯৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া বাংলাদেশ ডাকবিভাগ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে একটি স্মারক ডাকটিকিটের সিরিজ বের করেছে।
২৫ মার্চ ১৯৭১ কলো রাতেই শুরু হয় বুদ্ধিজীবীদের নিধনযজ্ঞ কার্যক্রম। পরিকল্পিতভাবে ১৪ ডিসেম্বরে সবচেয়ে বেশীসংখ্যক বুদ্ধিজীবী নিধন করা হয়েছিল। তাই, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ এইদিনকে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ ঘোষণা করেন। বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী কোষগ্রন্থ’(১৯৯৪) থেকে জানা যায়, ২৩২ জন বুদ্ধিজীবী শহীদ হয়েছেন। তবে তালিকায় অসম্পূর্ণতার কথা ওই গ্রন্থেই স্বীকার করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের ১৮, মতান্তরে ২৯ তারিখে বেসরকারীভাবে গঠিত বুদ্ধিজীবী নিধন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। এরপর “বুদ্ধিজীবী তদন্ত কমিটি” গঠিত হয়। এই কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাও ফরমান আলী এদেশের ২০,০০০ বুদ্ধিজীবীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু এই পরিকল্পনা মতো হত্যাযজ্ঞ চলেনি। কারণ ফরমান আলীর লক্ষ্য ছিল শীর্ষ বুদ্ধিজীবীদেরকে গভর্নর হাউজে নিমন্ত্রণ করে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলা। বুদ্ধিজীবী তদন্ত কমিটির প্রধান জহির রায়হান বলেছিলেন, এরা নির্ভুলভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্রমনষ্ক বুদ্ধিজীবীদেরকে বাছাই করে আঘাত হেনেছে। উল্লেখ্য,ওই কমিশনের আহবায়ক ছিলেন চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান, যিনি নিখোঁজ হন ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি।

শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৭

স্যার যদুনাথ সরকার,১০ ই ডিসেম্বর ১৮৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷

Post By
Kalipada Roy

স্যার যদুনাথ সরকার,১০ ই ডিসেম্বর ১৮৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷ তিনি স্বনামধন্য বাঙালি ইতিহাসবিদ। তিনিই প্রথম মীর্জা নাথান রচিত বাহারিস্তান-ই-গায়বী‎ এর পাণ্ডুলিপি ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগারে খুঁজে পান এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন জার্নালে বাংলা এবং ইংরেজিতে প্রবন্ধ লিখে বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জন্ম ও পরিবার সম্পাদনা
Image may contain: 1 person যদুনাথ সরকারের জন্ম ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের ১০ ডিসেম্বর, বৃহত্তর রাজশাহী জেলার আত্রাই থানার কড়চমারিয়া গ্রামে৷ পিতা রাজকুমার সরকার এবং মাতা হরিসুন্দরী দেবীর ৭ পুত্র এবং ৩ কন্যার মধ্যে তিনি ৫ম সন্তান, ৩য় পুত্র। তাদের পূর্বপুরুষ ধনাঢ্য জমিদার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। বিদ্যানুরাগী রাজকুমার সরকারের ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার ছিল বিশালাকার। গণিতের ছাত্র হলেও ইতিহাসে ছিল গভীর আগ্রহ। নানা জনহিতকর কাজে তিনি সময় ও অর্থ ব্যয় করতে ভালোবাসতেন। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এই বিষয়াদি যদুনাথ সরকারকে প্রভাবান্বিত করেছিল। পিতার মাধ্যমেই অল্প বয়সে তাঁর পরিচয় হয়েছিল বার্ট্রান্ড রাসেলের 'Hisotry of England' নামীয় গ্রন্থের সঙ্গে। রাজকুমার সরকার পুত্রের হাতে প্লুটার্ক রচিত প্রাচীন গ্রিক ও রোমান নায়কদের জীবনী তুলে দিয়েছিলেন। পিতাই তাঁর কিশোর চিত্তে ইতিহাসের নেশা জাগিয়ে দিয়েছিলেন।
শিক্ষাজীবন সম্পাদনা
গ্রামের স্কুলে তাঁর আনুষ্ঠানিক শিক্ষার শুরু। তারপর অধ্যয়ন করেছেন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে। এরপর গন্তব্য কোলকাতার হেয়ার স্কুর ও সিটি কলেজিয়েট স্কুল। পরে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাশ করেন প্রথম শ্রেণীতে ষষ্ঠ স্থান অর্জন ক’রে। তিনি রাজশাহী কলেজ থেকে ১ম বিভাগে দশম স্থান অধিকার করে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে।[১] পরবর্তী গন্তব্য কোলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ। থাকতেন ইডেন হোস্টেলে। ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইতিহাস ও ইংরেজি সাহিত্য - এই দুটি বিষয়ে অনার্সসহ বি.এ পাশ করেন এবং ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে ৯০% নম্বর নিয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ পাশ করেন৷ ১৮৯৭ সালে তিনি ‘প্রেমচাঁদ-রায়চাঁদ’ স্কলারশিপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে স্বর্ণপদকসহ দশ হাজার টাকা বৃত্তি লাভ করেন৷ tushar
কর্মজীবন সম্পাদনা
অধ্যাপনার মাধ্যমে ১৮৯৮ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজে তাঁর প্রথম কর্মস্থল নির্ধারিত হয়। ১৮৯৯ সালে পাটনা কলেজে বদলী হয়ে ১৯২৬ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানে ছিলেন। মাঝখানে কিছুকাল ১৯১৭ থেকে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে অধ্যাপনা করেন। অধ্যাপক জীবনের বেশীরভাগ সময়ই কাটে পাটনা ও কটকে।[২] ৪ আগস্ট, ১৯২৬ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে মনোনীত হন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনিই প্রথম অধ্যাপক ভাইস-চ্যান্সেলর ছিলেন তিনি।
যদুনাথ সরকার ১৯২৩ সালে রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির সম্মানিত সদস্য হন।
সাহিত্যিক জীবন সম্পাদনা
"যদুনাথ সরকার রচনা সম্ভার" গ্রন্থটির প্রচ্ছদপট
ইতিহাস শাস্ত্রে অসাধারণ ও প্রগাঢ় জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন যদুনাথ সরকার। তাঁকে ইতিহাস-চর্চায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন ভগিনী নিবেদিতা, যিনি সিস্টার নিবেদিতা নামেই সমধিক পরিচিত। তিনি ঐতিহাসিক গবেষণা-গ্রন্থ রচনার জন্য বাংলা, ইংরেজী, সংস্কৃত ভাষা ছাড়াও উর্দু, ফারসী, মারাঠীসহ আরও কয়েকটি ভাষা শিখেছিলেন।[২]
ঐতিহাসিক গবেষণা ছাড়াও তিনি একজন বিশিষ্ট সাহিত্য-সমালোচক ছিলেন। এছাড়াও, রবীন্দ্র-সাহিত্যের সমঝদার পাঠক ছিলেন যদুনাথ সরকার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার পাবার আগেই তিনি কবির রচনার ইংরেজী অনুবাদ করে পাশ্চাত্য জগতের কাছে তাঁর পরিচয় তুলে ধরেন।[২]
                                            

এক নজরে দেখে নিন ৯ই ডিসেম্বর ইতিহাসে কোথায় কি ঘটেছিল৷

Post By
Kalipada Roy

ইতিহাসে ৯ ডিসেম্বর
আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন দিবস
১৪৮৪ সালের এই দিনে দৃষ্টিহীন হিন্দি কবি সরুদাসের জন্ম।
১৬০৮ সালের এই দিনে বিশ্বখ্যাত ইংরেজ কবি জন মিল্টনের জন্ম।
১৭৪২ সালের এই দিনে সুইডেনের বিখ্যাত রসায়নবিদ কার্ল উইলহেম শিল জন্মগ্রহণ করেন।
১৭৫৮ সালের এই দিনে ভারতের মাদ্রাজকে নিয়ে উপনিবেশবাদী বৃটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে ১৮ মাসের যুদ্ধ শুরু হয়।
১৭৯৩ সালের এই দিনে নিউ ইয়র্ক শহড়ের প্রথম সংবাদপত্র ‘আমেরিকান মিনার্ভা’ নোয়াহ ওয়েবস্টার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৬৫ সালের এই দিনে ফরাসি গণিতবিদ জাক হাদামার্দের জন্ম।
১৮৮০ সালের এই দিনে উনবিংশ শতাব্দীর খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন জন্মগ্রহন করেন।
১৮৮৩ সালের এই দিনে ভবতারিণী (মৃণালিনী) দেবীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিয়ে হয়।
১৯০৫ সালের এই দিনে ফ্রান্সে রাষ্ট্র থেকে গীর্জা পৃথকীকরণ আইন পাশ হয়।
১৯১৬ সালের এই দিনে জাপানি ঔপন্যাসিক সোসেকি নাৎসুমের মৃত্যু।
১৯১৭ সালের এই দিনে ফিনল্যান্ড স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯১৭ সালের এই দিনে প্রথম মহাযুদ্ধে তুরস্কের ওসমানীয় সরকারের সেনারা ফিলিস্তিনে ইংরেজ সেনাদের কাছে পরাজিত হয়।
১৯১৭ সালের এই দিনে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ফিল্ড মার্শাল এডমুন্ড অ্যালেনবি জেরুজালেম দখল করেন।
১৯২০ সালের এই দিনে ইতালীয় রাজনীতিবিদ ও প্রধানমন্ত্রী কার্লো আজেলিও চিয়াম্পি জন্মগ্রহন করেন ।
১৯২৪ সালের এই দিনে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
১৯৩২ সালের এই দিনে উনবিংশ শতাব্দীর খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৩৮ সালের এই দিনে বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার মীর শওকত আলী জন্মগ্রহন করেন।
১৯৪১ সালের এই দিনে রাশিয়ান লেখক ও দার্শনিক দিমিত্রি মেরজোকোভস্কির মৃত্যু।
১৯৪১ সালের এই দিনে খ্যাতনামা ইংরেজ ফুটবলার জিওফ্রে চার্লস হার্স্ট-এর জন্ম।
১৯৪১ সালের এই দিনে দ্বীতিয় বিশ্বযুদ্ধে চীন প্রজাতন্ত্র, ফিলিপাইন কমনওয়েলথ, কিউবা, গুয়াতেমালা, ও কোরিয়া প্রজাতন্ত্র জার্মানী ও ইতালীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ষোষণা করে।
১৯৪২ সালের এই দিনে উত্তর চীনের জাপানী আক্রমন বিরোধী ঘাঁটিতে আন্তর্জাতিক যোদ্ধা কোটনিস মৃত্যুবরন করেন ।
১৭৪৮ সালের এই দিনে ফরাসী রসায়নবিদ ক্লাউড লুই বার্থোলে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৫৫ সালের এই দিনে জার্মান গণিতবিদ হেরমান ভাইলের মৃত্যু।
১৯৬১ সালের এই দিনে ট্যাঙ্গানিকা বৃটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৬৪ সালে ট্যাঙ্গানিকার সাথে যোগ দেয় জান্জিবার দ্বীপ, তখন এটি নাম নেয় ইউনাইটেড রিপাবলিক অব ট্যাঙ্গানিকা ও জান্জিবার। একই বছর নাম পাল্টে রাখে ইউনাইটেড রিপাবলিক অব তান্জানিয়া।
১৯৭১ সালের এই দিনে সংযুক্ত আরব আমিরাত জাতিসংঘে যোগ দেয়।
১৯৭৮ সালের এই দিনে আর্জেন্টিনার পেশাদার টেনিস খেলোয়াড় গাস্তন গাউদিও জন্মগ্রহন করেন ।
১৯৮১ সালের এই দিনে ভারতীয় মডেল এবং অভিনেত্রী দিয়া মির্জা জন্মগ্রহন করেন ।
১৯৮৭ সালের এই দিনে অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজায় ফিলিস্তিনী জনগণের ইন্তিফাদা গণ-জাগরণ শুরু হয়।
১৯৯১ সালের এই দিনে ইউরোপীয় কমিউনিটি ১৯৯৯ সালের মধ্যে অভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অভিন্ন মুদ্রা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়।
১৯৯৬ সালের এই দিন থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিন ব্যাপী বিশ্ব সংস্থার প্রথম মন্ত্রী সম্মেলন সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯৭ সালের এই দিন থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত ইসলামী সম্মেলন সংস্থার অষ্টম শীর্ষ সম্মেলন ইরানের রাজধানী হেহরানে অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯৭ সালের এই দিনে চীনের গণ মুক্তি ফৌজের উপ-প্রধান ( ডেপুটি চিফ অব দি জেনারেল স্টাফ) লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল সিয়োং কুয়াং খাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে চীন-মার্কিন দুদেশের প্রতিরক্ষা দফতরের পরামর্শ করেন।

বিখ্যাত ইংরেজ কবি জন মিল্টন ৯ই ডিসেম্বর ১৬০৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷

Post By
Kalipada Roy

বিখ্যাত ইংরেজ কবি জন মিল্টন ৯ই ডিসেম্বর ১৬০৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন৷
সপ্তদশক শতাব্দীর ইংরেজ কবি, গদ্য লেখক এবং কমনওয়েলথ অব ইংল্যান্ডের একজন সরকারি কর্মচারী। তার প্রসিদ্ধ কাব্য প্যারাডাইস লস্ট এর কারণে তিনি সমধিক পরিচিত। কয়েক শতাব্দী শীর্ষ ইংরেজ কবির অবস্থানে থাকার পর বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি টি এস এলিয়ট ও এফ আর লেভিস এর জনপ্রিয়তার কাছে তার শীর্ষস্থান হুমকির মুখে ছিল। কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক ও সাহিত্য জার্নালের কল্যাণে মিল্টনের অবদান একুশ শতাব্দীতেও অটুট রয়েছে।
জন মিলটন
Image may contain: 1 person, drawing জন্ম ডিসেম্বর ৯, ১৬০৮
ব্রেড স্ট্রিট, চিপসাইড, লন্ডন, ইংল্যান্ড
মৃত্যু নভেম্বর ৮, ১৬৭৪ (৬৫ বছর)
বানহিল, লন্ডন, ইংল্যান্ড
পেশা কবি, প্রাবন্ধিক, সরকারী কর্মচারী
সাহিত্য আন্দোলন [ আন্দোলন ] জন মিলটন ইতালি থাকা অবস্থায় ইংল্যান্ড থেকে খবর এল দেশে যু্দ্ধের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। খবর শুনে তিনি ইংল্যান্ডে ফিরে এলেন। এসময় তার ভিতরে জেগে উঠল বিদ্রোহী সত্তা। ‍ এবার আর কাব্য নয় এখন প্রয়োজন গদ্যের। লন্ডনে এসে পাকাপাকিভাবে ঘর বাধলেন তিনি। নিজেকে ঘোষণা করলেন এই যুদ্ধের সৈনিক হিসেবে। তবে তার অস্ত্র বন্দুক নয়, কলম।এ সময় তিনি রচনা করেন এ্যরোপ্যাজিটিকা গ্রন্থটি। এ গ্রন্থে সমগ্র বিশ্বের মানুষের বাক স্বাধীনতা, মুদ্রণ স্বাধীনতা এবং সংগ্রামের এক জীবন্ত দলিল।
তার মৃত্যুর পর থেকে আজ পর্যন্ত মিল্টনের জীবন নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে।

সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৭

এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসে ৪ঠা ডিসেম্বরে কোথায় কি ঘটেছিল

Post By
Kalipada Roy 
এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসে ৪ঠা ডিসেম্বরে কোথায় কি ঘটেছিল৷
১১৩১ সালের এই দিনে পারস্যের কবি ও দার্শনিক ওমর খৈয়াম মৃত্যুবরণ করেন।
১১৫৪ সালের এই দিনে ৪র্থ অড্রিয়ান পোপ নির্বাচিত হন। তিনিই একমাত্র ইংরেজ যিনি পোপ পদে অধিষ্ট হয়েছেন।
১৫৩৪ সালের এই দিনে তুরস্কের সুলতান সোলাইমান বাগদাদ দখল করেন।
১৬৪৪ সালের এই দিনে শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
১৬৭৯ সালের এই দিনে ইংরেজ দার্শনিক ও রাজনীতি বিশেষজ্ঞ থমাস হবস ৯১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
১৭১১ সালের এই দিনে স্পেনের রানি বারবারার জন্ম।
১৭১৭ সালের এই দিনে প্রবাদপ্রতিম ইংরেজ চিকিৎসক উইলিয়াম হ্যামিলটনের মৃত্যু।
১৭৯১ সালের এই দিনে প্রথম ব্রিটেনে দি অবজারভার পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
১৭৯৫ সালের এই দিনে সাহিত্যিক টমাস কার্লাইলের জন্ম।
১৭৯৮ সালের এই দিনে ইংল্যান্ডে আয়কর প্রবর্তিত হয়।
১৮২১ সালের এই দিনে রুশ কবি নিকোলাই নেক্রাসভের জন্ম।
১৮২১ সালের এই দিনে ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও তারাচরণ দত্তের সম্পাদনায় সাপ্তাহিক ‘সম্বাদ কৌমুদী’ প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৮২৯ সালের এই দিনে লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক আইন করে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করে দেন।
১৮৩৩ সালের এই দিনে আমেরিকায় দাসপ্রথাবিরোধী সংগঠন গড়ে ওঠে।
১৮৩৫ সালের এই দিনে ইংরেজ লেখক স্যামুয়েল বাটলারের জন্ম।
১৮৩৫ সালের এই দিনে ইরানের কাজারী শাসনামলের বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং লেখক আবুল কাসেম কায়েমে মোকাম ফারাহানী নিহত হন।
১৮৭৫ সালের এই দিনে জার্মান কবি রাইনার মারিয়া রিলকের জন্ম।
১৮৮৮ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক আর সি মজুমদারের (রমেশ চন্দ্র মজুমদার) জন্ম।
১৮৯২ সালের এই দিনে জেনারেল ফ্রান্সিস্কো ফ্রাঙ্কো জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্পেনের গৃহযুদ্ধের সময় (১৯৩৬-৩৯) ন্যাশনালিস্ট ফোর্সকে নেতৃত্ব দেন, ও আমৃত্যু স্পেনের ডিক্টেটর ছিলেন।
১৮৯৩ সালের এই দিনে কবি ও সমালোক স্যার হার্বাট রিডের জন্ম।
১৮৯৯ সালের এই দিনে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধের জন্যে এই জ্বরের ভ্যাকসিন মানব দেহে ব্যবহার করা হয়।
১৯৪০ সালের এই দিনে বিশিষ্ট আলেম এবং দার্শনিক আল্লামা মোহাম্মাদ হোসাইন কাম্পনি ইরাকের নাজাফে মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৫৩ সালের এই দিনে শেরে বাংলা, ভাসানী ও সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট গঠন।
১৯৫৯ সালের এই দিনে সেচ ও বিদ্যুৎ প্রকল্প রূপায়নের লক্ষ্যে ভারত ও নেপালের মধ্যে আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৬৫ সালের এই দিনে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড সময় বিকেল সাতটা ত্রিশ মিনিটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেনেডী কেপ থেকে হারকিউলিস-২ রকেট দিয়ে “জেমিনি ৭.” উপগ্রহ ধরণের নভোযান উত্ক্ষেপন করে ।
১৯৭০ সালের এই দিনে পল্টনে বিশাল জনসমুদ্রে মওলানা ভাসানীর স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান দাবি উত্থাপন।
১৯৭১ সালের এই দিনে ভারতীয় নৌবাহিনী পাকিস্তানি নৌবাহিনী এবং করাচির ওপর হামলা চালায়।
১৯৭৪ সালের এই দিনে শ্রীলংকায় বিমান দুর্ঘটনায় ১৯১ জন নিহত।
১৯৭৫ সালের এই দিনে সুরিনাম জাতিসংঘে যোগদান করে।
১৯৮০ সালের এই দিনে ড্রামার জন বনহ্যামের মৃত্যুতে (২৫ সেপ্টেম্বর) লিজেন্ডারী ইংরেজ রক ব্যান্ড লেড জেপ্লিন ভেঙ্গে যায়।
১৯৮১ সালের এই দিনে দিল্লি কুতুবমিনার এলাকায় পদপিষ্ট হয়ে ৪৫ জনের প্রাণহানি ঘটে।
১৯৯০ সালের এই দিনে গণআন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের ৯ বছরের প্রেসিডেন্ট এরশাদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা ।
১৯৯০ সালের এই দিনে ইরানের বিখ্যাত শিক্ষাবিদ ডক্টর গোলাম হোসাইন ইউসুফি মারা যান।
১৯৯১ সালের এই দিনে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত ঘোষিত হয়।
১৯৯১ সালের এই দিনে বৈরুতে সাংবাদিক টেরি এ অ্যান্ডারসন সাত বছর বন্দি থাকার পর মুক্তি লাভ করেন।
১৯৯৩ সালের এই দিনে ইয়েলৎসিনের অনুগত ট্যাংক ও সাঁজোয়া বাহিনী ১০ ঘণ্টা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পার্লামেন্ট ভবন দখল করে নেয় এবং ১০০০ বিদ্রোহীকে গ্রেফতার করে।
১৯৯৬ সালের এই দিনে মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশ্যে নভোযান পাথফাইন্ডার আমেরিকার ফ্লোরিডা থেকে উড্ডয়ন করে।
১৯৯৯ সালের এই দিনে মিছেল ফ্রান্সের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পার্টির প্রথম নারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ।

রবিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৭

কবি বিষ্ণু দে ৩ ডিসেম্বর ১৯৮২ সালে মৃত্যুবরণ করেন৷ তিনি একজন বিখ্যাত বাঙালি কবি লেখক এবং চলচ্চিত্র সমালোচক। তিনি ১৯৭১ সালে তাঁর স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ বইটির জন্য ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার জ্ঞানপীঠ লাভ করেন।

Post By
Kalipada Roy

কবি বিষ্ণু দে ৩ ডিসেম্বর ১৯৮২ সালে মৃত্যুবরণ করেন৷ তিনি একজন বিখ্যাত বাঙালি কবি লেখক এবং চলচ্চিত্র সমালোচক। তিনি ১৯৭১ সালে তাঁর স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ বইটির জন্য ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার জ্ঞানপীঠ লাভ করেন।
বিষ্ণু দে
জন্ম ১৮ জুলাই ১৯০৯
কলকাতা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু ৩ ডিসেম্বর ১৯৮২ (৭৩ বছর)
কলকাতা, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত
পেশা কবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সভ্য
শিক্ষা এবং পেশাগত জীবন সম্পাদনা
বিষ্ণু দের পিতা অবিনাশ চন্দ্র দে ছিলেন একজন অ্যাটর্নি। বিষ্ণু দে কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউট এবং সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুল-এ পড়াশোনা করেন । ১৯২৭ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করার পর বঙ্গবাসী কলেজে আইএ পড়তে যান। ১৯৩২ সালে সাম্মানিক ইংরাজি বিষয়ে স্নাতক হন সেন্ট পল্‌স কলেজ থেকে। এরপর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজিতে এম এ করেন। ১৯৩৫ সালে তিনি রিপন কলেজে (অধুনা সুরেন্দ্রনাথ কলেজ) যোগদান করেন শিক্ষক হিসেবে। এরপর তিনি ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি কলেজে এবং ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি মৌলানা আজাদ কলেজে পড়ান। এরপর তিনি কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজেও অধ্যাপনার কাজ করেছেন।
সাহিত্যকীর্তি সম্পাদনা
Image may contain: 1 person, closeup১৯২৩ সালে কল্লোল পত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে যে সাহিত্য আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল কবি বিষ্ণু দে তার একজন দিশারী। রবীন্দ্রোত্তর বাংলা কবিতায় তার অবদান বাংলা সাহিত্যে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে। ১৯৩০ সালে কল্লোলের প্রকাশনা বন্ধ হলে তিনি সুধীন্দ্রনাথ দত্তের পরিচয় পত্রিকায় যোগদান করেন এবং সেখানে একজন সম্পাদক হিসাবে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত কাজ করেন। ১৯৪৮ সালে চঞ্চল কুমার চট্টোপাধ্যায়ের সহায়তায় তিনি সাহিত্য পত্র প্রকাশ করেন। তিনি নিরুক্তা নামের একটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেছিলেন। তার কবিতার মূল উপজীব্য হল মানুষ, তার সংগ্রাম ও রাজনীতি, সেখানে সমকালীন জীবনের, দেশ ও কালের, রাজনীতি ও সমাজের প্রতিধ্বনি। প্রথমদিকে প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের দুই সংস্কৃতিরই প্রভাব পড়েছে তার লেখায়। দেশীয় পুরাণ, ইতিহাস, দর্শন, শিল্পসাহিত্য থেকে ইউরোপীয় ক্লাসিক ও আধুনিক শিল্প সাহিত্যের প্রভাব এবং পরে দুই বিশ্বযুদ্ধের মাঝখানের সময়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, দাঙ্গা, তেভাগা-আন্দোলন ইত্যাদি থেকে শুরু করে স্বাধীনতার পরের ঘটনাবহুল জীবন ও আন্দোলন তাঁর কবিতায় সরাসরি ছায়া ফেলেছে।
তিনি বামপন্থী দর্শন দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। এছাড়া কবি টি এস এলিয়টের রচনাশৈলী এবং ভাবনা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। তিনি ছড়ানো এই জীবন নামে একটি আত্মজীবনী লিখেছিলেন। এছাড়াও অনুবাদের কাজ করেছেন। তার অনুবাদ গ্রন্থের মধ্যে আছে এলিয়ট, পল অ্যালুয়ার ও মাও-ৎ-সেতুঙের কবিতা।
বিষ্ণু দে'র সঙ্গে শিল্পকলা বিশেষজ্ঞ শাহেদ সোহরাওয়ার্দী ও শিল্পী যামিনী রায়ের বন্ধুত্ব ছিল। তিনি অঙ্কন শিল্পের উপর কিছু বই রচনা করেন, যেমন আর্ট অফ যামিনী রয়(সহযোগে) দ্য পেন্টিংস অফ রবীন্দ্রনাথ টেগোর (১৯৫৮) এবং ইন্ডিয়া অ্যান্ড মডার্ন আর্ট (১৯৫৯)। তিনি ক্যালকাটা গ্রুপ সেন্টার, সোভিয়েত ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশন, প্রগতি লেখক শিল্পী সংঘ, ইন্ডিয়ান পিপলস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েসন, ভারতীয় গণনাট্য সংঘ প্রভৃতি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ছবিও আঁকতেন।
সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, নেহরু স্মৃতি পুরস্কার, এবং জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করেছিলেন। এছাড়া তিনি সোভিয়েত ল্যান্ড অ্যাওয়ার্ড পান।
রচিত বই সম্পাদনা
ছড়ানো এই জীবন (আত্মজীবনী)
উর্বশী ও আর্টেমিস (১৯৩২)
চোরাবালি (১৯৩৮)
পূর্বলেখ (১৯৪০)
রুচি ও প্রগতি (১৯৪৬)
সাহিত্যের ভবিষ্যৎ (১৯৫২)
সন্দীপের চর (১৯৪৭)
অন্বীষ্টা (১৯৫০)
নাম রেখেছি কোমল গান্ধার (১৯৫০)
তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ (১৯৫৮)
রবীন্দ্রনাথ ও শিল্প সাহিত্য আধুনিকতার সমস্যা (১৯৬৬)
মাইকেল রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য জিজ্ঞাসা (১৯৬৭)
ইন দ্য সান অ্যান্ড দ্য রেন (১৯৭২)
উত্তরে থাকে মৌন (১৯৭৭)
সেকাল থেকে একাল (১৯৮০)
আমার হৃদয়ে বাঁচো (১৯৮১)
স্মৃতি সত্ত্বা ভবিষ্যৎ (জ্ঞানপীঠ পুরস্কার ১৯৭১)

দেব আনন্দ (হিন্দি: धरम देव आनन्द, পাঞ্জাবি: ਧਰਮਦੇਵ ਆਨੰਦ; ৩রা ডিসেম্বর, ২০১১ সালে মৃত্যুবরণ করেন৷

Post By
Kalipada Roy

দেব আনন্দ (হিন্দি: धरम देव आनन्द, পাঞ্জাবি: ਧਰਮਦੇਵ ਆਨੰਦ; ৩রা ডিসেম্বর, ২০১১ সালে মৃত্যুবরণ করেন৷
ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্প বা বলিউডের চিরসবুজ হিন্দী অভিনেতা হিসেবে বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। তাঁর পুরো নাম ধরম দেবদত্ত পিশোরিমাল আনন্দ। একাধারে তিনি ছিলেন তুখোড় নায়ক, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক।
দেব আনন্দ
Image may contain: 2 people, people smiling, drink'রোমান্সিং উইদ লাইফ' - আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাদানরত দেব আনন্দ
জন্ম ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২৩
গুরুদাসপুর, পাঞ্জাব, ভারত
[১]
মৃত্যু ৩ ডিসেম্বর ২০১১ (৮৮ বছর)
লন্ডন, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য
বাসস্থান মুম্বাই, মহারাষ্ট্র, ভারত
জাতীয়তা ভারতীয়
অন্য নাম দেব সাহাব
পেশা অভিনেতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা, চলচ্চিত্র পরিচালক,সহপ্রতিষ্ঠাতা,নবকেতন ফিল্মস[২]
কার্যকাল ১৯৪৬ – ২০১১
দাম্পত্য সঙ্গী কল্পনা কার্তিক (১৯৫৪ - ২০১১)
১৯৪৬ সালে 'হাম এক হ্যায়' সিনেমার মাধ্যমে বলিউডের জগতে পা রাখেন দেব আনন্দ। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ:
জিদ্দি(১৯৪৮),
বাজি(১৯৫১),
সানাম(১৯৫১),
ট্যাক্সি ড্রাইভার(১৯৫৪),
মুনিমজী(১৯৫৫),
সিআইডি(১৯৫৬),
কালাপানি(১৯৫৮),
লাভ ম্যারেজ(১৯৫৯),
কালা বাজার(১৯৬০),
হাম দোনো(১৯৬১),
গাইড(১৯৬৫),
জুয়েল থিফ(১৯৬৭),
জনি মেরা নাম(১৯৭০),
গ্যাম্বলার(১৯৭১),
হরে রামা হরে কৃষ্ণা(১৯৭১),
দেশ পরদেশ(১৯৭৮),
আওয়াল নাম্বার(১৯৯০),
চার্জশিট(২০১১)।
[৩]
মৃত্যু সম্পাদনা
৮৮ বছর বয়সে দেব আনন্দ মৃত্যুবরণ করেন। ৩ ডিসেম্বর, ২০১১ (আইএসটিঃ ৪ ডিসেম্বর, ২০১১) লন্ডনের একটি হোটেলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধজনিত কারণে তাঁর এই মৃত্যু।